১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ছয় মাসে চীন সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ হয়নি, দাবি ভারতের

- সংগৃহীত

চলতি বছরের মে মাসের শুরু থেকে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) মুখোমুখি অবস্থানে চীন ও ভারত। ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জোরালো প্রশ্ন ছিল এটাই যে, চীনের সেনাবাহিনী লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে কিনা।

গত ১৫ জুন গালওয়ানে চীনের সেনাবাহিনীর হাতে ২০ ভারতীয় সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর মোদি সরকারকে এনিয়েই চেপে ধরেন রাহুল গান্ধীসহ বিরোধী নেতারা।

তবে বুধবার সংসদে মোদি সরকারের দাবি, গত ৬ মাসে ভারত-চীন সীমান্তে কোনো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তবে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরে লাগাতার অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা, দাবি মন্ত্রণালয়ের। আরো দাবি করা হয়েছে যে, গত ছয় মাসে পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে ৪৭ বার।

চীন ও পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত — এই ছয় মাসে ভারতে কতগুলো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে, রাজ্যসভায় তা জানতে চান বিজেপি সংসদ সদস্য অনিল আগরওয়াল। লিখিত জবাবে দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য দেন।

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মঙ্গলবার দেশটির সংসদে জানিয়েছেন, এপ্রিল থেকে পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখার অনেকগুলো পোস্টে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন। ১৫ জুন গালওয়ানে সংঘর্ষের পাশাপাশি অনেক বার আগ্রাসন ও ভারতীয় ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা চালিয়েছে চীনা বাহিনী।

অবশ্য ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা, অনুপ্রবেশ আর আগ্রাসন বা ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা এক নয়। ‘অনুপ্রবেশ’-এর ধারণা সন্ত্রাসীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়। সেই হিসেবেই ভারত-চীন সীমান্তে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখতে মোদি সরকার একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে। সীমান্তে একাধিক স্তরে সেনা মোতায়েন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো ও সেই সব তথ্য আদানপ্রদান, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মতো বিষয় এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সূত্র : জি নিউজ


আরো সংবাদ



premium cement