বেড়ালের সিক্রেট মিশন! ঘুম হাওয়া শ্রীলঙ্কা পুলিশের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ আগস্ট ২০২০, ০৭:৪৩
রান্নাঘরে খাবার চুরি করতে গিয়ে প্রায়ই হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। তাড়া করলেই লেজ গুটিয়ে দৌড়। আবার দুধের পাত্র হাতে ডাক দিলেই জিভ চাটতে চাটতে হাজির হতে এতটুকু দেরি করে না সে। গৃহপালিত বেড়ালকে আমজনতা এতদিন ‘ভীতু’, ‘আদুরে’, ‘অলস’ ইত্যাদি বিশেষণ দিয়ে এসেছে। ‘সাহসী’ কিংবা ‘নির্ভীক’ হিসেবে তার একেবারেই সুনাম নেই। এই বদনাম ঘোচাতেই বোধহয় ময়দানে নেমেছে কলম্বোর একটি বেড়াল। স্বভাবভীরু এ পোষ্যটিই কি না এগিয়ে গেছে ‘সিক্রেট মিশন’-এ! কী সেই মিশন?
জেলবন্দিদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে নিষিদ্ধ মাদক। সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত মেমোরি কার্ড ও দু’টি মোবাইল সিম। মাথায় কুকীর্তির তকমা জুটেছে ঠিকই, কিন্তু নিরীহ গৃহপোষ্য বেড়ালের দুঁদে এজেন্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া ঘুম কেড়েছে প্রশাসনের। শ্রীলঙ্কার এই ঘটনা ইতিমধ্যে সাড়া ফেলেছে নেটবিশ্বে।
এমনিতে শ্রীলঙ্কায় মাদক পাচারচক্র দিন দিন ফুলে ফেঁপে উঠছে। পাচারকারীদের জেলে পুরেও শান্তি নেই। কখনো উড়ন্ত ঈগল, কখনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরকেও মাদক পাচারের কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু তাই বলে পোষ্য বেড়ালও এই রাস্তায় নেমে পড়বে— এমনটা আঁচ করতে পারেননি কেউই।
ওয়েলিকাড়া জেলখানার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিয়ে এতদিন বুক চাপড়াতেন পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা। সেই গর্বের বেলুনেও পিন ফুটিয়েছে খুদে বেড়ালটি। রক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে সটান জেলের অন্দরে ঢুকে পড়েছে সে। তখনো তার গলায় ঝুলছে প্লাস্টিকের তৈরি বিশেষ ব্যাগ। সেখানে রাখা আছে কয়েক গ্রাম হেরোইনসহ অন্যান্য বস্তু। জেলবন্দিদের হাতে সেসব পৌঁছে দেয়ার আগেই অবশ্য বেড়ালটিকে আটক করেন নিরাপত্তাক্ষীরা। মিশন শেষমেশ অধরাই থেকে যায়।
গলা থেকে প্যাকেট খুলে ‘অভিযুক্ত’ বেড়ালটিকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। যদিও ফের একবার সকলের নজর এড়িয়ে পিঠটান দেয় সে। কে বা কারা এই আজব পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, সেটা এখনো উদ্ধার করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার পুলিশ। তার উপর সামান্য বেড়ালকে আটকাতে দু’বার নাকানিচুবানি খেতে হয়েছে তাদের। সব মিলিয়ে মানসম্মান নিয়ে টানাটানি হওয়ার জোগাড়! তাই রাগের বশে ফেরার বেড়ালকে আটক করার হুকুমনামা জারি করেছে পুলিশ।
সূত্র : বর্তমান