২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দিল্লিতে ১২ দিনে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল

দিল্লিতে ১২ দিনে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল - সংগৃহিত

দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য মাত্র ১২ দিনে তৈরী হলো ১০ হাজার ‘সর্দার পটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার অ্যান্ড হসপিটাল’। লম্বায় ১ হাজার ৭০০ ফুট, চওড়া ৭০০ ফুট হাসপাতালটি তৈরী করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণার সরকারি সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। রোববার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজল হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর সেটা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

দক্ষিণ দিল্লিতে ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই একটি বিশাল জমি রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সেই জায়গাতেই অস্থায়ী ভাবে গড়ে উঠেছে এই হাসপাতাল। রয়েছে ৫০ বেডের মোট ২০০টি আলাদা পৃথক জায়গা। অর্থাৎ মোট ১০ হাজার বেড রয়েছে এই হাসপাতালে। এখানে ২৫০ আইসিইউ শয্যা। একসাথে ১০০০ বেডে অক্সিজেন দেওয়া যাবে রোগীদের। প্রাথমিক ভাবে মৃদু কোভিড আক্রান্ত ও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হবে এই হাসপাতালে।

রোববার সকালে হাসপাতালের সূচনার পর দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বলেন, দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (এনসিআর)-এর বাসিন্দারা এই হাসপাতালের সেবা নিতে পারবেন। তিনি জানান, চিকিৎসক-নার্সের পাশাপাশি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া করোনা আক্রান্তদের জন্য কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছেন মনরোগ বিশেষজ্ঞরাও।

হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লিখেছেন, সর্দার পটেল কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শন করলাম, যা রেকর্ড কম সময়ের মধ্যে টাটা সন্স, প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সাথে সমন্বয় করে বানিয়েছেন ডিআরডিও। এই সঙ্কটের মোকাবিলায় এগিয়ে আসার জন্য ডিআরডিও, টাটা সন্স এবং আমাদের সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।

হাসপাতাল তৈরির কারিগরি ও প্রযুক্তিগত প্রায় সমস্ত বিষয়ের পরিকল্পনা ডিআরডিও’র চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি বলেছেন, এই হাসপাতালে চিকিৎসার সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা রাতদিন সেবা দিবেন। হাসপাতালের পাশাপাশি বিশাল ডাম্পিং গ্রাউন্ডও তৈরি হয়েছে।

চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এই বর্জ্য নষ্ট করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বূপূর্ণ। এ ছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরির প্রযুক্তিও রয়েছে ডিআরডিও-র। সতীশ রেড্ডি বলেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখনও পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে অন্তত ৭০টি পণ্য তৈরি করছে ডিআরডিও। এখন আমরা প্রতি মাসে অন্তত ২৫ হাজার ভেন্টিলেটর তৈরি করতে পারি। এমনকি, বিদেশে রফতানিও করতে পারি।

এই হাসপাতালের পুরো দায়িত্বভার সেনাবাহিনীর। প্রথম মাসের জন্য চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ মিলিয়ে মোট ৬০০ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর মহিলা চিকিৎসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাধুরী কানিতকর বলেন, এই সংখ্যাটা পরে রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী রদবদল হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা 


আরো সংবাদ



premium cement
থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সাথেপ্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে : নসরুল হামিদ গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা

সকল