২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পাইলটকে অপসারণ : নাটকীয় মোড় রাজস্থানের রাজনীতিতে

শচিন পাইলট
শচিন পাইলট - ছবি : সংগৃহীত

'বিদ্রোহী' শচিন পাইলটকে রাজস্থান রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সম্ভাব্য 'মরুঝড়' মোকাবেলা করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এর মাধ্যমে নাটকীয় মোড় নিলো রাজস্থানের রাজনীতি।

মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করায় দলের কড়া শাস্তির মুখে পড়লেন সচিন পাইলট। তাকে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পাইলটকে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা।

মঙ্গলবারই পাইলটসহ ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবনা পাশ হয় জয়পুরে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে। ওই বৈঠকে ফের রাজস্থানের পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন গহলৌত। তার পরেই পাইলটকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। অন্য দিকে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। এর পর তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার মতো কঠোর সিদ্ধান্তের পথেও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড হাঁটতে পারে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।

মুখ্যমন্ত্রী গহলৌতের বিরুদ্ধে কার্যত ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে সচিন পাইলট দিল্লি আসার পর চতুর্থ দিনে এসে নাটকীয় মোড় নিল রাজস্থানের রাজনৈতিক টানাপড়েন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দলের ১০২ জন বিধায়ককে হোটেলবন্দি করেছে কংগ্রেস। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে বেশি। এর পর গতকাল এক দফা পরিষদীয় দলের বৈঠক করে কংগ্রেস। তাঁর দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে সচিন পাইলটকে জয়পুরে ফিরে ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দলের হাই কম্যান্ড। কিন্তু তাতে কার্যত কর্ণপাত করেননি রাজস্থানের নাম্বার-টু।

এর পর মঙ্গলবার ফের পরিষদীয় দলের বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু তিনি জয়পুরে ফেরেননি। এই পরিস্থিতিতে তাকে ছাড়াই পরিষদীয় দলের বৈঠক হয় এবং সেখানে গহলৌতকেই ফের পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচন করেন তার অনুগামী বিধায়করা। তার পরেই পাইলট ও তাঁর অনুগামী বিধায়ক যারা বৈঠকে গরহাজির ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাবনা পাশ হয় ওই বৈঠকে। শেষ পর্যন্ত তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলের হাইকম্যান্ড। একই সঙ্গে দলীয় পদ থেকেও তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় দল।

কংগ্রেসে এই ‘মরুঝড়’-এর সুযোগ নিয়ে ময়দানে নেমেছে বিজেপিও। তাদের বক্তব্য, আস্থা ভোট ছাড়া রাজস্থান বিধানসভায় আর কোনও বিকল্প খোলা নেই। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জয়পুরে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব এক দফা বৈঠক করেছেন। দিল্লি থেকে জয়পুর যাচ্ছেন রাজস্থানে দলের পর্যবেক্ষক ওম মাথুর।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement