২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের আটকে রেখেছিল চীন?

লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের আটকে রেখেছিল চীন? - সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের রক্তচক্ষুর মধ্যেই সপ্তাহ দুয়েক আগে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল চীনা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে। এ বার জানা গেল, গত সপ্তাহের শুরুতেও ভারতীয় জওয়ান ও ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (আইটিবিপি) টহলদারি দলের সঙ্গে হাতাহাতি হয় চীনা বাহিনীর। তার জেরে ভারতীয় জওয়ান ও আইটিবিপির টহলদারি দলকে আটক করে রেখেছিল চীনা বাহিনী। বাজেয়াপ্ত করেছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্রও। তবে শেষমেশ দু’তরফের কমান্ডারদের মধ্যে বৈঠকের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভারতীয় জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র সমেত ছেড়ে দেয় চীনা বাহিনী। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র। ভারতের আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।

খবরে বলা হয়, ভারত সরকারের এক শীর্ষ আমলা একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ‘‘গত বুধবার ভারতীয় জওয়ান ও চীনা বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে হাতাহাতি বাধলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। আমাদের বেশ কয়েকজন জওয়ানকে আটক করে চীন। পরে যদিও সকলকে ছেড়ে দেয় তারা।’’ প্যাংগং লেকের কাছে গোটা ঘটনাটি ঘটে বলে জানান তিনি। ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বিষয়টি জাননো হয়েছে।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে খবর এসে পৌঁছেছে, সেই অনুযায়ী, সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল চীনা বাহিনী। শুধু তাই নয়, মোটর বোটে চেপে প্যাংগং লেকে নজরদারি চালাতেও শুরু করেছিল তারা। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি বেধে যায় এবং তা চরম আকার ধারণ করে। দু’পক্ষের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে উত্তেজনা কমলেও, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এখন পর্যন্ত। শুক্রবারই লেহ-তে ফোর্টিন্থ কোরের সদর দফতরে যান ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নরবণে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।

ভারতীয় এক সেনা অফিসার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। লাদাখের উত্তর সাব সেক্টরে গালওয়ান নদীর তীর বরাবর তিনটি তাঁবু ফেলেছে চীন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে ভারতও। প্যাংগংয়ের উত্তরে, দেমজক এবং গালওয়ান উপত্যকা এলাকায় তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান করছে দু’পক্ষের সেনা। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিদিন রিপেোর্ট নিচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল।

এ মাসের শুরুতে পূর্ব লাদাখে চীনা হেলিকপ্টারও চেখে পড়েছিল বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। কিন্তু লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে চীনা ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের রাস্তা ও সেতু নির্মাণ নিয়ে আপত্তি তুলে আসছে চীন। সেই পরিস্থিতিতেই গত ৯ মে উত্তর সিকিমের নাকু লা সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে চীনা বাহিনী। তাতে দু’পক্ষেরই কয়েক জন আহত হন। স্থানীয় স্তরে আলোচনার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। অভিযোগ ওঠে, নাকু লা সেক্টরে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে এগোচ্ছিল চীন।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল