২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কুরবানি নিয়ে দেওবন্দ ও শরীয়াহ কাউন্সিলের বক্তব্য

কুরবানি নিয়ে দেওবন্দ ও শরীয়াহ কাউন্সিলের বক্তব্য - ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আর কয়েক সপ্তাহ বাকি৷ কোভিড-১৯-এর বর্তমান পরিস্থিতিতে কুরবানি করা এড়ানো যাবে কি না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ ভারতের একটি সাম্প্রদায়িক মহল মুসলিমদের ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপের জোরদার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷ ভারতের বহু জায়গায় মুসলিমদের পশু কুরবানি করতে নিষেধ করা হচ্ছে৷

কিন্তু উপমহাদেশের বিশ্বখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, পশু কুরবানির বিকল্প নেই৷ হযরত ইব্রাহিম আ. পশু কুরবানির মাধ্যমে এই ইবাদত চালু করেছিলেন৷ শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর সময়েও তা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে৷ কোনো প্রেক্ষাপটেই একজন সামর্থ্যবান মুসলিম আল্লাহকে রাজি-খুশি করার উদ্দেশ্যে কুরবানি করা থেকে বিরত থাকতে পারেন না৷

এই একই সুর শোনা গেছে জামায়াতে ইসলামি হিন্দের শরীয়াহ কাউন্সিলের কণ্ঠেও৷ তাদের মত, লকডাউন বিধি মেনেই ভারতের মুসলিমরা কুরবানি করুক৷ এতে কোনো অসুবিধা নেই৷ তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তারা নিতে পারে৷ এটা কোনো প্রথা নয়৷ আল্লাহর নির্দেশ৷ কোনো দান-খয়রাত বা সমাজসেবা কুরবানির বিকল্প হতে পারে না বলে শরীয়াহ কাউন্সিল জানিয়েছে৷

জামায়াতে ইসলামির শরীয়াহ কাউন্সিল নির্দিষ্ট গাইডলাইনও দিয়েছে৷ রাস্তা, ফুটপাতের উপর কুরবানি করতে নিষেধ করা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যবিধি ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে কাউন্সিল বিশেষ গুরুত্ব দিতে অনুরোধ জানিয়েছে৷ কুরবানির পর রক্ত, হাড় যেন যথাস্থানে ফেলা হয় সে পরামর্শও তারা দিয়েছে৷

কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ ভারতের মুসলিমরা বাড়িতেই আদায় করেছিলেন৷ ঈদ-উল-আযহাও বাড়িতেই পালন করার অনুরোধ জানিয়েছে শরীয়াহ কাউন্সিল৷

এদিকে দেওবন্দ আরো জানিয়েছে, কেউ যদি নির্দিষ্ট দিনে কুরবানি করতে সক্ষম না হন, তবে তাকে কুরবানির পশুর সমপরিমাণ অর্থ দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করতে হবে৷

সূত্র : পূবের কলম


আরো সংবাদ



premium cement