২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মৃত্যুর আগে ২৩ জনকে সংক্রমিত করেছেন পাঞ্জাবের বৃদ্ধ!

হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে অনেকের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন করোনা-আক্রান্ত হয়ে মৃত পঞ্জাবের বৃদ্ধ। - সংগৃহীত

বিদেশ থেকে ফিরে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেননি। উল্টা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। মেলামেশা করেছেন অন্তত ১০০ জনের সঙ্গে। নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে মৃত প্রথম ব্যক্তির সম্পর্কে এমন তথ্যই জানতে পেরেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসনের দাবি, রাজ্যের ৩৩ জন আক্রান্তের মধ্যে অন্তত ২৩ জনই তার সংস্পর্শে আসার ফলে সংক্রমিত হয়েছেন। ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তাদের খোঁজ শুরু করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

এই ঘটনাকে একটা 'অশনি সঙ্কেত' হিসাবে দেখা উচিত বলে মনে করছেন অনেকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা এতে সংক্রমিত হয়ে মৃতের সংখ্যার নিরিখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে বা এ রাজ্যেও তুলনামূলকভাবে আশঙ্কা কম বলে এখনো অনেকেরই ধারণা। তবে পাঞ্জাবের এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, করোনায় আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শেও একাধিক মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। করোনা-অতিমারি নিয়ে সচেতনতার অভাব এ রাজ্যেও। প্রকাশ্য জমায়েত তেমন না দেখা গেলেও সামাজিক মেলামেশায় রাশ টানেননি অনেকেই। পাঞ্জাবের এই উদাহরণ থেকে অন্তত শিক্ষা নেয়া উচিত বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে গত ১৮ মার্চ মৃত্যু হয় পঞ্জাবের ওই ব্যক্তির। পাঞ্জাব প্রশাসন জানিয়েছে, শহিদ ভগৎ সিংহ নগর জেলার বাসিন্দা বছর সত্তরের ওই বৃদ্ধ স্থানীয় একটি গুরুদ্বারের পুরোহিতের কাজ করতেন। পাশের গ্রামের দুই বন্ধুর সঙ্গে দু’সপ্তাহের জন্য জার্মানি ও ইতালিতে গিয়েছিলেন তিনি। বিদেশ সফর সেরে ৬ মার্চ দেশে ফেরেন ওই বৃদ্ধ। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পর সে দিন গাড়িতে করে পাঞ্জাবে তার নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। তার মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে ফেরার পর স্বাস্থ্য দফতরের করোনা সংক্রান্ত কোনো নির্দেশিকাই মানেননি তিনি। ওই বৃদ্ধের পাশাপাশি তার দুই বন্ধুও বিদেশ থেকে ফিরে বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে এলাকায় অনেকের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। এমনকি, দেশে ফেরার পর ৮ মার্চ থেকে ১০ মার্চ আনন্দপুর সাহিবে একটি অনুষ্ঠানেও যোগদান করেন। সেখানেই অন্তত ১০০ জন তার সংস্পর্শে এসেছেন। শুধু তা-ই নয়, ওই বৃদ্ধ এবং তার দুই বন্ধুও আশপাশের অন্তত পনেরোটি গ্রামে ঘোরাফেরা করেছেন।

পাঞ্জাবের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধের নিজের পরিবারে ১৪ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত। তার নাতি-নাতনিরাও অজস্র মানুষজনের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন। এই তথ্য জানার পর স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তারা ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা মানুষজনের খোঁজ শুরু করেছেন।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল