যমুনায় লাশের মিছিল, করোনায় মৃতদের ভাসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ মে ২০২১, ১৫:৩৪
ভারতের উত্তরপ্রদেশে যমুনার মরা গাঙে এ বার লাশের মিছিল। একটা নয়, দু’টো নয়, এক দিনে প্রায় এক ডজন দেহ ভাসতে দেখা গেল নদীর বুকে। রাজ্যে করোনার প্রকোপ লঘু করে দেখানো হচ্ছে বলে যখন অভিযোগে বিদ্ধ যোগী আদিত্যনাথ, ঠিক ওই সময় এমন শিউরে ওঠার মতো দৃশ্য সামনে এল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, করোনায় কার্যত মড়ক লেগেছে যমুনার আশপাশের গ্রামগুলোতে। কিন্তু অনেক পরিবারেরই সৎকারের সামর্থ্য নেই। তাই পরিজনদের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
হামীরপুর জেলায় যমুনা নদীর ওপর কানপুর-সাগর মার্গ সংযোগকারী একটি সেতুর ওপর থেকে গত বৃহস্পতিবার ওই দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা যায়, যমুনায় বেশ কিছু লাশ ভেসে যাচ্ছে। নদীর কিনারায় আটকে গেছে দু’-একটি শব। সেখানে ভিড় করেছে কাকের দল। চড়ে বেড়াচ্ছে গরু-মহিষও। লাশ পাশ কাটিয়েই পানিতে মুখ লাগিয়ে তেষ্টা মেটাচ্ছে তারা।
বিষয়টি নজরে পড়তেই সেতুর উপর যান চলাচল কার্যত থমকে যায়। রেলিংয়ের উপর থেকে ঝুঁকে পড়েন পথচলতি মানুষ। খবর দেয়া হয় পুলিশকেও। ট্র্যাক্টর নিয়ে গিয়ে নদীর তীর থেকে দু’টি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে সৎকার করে তারা। ওই দু’টি লাশের মধ্যে একটি আধপোড়া লাশ ছিল বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। একসাথে এত লাশ কোথা থেকে এল, করোনায় আক্রান্ত হয়ে সকলের মৃত্যু হয়েছে কিনা, এমন হাজারো প্রশ্ন উঠছে। শুধু তাই নয়, করোনা রোগীদের লাশই যদি ভাসিয়ে দেয়া হয়, সে ক্ষেত্রে নদীর পানি কতটা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
কানপুর এবং হামীরপুরের জেলার সীমানা নির্ধারণ করে যমুনা। তবে স্থানীয়দের কাছে সেটি মোক্ষদায়িনী কালিন্দী নামে পরিচিত। মৃত্যুর পর লাশ পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার প্রথা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে সেখানে। স্থানীয়রা একে ‘জলপ্রবাহ’ বলেন। তবে এত দিন একটা দু’টো লাশ চোখে পড়লেও, এভাবে একসাথে একডজন লাশ কখনো দেখা যায়নি। তাই লাশগুলো করোনা রোগীদেরই বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।
এ নিয়ে পুলিশের তরফে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে করোনার প্রকোপে যে হারে মৃত্যু বেড়ে চলেছে রাজ্যে, তাতে স্থানীয়দের অভিযোগ উড়িয়ে দেননি হামীরপুরের এসপি অনুপকুমার সিংহ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মৃতদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা