২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

২০ শতাংশের দেহে স্বাভাবিকভাবেই করোনার অ্যান্টিবডি উপস্থিত

২০ শতাংশের দেহে স্বাভাবিকভাবেই করোনার অ্যান্টিবডি উপস্থিত - সংগৃহীত

মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য যেসব স্বেচ্ছাসেবক এইমস-এ নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদের বিশ শতাংশের শরীরেই করোনা বিরোধী অ্যান্টিবড়ি রয়েছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে এইমস কর্তৃপক্ষের। পরীক্ষার কাজে এই সব সেচ্ছাসেবকদের ব্যবহার করতে ফের তাদের অনুপযুক্ত করে তুলতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় প্রথম স্বদেশি ভ্যাকসিন হল এই কোভ্যাকসিন। সূত্র মারফত জানা গেছে, দু’সপ্তাহ পর মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে কোভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু করেছে এইমস। পরীক্ষা করা হয়েছে ৮০ জনকে। এর মধ্যে মাত্র ষোল জন যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। একশ জনের শরীরে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করবে এইমস। প্রথম ডোজের পর তাদের দু’সপ্তাহ নজরবন্দি রাখা হবে।

১৮-৫৫ বছর বয়সী যাদের হার্ট, কিডনি, লিভার বা ফুসফুসের দোষ নেই এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত টেনশন নেই তারাই স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার যোগ্য। স্বেচ্ছাসেবক বাছতে হার্ট, কিডনি, লিভার বা ফুসফুসের রুটিন পরীক্ষা করা হয়। এছাড়াও কোভিড-১৯ পরীক্ষাও হয়ে থাকে। সবার প্রথমে ব়্যাপিড অ্যান্টিবডি পরীক্ষাও হয়।

মানব শরীরের কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজে যুক্ত এইমস-এর এক চিকিৎসকের কথায়, ‘ট্রায়ালের জন্য একমাত্র স্বাস্থ্যকর স্বেচ্ছাসেবকদেরই বাছতে হবে। ফলে প্রত্যাখ্যানের হার খুবই বেশি। প্রায় ২০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরেই অ্যান্টিবডি রয়েছে। এর মানে তারা ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছেন। বাকিদের মধ্যে সর্বোত্তমস্তরে লিভার বা কিডনির কার্যকারিতা নেই।’

কোনও ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত বা সুস্থ হয়ে উঠেছেন কিনা তা বোঝা যায় অ্যান্টিবডির মাধ্যমে। ‘সুতরাং যাদের শরীরে অ্যান্টিবডি রয়েছে তাদের উপর কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে কোনও কিছু অধ্যায়ন কঠিন কাজ’ বলে জানিয়েছেন এইমস-এর চিকিৎসক।

কোরনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য এইমস-এ সাড়ে তিন হাজারের বেশি আগ্রহী মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছেন। ২৪ জুলাই ৩০ বছরের এক যুবকের শরীরে প্রথম কোভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োগ করা হয়। ইনট্রামাসকুলার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ওই যুবকের শরীরে ০.৫ এমএল ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। এক সপ্তাহ পেরলেও ওই যুবকের কোনও শারীরিক অসুবিধা নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আপাতত আগামী শুক্রবার পর্যন্ত নজরদারিতে রাখা হবে তাকে। তারপর পরবর্তী ডোজ দেওয়া হবে।

দেশজুড়ে আইসিএমআর-এর বাছাই করা ১২টি হাসপাতালে কোভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এইমস। মোট তিনটি পর্যায়ে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জনের উপর এই পরীক্ষা করা হবে। তাদের মধ্যে ১০০ জনকে বাছাই করা হয়েছে এইমস- এর তরফে। এই পর্যায়ে পরীক্ষার জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছর। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হবে ৭৫০ জন স্বেচ্ছাসেবীকে।

দুনিয়াজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত। এমন পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে নেমেছে দেশি-বিদেশি একাধিক সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে দেশে আশার আলো দেখাচ্ছে হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক। সূত্র: ইন্ডিয়ান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement