১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুসলিম সংখ্যালঘুদের বৈষম্যের শিকার করছে ভারতীয় সরকার

ভারতীয় মুসলমান - ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অভিযোগ করেছে, ভারতের সরকার দেশটির মুসলিম সংখ্যালঘুদের কৌশলে বৈষম্যের শিকার করছে। শুক্রবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অভিযোগ করা হয়।

নয়াদিল্লিতে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার প্রথম বার্ষিকীর অল্প কিছুদিন আগেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো। গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই সহিংসতায় ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ৪০ জন মুসলমান। ২০১৯ সালে বিতর্কিত ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) প্রণয়নের জেরে দেশটিতে বিক্ষোভ শুরুর পর রাজধানীতে ওই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

ওই আইন অনুসারে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে অভিবাসন করে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈনসহ অন্য সংখ্যালঘুদের দেশটির নাগরিকত্ব লাভের সুযোগ দেয়া হয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে দিল্লির দাঙ্গা প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘বিজেপি নেতাদের সহিংসতায় উস্কানি ও হামলায় পুলিশ সদস্যদের অংশগ্রহণের অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো প্রকার বিশ্বাসযোগ্য ও পক্ষপাতহীন তদন্তের পরিবর্তে অ্যাকটিভিস্ট ও বিক্ষোভ সংগঠনকারীদের নিশানা বানিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ।’

এতে আরো বলা হয়, ‘কর্তৃপক্ষ এবারের কৃষকদের গণ বিক্ষোভেও দেরিতে সাড়া দিয়েছে, শিখ সংখ্যালঘু বিক্ষোভকারীদের ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন করে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সাথে তাদের কথিত সম্পর্কের বিষয়ে তদন্তের সূচনা করে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে সহিংস হিন্দুত্ববাদী মতবাদের প্রসার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বৈষম্যকে আইনি বৈধতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলে, ‘এই পদক্ষেপ দেশীয় আইন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলতে ভারতের বাধ্যবাধকতার লঙ্ঘন করেছে, যাতে বর্ণ, জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে নিষেধ করে এবং সরকারের কাছে সব নাগরিকের আইনের অধীনে সমান নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি করে।’

এতে আরো বলা হয়, ভারতীয় সরকার ধর্মীয় ও অন্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেয়ায় এবং তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও সহিংসতা ছড়াতে দায়ী ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ ও নায্যভাবে বিচারের আওতায় আনতে দায়বদ্ধ।

অল ইন্ডিয়া প্রগ্রেসিভ উইম্যানস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কবিতা কৃষ্ণন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ভারতে আজ যা হচ্ছে, এটি তার স্বীকারোক্তি।

তিনি বলেন, আগামী ছয় বছরে মোদি সরকারের অধীনে এই বৈষম্য আরো বাড়বে। রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট এই প্রচারণায় দিনে দিনে মুসলিম, খ্রিস্টান ও শিখদের আক্রমণের নিশানা করা হবে।

এদিকে বিজেপি মুখপাত্র সৈয়দ শাহনেওয়াজ হুসেইনের কাছে আনাদোলু এজেন্সি প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদন না পড়ার অজুহাতে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement
ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল শ্যালকের অপকর্মে দুঃখ প্রকাশ করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

সকল