আতসবাজি বাঁধা আনারস মুখে ফেটে নদীতে দাঁড়িয়েই মৃত্যু গর্ভবতী হস্তিনীর
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুন ২০২০, ০৬:০৩, আপডেট: ০৩ জুন ২০২০, ০৫:৫৭
অবলা পশুদের উপর নৃশংস অত্যাচারের নিদর্শন দেখা গেল ভারতীয় রাজ্য কেরলে। খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়া একটি গর্ভবতী হস্তিনীকে আতসবাজি বাঁধা আনারস ছুড়ে দেয় গ্রামবাসীরা। অগাধ বিশ্বাসে সেটা গিলে ফেলতেই মুখের মধ্যে আতসবাজি ফেটে শুঁড় এবং মুখের ভিতরে গুরুতর ক্ষত হয় হস্তিনীটির। অব্যক্ত যন্ত্রণায় গ্রামময় ছোটাছুটি করলেও কাউকে আঘাত করেনি বা কোনো কিছু ভাঙচুর করেনি হস্তিনীটি। অবশেষে যন্ত্রণা উপশমের চেষ্টায় নদীর ভিতর শুঁড় ডুবিয়ে দাঁড়ায় অসহায় প্রাণীটি। আর সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের মালাপ্পুরম জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে গত ২৭ মে। হস্তিনীটিকে উদ্ধারের চেষ্টায় নামা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য এক বনকর্মী মোহন কৃষ্ণন পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা প্রকাশ্যে এসেছে।
মোহন তার পোস্টে লিখেছেন, ওই হস্তিনীটি আর কয়েক মাসের মধ্যেই শাবক প্রসব করত। খবর পেয়ে তারা দুটি কুনকি হাতি নিয়ে যখন হস্তিনীটিকে উদ্ধারের জন্য যান তখন প্রাণীটি ভেল্লিয়ার নদীর পানিতে শুঁড় আর মুখ ডুবিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্ভবত নদীর পানিতে ব্যথার কিছুটা উপশম খুঁজছিল মরণাপন্ন হস্তিনীটি। তারা অনেক চেষ্টা করলেও প্রাণীটি সম্ভব বুঝতে পেরেছিল যে সে আর বাঁচবে না। সে কারণে আর উঠে আসার চেষ্টা করেনি। অবশেষে ২৭ মে বিকেল চারটের সময় নদীর পানিতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে হস্তিনীটি।
পরে হস্তিনীটিকে সম্মান জানাতে তারা প্রাণীটির মৃতদেহ নদী থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বনের ভিতর সমাধিস্থ করেন বলে জানিয়েছেন মোহন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন পশুপ্রেমীরা।
সূত্র : আজকাল