দিল্লি এআইআইএমএসে বেড পেলেন না শিক্ষার্থীদের সুপরিচিত 'রহমত চাচা'
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৫:২৮, আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১৭:৪৫
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির চিকিৎসা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইআইএমএস) সকল শিক্ষার্থীর কাছেই পরিচিত মুখ ছিলেন ৪৯ বছর বয়সী রহমত আহসান। শিক্ষার্থীদের কাছে রহমত চাচা হিসেবে পরিচিত এই মুদি দোকানি এআইআইএমএস হাসপাতালের কাছেই ২০ বছর ধরে দোকান চালিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ওই হাসপাতালেই কোনো বেড পাননি তিনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে নিজের বাড়িতেই তিনি মারা যান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন মতে, এর আগে বেশ কয়েক দিন ধরে তার জ্বর বাড়ছিল। পরে অ্যান্টিজেন টেস্টেও তার করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এআইআইএমএস হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন।
হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তিনি এআইআইএমএস হাসপাতালে বেড পাবার জন্য চেষ্টা করছিলেন কিন্তু কোনো বেড তিনি পাননি। যদিও তিনি দীর্ঘদিন এই ক্যাম্পাসের অংশীদার হিসেবেই রয়েছেন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে কোনো বেড নেই। এর অর্থ যদি আমরাও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ি, আমাদের নিজেদেরকে নিজেদের ব্যবস্থা নিতে হবে।'
রহমত আহসানের পরিবারকে সহায়তার জন্য এআইআইএমএসের শিক্ষার্থীরা তহবিল সংগ্রহ শুরু করেছেন। রহমতের ১৪ ও ১২ বছর বয়সী দুই মেয়ে এবং স্ত্রী রয়েছেন।
রহমতের শ্যালক আবু জিসান বলেন, 'কিছদিন থেকেই তার জ্বর ছিল। কিন্তু বুধবার তা মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে। আমরা তাকে সামরিক ডিআরডিও হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তাতেও আমরা ব্যর্থ হই। আমরা জানতাম যে এআইআইএমএসে কোনো বেড নেই। তিনি এন্টিজেন্ট টেস্টে করোনা আক্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়েছিলেন কিন্তু তার আরটিপিসিআর টেস্ট হয়নি। অবশেষে তার পরিচিতি জনের সূত্র ধরে আমরা বাড়িতে একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার সংগ্রহ করি। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় ইন্তেকাল করেন।'
রহমতকে এআইআইএমএস মেডিকেলের ছাত্ররা স্মরণে রাখবেন কারণ তিনি সব সময় তাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
এআইআইএমএস মেডিকেলের আবাসিক ডাক্তার ডা. পবন সিনহমার দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'যখন হাসপাতালের অন্যান্য মুদি দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল তখন তিনি (রহমত) বলেছিলেন, তিনিও আমাদের সাথে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন। তিনি দিন-রাত তার দোকান খোলা রেখেছেন আমাদের সাহায্য করার জন্য। যদিও হাসপাতাল প্রশাসন এটা অনুমতি দেয় না তবু তিনি সব সময় আমাদের সাহায্য করতে প্রস্তুত ছিলেন।'
সূত্র : মুসলিম মিরর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা