২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দলছুটদের জন্য মমতার দ্বার উম্মুক্ত

দলছুটদের জন্য মমতার দ্বার উম্মুক্ত - ফাইল ছবি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভার নির্বাচনে ভোটের আগে বহু নাটকীয় দৃশ্য দেখা গেছে। বিশেষ করে তরকাদের হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপির টিকেটে নির্বাচনে লড়াই আর মমতার তৃণমূল ছেড়ে অনেক নেতার বিজেপিতে যোগদান বেশ আলোচিত হয় ভোটের মাঠে। এতে তৃণমূল কিছুটা হোঁচটও খায়। শঙ্কা তৈরি হয় রাজ্যের শাসন ধরে রাখা প্রশ্নে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মমতার রাজত্ব টিকিয়ে রাখা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। অবশ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবরই ছিলেন দৃঢ়চেতা। নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রপাগাণ্ডা তৎপরতাকে পাত্তাই দেননি তিনি। বিশেষ করে বিজেপির রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উস্কানি ছিল লক্ষণীয়। যার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে মরিয়া মোদি-শাহেরা। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পরিবর্তন হওয়াটাও অস্বাভাকি ছিল না। কিন্তু সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে গেল রোববারের প্রকাশিত নির্বাচনের ফলাফলে। মমতা ব্যানার্জিই যে পশ্চিমবঙ্গে মানুষের কাছে এখনো সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তি, তা ভোটের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যবাসী।

হেটট্রিক জয়ের পর বুধবার মমতার তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে ফের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এর আগে অনেকের মনে প্রশ্ন, ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের ভবিষ্যৎ কী হবে? এমন প্রশ্নে মমতার সাফ জবাব, ফিরে এলে ‘স্বাগত’।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের নীলবাড়ির লড়াইয়ে নির্বাচনের সময় দলে দলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেয়াদের বেশিরভাগই ভোট শেষে খালি হাতে ফিরেছেন। তবে বিপুল সাফল্য পাওয়ার পরও দলত্যাগীদের প্রতি উদারতা দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ফিরতে চাইলে সবাইকে দলে স্বাগত জানাবেন বলে জানালেন তিনি।

রোববার ভোটের ফলাফলে তৃণমূলের ধারে কাছেও নেই বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন যে ‘হেভিওয়েট’ নেতারা, তাদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও নিশীথ প্রামাণিককে বাদ দিলে কেউই জয়ী হতে পারেননি। বড় ব্যবধানে হেরেছেন রাজীব ব্যানার্জি, সব্যসাচী দত্ত ও বৈশালী ডালমিয়ারা।

ভোটে বিজেপির পরাজয়ের পর তাদের তৃণমূলে ফিরে আসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এ দিকে ভোটের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জানাতে সোমবার কালীঘাটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা। তখন দলছুটদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আসুক না। কে বারণ করেছে। এলে স্বাগত।’

জানা গেছে, মমতার এমন উদরনীতি বেশ প্রশংসীত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement