২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সব বিরোধীদল এক জোট

- ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী এবং ইমরান খানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে সবকটি প্রধান বিরোধী দল। সেই জোটে নওয়াজ শরিফ এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও আছেন।

রোববার পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো একজোট হয়ে সারা দিন ধরে সারাদিন ধরে আলোচনা করল। সেই সম্মেলন থেকেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ইস্তফা দাবি করা হয়। ঠিক হয়েছে, বিরোধী দলগুলো রাজনীতিতে সেনা প্রভাব ও প্রাধান্যের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন করবে। আগামী মাস থেকে শুরু হবে আন্দোলন।

এই বিরোধী জোটের নাম হলো পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট। তাতে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ) যেমন আছে, তেমনই আছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। নওয়াজ শরিফ বৈঠকে ছিলেন না। কারণ তিনি গত নভেম্বর থেকে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে। তিনি ভিডিওর মাধ্যমে ভাষণ দেন। তবে বৈঠকে ছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ এবং প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি।

বিরোধীদের দাবি, পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনার প্রভাব চলবে না। নতুন দায়বদ্ধতা আইন আনতে হবে এবং ইমরান খানকে ইস্তফা দিতে হবে। ইমরানের ইস্তফা চাওয়ার কারণ, বিরোধীদের দাবি, তিনি নির্বাচনে জালিয়াতি করে জিতেছিলেন। আর সেই জালিয়াতিতে সাহায্য করেছিল সেনা বাহিনী।

পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনা প্রভাব নতুন কোনো কথা নয়। এর আগেও বহুবার সেনা এবং আইএসআই-এর প্রভাব নিয়ে বহু খবর হয়েছে। বিরোধীরা সোচ্চার হয়েছেন। বার বার অভিযোগ উঠেছে, জনগণের ভোটে জিতে সরকার গঠন করলেও ক্ষমতার আসল চাবিকাঠি থাকে সেনার হাতে। নির্বাচিত সরকারকেও তাদের কথা শুনে চলতে হয়। শেষ কথা সেনাই বলে।

নওয়াজ শরিফ রোববার তার ভিডিও ভাষণে সেই অভিযোগই করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আগে তো সেনা দেশের মধ্যে দেশ ছিল। এখন তারা দেশের ওপরে দেশ হয়ে গিয়েছে।''

নওয়াজের অভিযোগ, সেনার ক্ষমতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। পাকিস্তানে তারাই সর্বেসর্বা।

নওয়াজের দাবি, ''গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারাই দেশের অর্থনীতি ঠিক করবে। বিদেশ নীতিও তারা ঠিক করবে।''

নওয়াজ বলেছেন, ''প্রধানমন্ত্রীর পদে ইমরান অযোগ্য। তাকে সেনাবাহিনীই প্রধানমন্ত্রী করেছে এবং দেশ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তাই আমরা আগে সেনার কবল থেকে দেশকে উদ্ধার করতে চাই।''

বিলাওয়ালের বক্তব্য, রাজনীতিতে সেনার কোনো ভূমিকা থাকবে না।

বিরোধীদের বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন পাকিস্তানি তালেবানও সেনার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন করছে। রোববারই উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানে তালেবানের গুলিতে দুই সেনার মৃত্যু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের গোড়ায় তারা তিনজন সেনাকে হত্যা করেছিল। ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement