২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্টেডিয়ামগুলোকে জেলে রূপান্তরের অনুমতি না দেয়ায় কেজরিওয়ালের ওপর ক্ষুব্ধ মোদি

- সংগৃহীত

কোভিড গাইডলাইন ভাঙার দায়ে দিল্লি ঘেরাও করে আন্দোলনরত কৃষকদের গ্রেফতার করতে চেয়েছিল পুলিশ। মোদি সরকারের পরিকল্পনা ছিল, দিল্লির নয়টি স্টেডিয়ামকে অস্থায়ী কারাগারে রূপান্তরিত করে বিক্ষোভকারীদের আট্ক রাখা হবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, মোদি সরকারের এই পরিকল্পনায় তিনি সম্মতি দিতে অস্বীকার করায় কেন্দ্রীয় সরকার চটেছে।

দিল্লির স্টেডিয়ামগুলোকে অস্থায়ী জেলে রূপ দিয়ে, আন্দোলনকারী কৃষকদের গণহারে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল ভারতীয় পুলিশ। মোদি সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে এই নির্দেশ দেয়া হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্মতি ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে, তার কাছে প্রস্তাব অনুমোদনের অনুরোধও জানানো হয়েছিল। কেজরিওয়াল তা প্রত্যাখ্যান করায়, আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হয় মোদি সরকারকে।

বুধবার এই প্রসঙ্গ তুলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে স্টেডিয়ামগুলোকে জেল হিসেবে ব্যবহারের সম্মতি তিনি দেননি। যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকার তার উপর ক্ষুব্ধ। বুধবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ভারতশাসিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়েরও তীব্র সমালোচনা করেন আমআদমি পার্টির প্রধান। কেজরি বলেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী এখন ‘বিজেপির ভাষা’য় কথা বলেছেন। দিল্লিতে কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন পাসের জন্য তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে।

দিল্লিতে কোভিড বিধি বলবৎ থাকার কথা জানিয়ে বিক্ষোভরত কৃষকদের বারবার আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিতে চাপ দেয় মোদি সরকার। গ্রেফতারের হুমকিও দেয়া হয়। কিন্তু, কয়েক লাখ কৃষককে কোভিড আইন ভঙ্গের দায়ে গ্রেফতার করে, জেলে ঢোকানোর মতো অবকাঠামো ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। তাই দিল্লি শহরের স্টেডিয়ামগুলোকে অস্থায়ী জেল হিসেবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করে মোদি সরকার। কিন্তু, দিল্লি সরকারের সুবজ সংকেত ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের একার পক্ষে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তাই গত সপ্তাহেই কেজরিওয়ালের কাছে সম্মতি চেয়েছিল মোদি সরকার। এ ভাবেই সংগঠিত কৃষক বিক্ষোভকে বানচালের পরিকল্পনা করা হয়েছিলর। কিন্তু, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানে বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই ফেলে দেন কেজরিওয়াল।

কৃষকদের লাগাতার এই বিক্ষোভ মোদি সরকারের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছে বিজেপি'র। পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকদের এই আন্দোলন দুনিয়ার নজরও কেড়ে নিয়েছে।

ইতোমধ্যে ভারতের প্রতিবাদী কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকেও কৃষকরা শরিক হচ্ছেন এই আন্দোলনে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠককে কোনো সমাধান হয়নি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কৃষক নেতারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাদের এই আন্দোলন চলবেই। ইন্ডিয়া টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল