২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নবীজীর অপমান করে পোস্টের প্রতিবাদ : ভারতে নিষিদ্ধ হতে পারে এসডিপিআই

নবীজীর অপমান করে পোস্টের প্রতিবাদ : ভারতে নিষিদ্ধ হতে পারে এসডিপিআই - ছবি : মুসলিম মিরর

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ভারতের বেঙ্গালুর দাঙ্গায় কথিত ভূমিকার কারণে কর্নাটক সরকার ধর্মীয় সংগঠন সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া (এসডিপিআই) ও এর রাজনৈতিক শাখা পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিএফআই) নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত রাজ ও পল্লী উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপা শিবমোগায় সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্য সরকার ২০ আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসডিপিআই ও পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।

গত ১১ আগস্টে বেঙ্গালুরের উত্তর-পূর্ব শহরতলীতে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে কয়েকজন প্রতিনিধি ও এসডিপিআইয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসডিপিআইয়ের বিরুদ্ধে দুর্বৃত্তদের বিক্ষোভে প্ররোচিত করা, ওই এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও দাঙ্গার সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে। দাঙ্গায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ঠেকাতে পুলিশ গুলি চালায়। ওই সহিংসতায় তিনজন যুবক নিহত হয়েছেন।
নবীজিকে অপমান করে একটি পোস্ট দেয়ার প্রতিবাদ করার সময় দাঙ্গার সৃষ্টি হয়।

ঈশবরাপ্পার আরো বলেন, রাজ্য সরকার অনেক দল ও সংস্থার পক্ষ থেকে এই দলকে নিষিদ্ধ করার জন্য চাপের মধ্যে রয়েছে। কারণ এসডিপিআই সমাজে অশান্তি সৃষ্টিতে জড়িত বলে তাদের অভিযোগ।
এদিকে রাজ্যের রাজস্ব মন্ত্রী আর অশোকা এর আগে শহরে দাঙ্গা ও দক্ষিণ রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলে বিশৃঙ্খলায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই দুই রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অশোক স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, গ্রেফতারকৃত এসডিপিআই ও পিএফআইয়ের সদস্যদের প্রাথমিক তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদে ১১ আগস্ট দাঙ্গায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। এর আগেও ওই দলের নেতাকর্মীদের সমাজে সহিংসতা সৃষ্টির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী সি.এন. অশ্বত নারায়ণও একই কথা বলেছেন।

রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেন, শহরের দাঙ্গার পিছনে কংগ্রেসবিরোধী অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও এসডিপিআইয়ের ষড়যন্ত্র দায়ী।

দাঙ্গার ঘটনায় ২৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নগরের পূর্ব শহরতলির নাগওয়ারা নাগরিক ওয়ার্ডের কংগ্রেস কর্পোরেটর ইরশাদ বেগমের স্বামী কালীম পাশা ছিলেন।
উল্লেখ্য, বেঙ্গালুরে ১১ আগস্ট কংগ্রেস বিধায়ক আখন্দ শ্রীনিবাস মুরতির ভাগ্নে পি নবীনের করা একটি অবমাননাকর ফেসবুক পোস্টের জের ধরে শহরে জনতার মধ্যে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও দাঙ্গা শুরু হয়।
শ্রী নিবাস মুরতি জনতা দল-সেকুলার (জেডি-এস) থেকে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ২০১৮ সালে মে মাসে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে পুলকেশনগর সংরক্ষিত আসনে জয় লাভ করেন।

নবীনের বিরুদ্ধে সহিংসতা তৈরির অভিযোগকে নিষ্ক্রিয় করতে বোমাই বলেন, এটি জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা। কারণ আসামির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বিলম্ব হয়নি।
সুত্র : মুসলিম মিরর


আরো সংবাদ



premium cement
মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩ তীব্র গরমে কী খাবেন আর কী খাবেন না এবার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

সকল