২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে এক দিনে সর্বোচ্চ আক্রান্ত

ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৭ হাজার ৩৩৬ জন। - ছবি : এনডিটিভি

ভারতে এখনো পর্যন্ত একদিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেল। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার সকালে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ওই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৩ জন। এর ফলে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩৭ হাজার ৩৩৬ জন। অত্যন্ত সংক্রামক কোভিড-১৯ এর কবলে পড়ে মারা গেছেন মোট ১ হাজার ২১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭১ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি রয়েছে ভারতে। ৩ মে সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষের আগেই দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে, সেটি আরও দু'সপ্তাহ বাড়ানো হচ্ছে। তবে এই মহামারিকে রুখতে সবকিছু বন্ধ থাকার জেরে বিরাট অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখে ভারত। সেই কারণেই লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানো হলেও কিছু কিছু কর্মক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্বের বিধিনিষেধ মেনে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ‘সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি আছে’ এমন এলাকাগুলোকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সেখানে লকডাউনের কড়া বিধিনিষেধ জারি থাকবে, কিন্তু যে জায়গাগুলোতে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ায়নি অর্থাৎ ‘গ্রিন জোন’, সেখানে লকডাউনের বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করা হবে ৪ মে থেকে। ‘অরেঞ্জ জোন’ও অনেকগুলো ক্ষেত্রেই ছাড় পাবে বলে জানিয়েছে সরকার।

অর্থনৈতিকভাবে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো, যেমন - দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই এবং আমেদাবাদকে চিহ্নিত করা হয়েছে রেড জোন হিসাবে; ফলে ওই শহরগুলো পরবর্তী দুই সপ্তাহেও কঠোর লকডাউনের মধ্যেই থাকবে। পাশাপাশি দেশ জুড়ে বন্ধ থাকবে বিমান, রেল, মেট্রো এবং সড়ক পরিবহণ। এমনকি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলাচলও সারা দেশে নিষিদ্ধ থাকবে এই সময়। বন্ধ থাকবে দেশের সমস্ত স্কুল, কলেজ, হোটেল, রেস্তোরাঁ; সিনেমা, মল, শপিং সেন্টার, জিম এবং স্পোর্টস কমপ্লেক্স। কোনো রকম সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় জমায়েত করা যাবে না।

ভারত জুড়ে করোনাভাইরাসের হটস্পট বা ‘রেড জোন’-এর সংখ্যা ক্রমশই কমছে। সরকার জানাচ্ছে যে গত ১৫ দিনের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ কমেছে দেশের অতি সংক্রমিত এলাকাগুলো। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৫ এপ্রিল যেখানে অতি সংক্রমিত এলাকাগুলোর সংখ্যা ছিল ১৭০ সেখানে ৩০ এপ্রিল তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১৩০-এ। যদিও একেবারে সংক্রমণ নেই এমন এলাকা অর্থাৎ ‘গ্রিন জোন’-এর সংখ্যাও কমে গেছে। আগে যেখানে দেশে ‘গ্রিন জোন’ ছিল ৩৫৬টি, এখন সেটি কমে গিয়ে হয়েছে ৩১৯টি। কিন্তু ‘রেড জোন’ কমার ফলে এটাই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, দেশে এবার ধীরে ধীরে করোনা ভাইরাসের তীব্রতা হ্রাস পাচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি


আরো সংবাদ



premium cement