২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে করোনা রুখতে ১৪৪ ধারা জারি

মহারাষ্ট্রে করোনা রুখতে ১৪৪ ধারা জারি - ছবি- সংগৃহীত

করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বের সবচেয়ে বেকায়দায় পড়া দেশগুলোর তৃতীয় অবস্থানে ভারত। এর মধ্যে করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ দেশটিতে আঘাত হেনেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সরকার। এর মধ্যে দেশটির মহারাষ্ট্রের অবস্থা সবচেয়ে বেগতিক। ফলে রাজ্য সরকার করোনা রুখতে সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। দিনের বেলা পাঁচজনের বেশি জমায়েতে রোববার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্যে। আর রাতে ১৪৪ ধারা কার্যকর হবে।

এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশ জারি না করা পর্যন্ত প্রতি শুক্রবার রাত ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউনের কথাও ঘোষণা করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসন।

তবে রোববার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত সম্পূর্ণ লকডাউন করার কোনো চিন্তা নেই। অবশ্য লকডাউনের আশঙ্কা করছেন শহরে থাকা বহিরাগত শ্রমিকরা। ফলে মুম্বই ও মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহর থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন তারা।

মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শহর মুম্বাইসহ পুণে জারি করা হয়েছে রাত্রীকালীন কারফিউ। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ বা ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। পুণের মতো মতো মুম্বাইয়েও ছাড় থাকছে হোম ডেলিভারি, খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে। রেস্তোরাঁগুলোতে শুধু খাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া গণপরিবহন চলবে ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে। বন্ধ থাকবে শপিং মল ও সিনেমা হল।

গোটা মহারাষ্ট্রে লকডাউন না ঘোষণা করা হলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ কোথাও পাঁচজনের বেশি মানুষ জমায়েত হতে পারবে না। সরকারি অফিসে ৫০ ভাগ কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে হবে। বেসরকারি যানবাহন ৫০ ভাগ সিট খালি রেখে চলবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী নবাব মালিক। রোববার মন্ত্রিসভার সাথে আলোচনায় বসেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

শনিবার মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৫০ হাজারে। শুধু মুম্বই শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। একই চিত্র পুণেতেও। মুম্বইয়ের আগেই ওই শহরে রাত্রীকালীন কারফিউ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্ধ করা হয়েছে শপিং মল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

এক দিনে আক্রান্ত ৯৩ হাজার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে ভারতে। রোববার একধাক্কায় এক দিনে সংক্রমণ ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দীর্ঘ সাত মাস পর এই প্রথম সংক্রমণ ফের ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে দেশটিতে। এর আগে, গত বছর ১৯ সেপ্টেম্বর ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ছিল ৯৩ হাজার ৩৩৭। রোববার সকালে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে, তাতে দেখা গেছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৩ হাজার ২৪৯ জন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫০৯ জন হয়েছে। আর করোনায় এ পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৬ লাখ চার হাজার ৭৪৫ জনেরও বেশি। দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। যে কারণে প্রশাসনিক এই তৎপরতা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement
শিশুদের বিকাশে অটিজম অভিভাবকদের সচেতনতা ফরিদপুরে মন্দিরে আগুন : দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি নেতাদের মুক্তির দাবিতে রিজভীর নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপির মিছিল বৃষ্টির জন্য দেশবাসীর প্রতি ইস্তিস্কার নামাজ আদায়ের আহ্বান আমিরে জামায়াতের সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে চুক্তি স্বাক্ষর করল তুর্কি, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ঢাকায় ‘হিট স্ট্রোকে এক ব্যক্তির মৃত্যু শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট ‘আমার শিশু মেয়েটির যে সর্বনাশ সে করেছে’ বান্দরবানের ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজে মুসুল্লিদের ঢল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা মনে হয় পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়েছে সরকার : রিজভী

সকল