২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

এই নাহলে বর! মা-বাবার পছন্দের পাত্রী ও প্রেমিকাকে একসাথে বিয়ে

- ছবি : সংগৃহীত

ভালবাসা পরম পাওয়া। সবার ভাগ্যে জোটে না। তবে কারোর ক্ষেত্রে সেটা ভিন্নমাত্রায় রূপ নেয়। যেমন ভারতের মধ্যপ্রদেশের এই যুবক। একই মণ্ডপে দুই কনের গলায় মালা দিলেন তিনি!

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ঘটনা গত বুধবারের। মিঞা-বিবি তো রাজি বটেই, দুই থুড়ি তিন পরিবারও এমন ‘অভিনব’ বিয়েতে হাসিমুখে সম্মতি দিয়ে দেয়। ছেলে সন্দীপ উইকের জন্য রীতিমতো বউ পছন্দ করে দিলেন মা-বাবাই। আর অন্যজন পাত্রের প্রেমিকা। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতে সমস্ত আচার-রীতি মেনেই পরিণয় সম্পন্ন হল। কিন্তু একই মণ্ডপে একসঙ্গে দুই কনেকে বিয়ে? এ কীভাবে সম্ভব?

আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই এ কাজ করেছেন মধ্যপ্রদেশেরে বেতুলের সন্দীপ। ভোপালে পড়তে গিয়ে হোশাঙ্গাবাদ জেলার তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় তার। ধীরে ধীরে ভালবাসা নিবিড় হয়। বাড়ে ঘনিষ্ঠতা।

আর সেই সময়ই তখন বাড়িতে তার জন্য পাত্রীর খোঁজ শুরু করে দেন সন্দীপের মা-বাবা। কোয়লারি গ্রামের এক তরুণীকে বউ হিসেবে মনেও ধরে তাদের। ঠিক করে ফেলেন, এই মেয়ের সঙ্গেই ছেলের বিয়ে দেবেনঅ

কিন্তু ছেলে তো বাড়ি ফিরে সব কথা শুনে থ। তার যে প্রেমিকাকেই জীবনসঙ্গিনী হিসেবে চাই। তাহলে উপায়? সন্দীপ ও তার পরিবার পঞ্চায়েতের শরণাপন্ন হয়।

পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়ে দেন, দুই তরুণীরই বিয়েতে আপত্তি না থাকলে উভয়কেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারেন সন্দীপ। এমন সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যায় তিন পরিবারই। ব্যস, বাকিটা তো ছিল সময়ের অপেক্ষা।

তবে গল্পের হ্যাপি এন্ডিংয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পুলিশ। আইন ভেঙে এমন কাজ করায় ঘটনার তদন্তে নেমেছে তারা।

সেই সঙ্গে পুলিশের তরফে এও জানানো হয়, করোনা আবহে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন। কিন্তু পাত্র-পাত্রী- কোনোপক্ষই অনুমতি চায়নি। তাই কিভাবে অনুষ্ঠান হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement