১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে ১‌০ কোটি মানুষ করোনার শিকার হতে পারেন!

লকডাউন অমান্যকারীদের নানাভাবে শাস্তি দেয়া হয় ভারতে - সংগৃহীত

আগামী দু' মাসে ভারতের দশ কোটি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন৷ শুধু তাই নয়, জুলাই মাসের মধ্যে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ কোটি ছুঁয়ে ফেলতে পারে৷ জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি এবং সেন্টার ফর ডিজিসেস, ডাইনামিক্স অ্যান্ড পলিসি (সিডিডিইপি)- তৈরি করা রিপোর্টে এমনই আশঙ্কার কথা প্রকাশ করা হয়েছে৷

ভারতে করোনা ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে গোটা ভারতে লকডাউন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বৃহস্পতিবারও সরকারের তরফে যুগ্ম স্বাস্থ্যসচিব লব আগরওয়াল দাবি করেছেন, ভারতে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণের কোনো প্রমাণ মেলেনি৷ যদিও ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ৭০০ ছাড়িয়েছে৷ সরকারের এখনও দাবি, ভারতে করোনা ভাইরাস স্টেজ থ্রি-তে প্রবেশ করেনি৷ সরকারের এই দাবিকে খারিজ করে দিয়ে এই রিপোর্টে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, মার্চের শুরুর দিকেই ভারতে কোভিড ১৯ স্টেজ থ্রি-তে ঢুকে পড়ে সামাজিক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে৷

মূলত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার গতি, কোন বয়স ও লিঙ্গের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ বেশি ছড়াচ্ছে, কতজনের মধ্যে সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে ও মৃত্যুর হার খতিয়ে দেখে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে৷

ওই রিপোর্টে আরো দাবি করা হয়েছে, ভারতজোড়া লকডাউন করে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে না৷ বরং দেশের অর্থনীতির উপরে তার প্রভাব পড়বে মারাত্মক৷ যার জেরে খাদ্য সঙ্কটের মতো সমস্যা দেখা দেবে, ফলে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছবে, তখন মানুষের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে৷ দেশের কয়েকটি রাজ্যে আগামী দু' সপ্তাহে গোষ্ঠী সংক্রমণ অনেকটাই বাড়বে বলেও রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যে সময়ে অর্থনীতির উপর প্রভাব না ফেলেই মহামারি রোধ করা সম্ভব, সেই সময়ই লকডাউন আরো জোরালো করা উচিত৷' সীমান্ত বন্ধ করেও এই সময়ে খুব একটা ভালো ফল পাওয়া যাবে না বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে৷

একই সঙ্গে রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, খুব শিগগিরই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ভারতে দশ লাখ ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে মাত্র ৩০ থেকে ৫০ হাজার ভেন্টিলেটর রয়েছে৷ পাশাপাশি, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যেও মৃত্যুর হার অনেকটা বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে৷ সেই কারণেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য আরো বেশি করে মাস্ক ও গাউনের মতো সরঞ্জামের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে৷
সূত্র : নিউজ ১৭


আরো সংবাদ



premium cement