উঁচু শ্রেণীর তরুণীর সাথে প্রেমের জেরে দলিত যুবককে নির্যাতন

ভারতের উত্তর প্রদেশে উচু শ্রেণীর তরুণীর সাথে প্রেমের অভিযোগে নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দলিত এক যুবক। উত্তর প্রদেশের লক্ষ্মীপুর খেরি জেলার টিকুনিয়া শহরে বৃহস্পতিবার এই নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে।

হরেন্দ্র কুমার নামের ২২ বছর বয়সী ওই যুবকের পায়ুপথে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি জেলা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

খবরে বলা হয়, নির্যাতনের শিকার ওই যুবককে তার গোপন অঙ্গসহ সারা শরীরে লোহার রড, লাঠি ও বেল্ট দিয়ে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়।

নির্যাতনের শিকার যুবকের চাচাতো ভাই অনুজ জানান, হরেন্দ্র কুমার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলেন। এর অংশ হিসেবে ভোর ৩টায় তিনি উঠতেন। ঘটনার দিন সকালে উঠে এক বাগানে তিনি গিয়েছিলেন। সেখানে উঁচু শ্রেণীর ওই তরুণীর বাবা ব্রহ্মদিন ও তার তিন ছেলে রাজু, ভারত ও গজরাজ তাকে ধরে গালিগালাজ করতে থাকে। পরে এক পর্যায়ে তাকে লোহার রড, লাঠি ও বেল্ট দিয়ে পেটাতে থাকে তরুণীর বাবা-ভাইয়েরা। পরে তার পায়ুপথে একটি লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

টিকুনিয়া পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা গায়েন সিং বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি নির্যাতিত যুবকের সাথে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাকে ধরে নির্যাতনের সময় তিনি তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। হরেন্দ্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে আমরা তার জবানবন্দি নেবো।'

ইতোমধ্যে ব্রহ্মদিন, রাজু, ভারত ও গজরাজের বিরুদ্ধে শিডিউলড কাস্ট অ্যান্ড শিডিউলড ট্রাইব আইনের অধীনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপমান ও নির্যাতনের জন্য মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হলেও গজরাজ পালিয়েছে।

লক্ষ্মীপুর খেরির এসএসপি বিজয় ঢোল বলেন, ‘মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর এ জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা হবে।'

জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা সতীশ কুমার বলেন, নির্যাতিত যুবকের সমগ্র শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার গোপনাঙ্গেও জখম আছে। তাকে লাঠি দিয়ে ও খালি হাতে মারা হয়েছে। মুখের ও শ্বাসনালীর জখমগুলো তার জীবনকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে। তবে চিকিৎসায় তিনি সাড়া দেয়া শুরু করেছেন।'

সূত্র : মুসলিম মিরর