১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বঙ্গোপসাগরে ভারতের মিসাইলের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ

- ছবি : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বঙ্গোপসাগরে ভারতের একটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইলের আঘাতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি জাহাজ। আর এতে স্বস্তি পেয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। কারণ এটি ছিল একটি পরিকল্পিত প্রকল্প।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে প্রকাশ, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্ভুলভাবে শত্রুপক্ষের জাহাজকে আঘাত করে ফুটো করে দেয়ার ক্ষমতা দেখাল একটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল। বঙ্গোপসাগরে এটির গাইডেড মিসাইল করভেট আইএনএস কোরার থেকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। দেশের তিন দিকের সমুদ্রপথে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা দিতে এই অ্যান্টি শিপ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ভারতের জন্য স্বস্তির।

নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি সুনির্দিষ্ট পথে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যমাত্রাটির সর্বোচ্চ পরিসরে পৌঁছেছে। টুইটে বলা হয়, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল কারভেট আইএনএস কোরা দ্বারা চালিত অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রটি বঙ্গোপসাগরে সুনির্দিষ্ট নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যমাত্রাটি সর্বোচ্চ পরিসরে পৌঁছেছে। লক্ষ্যবস্তু জাহাজটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে আগুন জ্বলে উঠেছে মিসাইলের তেজে।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসে ভারতের নৌসেনায় এসেছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন বিধ্বংসী রণতরী আইএনএস কাভারাত্তি। বিশাখাপট্টনমের নেভাল ডকয়ার্ডে আইএনএস কাভারাত্তির আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি করেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। এই যুদ্ধজাহাদের নকশা করেছে ডিরেক্টরেট অফ নেভাল ডিজাইন।

গত সপ্তাহে, নৌবাহিনী একটি অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে আরব সাগরে একটি ডুবে যাওয়া জাহাজটিকে ধ্বংস করা হয়েছিল। পূর্ব লাদাখ সীমান্তের অবস্থান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চীনকে বার্তা পাঠানোর উদ্দেশে ভারতীয় নৌবাহিনী ভারত মহাসাগর অঞ্চলে সুরক্ষা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement