১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শাহীনবাগের ধরনা মঞ্চ তুলে দিলো দিল্লি পুলিশ

করোনাভাইরাসের কারণে দিল্লিতে লকডাউনের অংশ হিসেবে শাহীনবাগের ধরনা মঞ্চ তুলে দেয় পুলিশ - ছবি : সংগ্রহ

দিল্লির যে শাহীনবাগ ভারতের বিতর্কিত নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেছিল, মঙ্গলবার সকালে দিল্লি পুলিশ সেই ধরনা মঞ্চ জোর করে তুলে দিয়েছে।

পুলিশ বলছে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় রাজধানীতে যেহেতু ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে - তাই শাহীনবাগকেও আর চলতে দেওয়া সম্ভব নয়।

মঙ্গলবার সকাল সাতটা নাগাদ দিল্লি পুলিশের একটি দল শাহীনবাগে গিয়ে ধরনা মঞ্চ খালি করে দেয়ার দাবি জানায়।

কিন্তু সেখানে তখন হাতে গোনা যে কয়েকজন প্রতিবাদকারী ছিলেন, তারা তাতে বাধা দিলে আধঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ জোর করে তাদের তুলে দেয়।

ঘটনাস্থল থেকে ছয়জন মহিলা ও তিনজন পুরুষসহ মোট নয়জনকে আটক করা হয়।

এর ফলে সেই গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে নাগরিকত্ব আইন ও প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে শাহীনবাগে লাগাতার যে আন্দোলন চলছিল, ঠিক ১০১ দিনের মাথায় এসে তার অবসান হলো।

শাহীনবাগে অবশ্য গত দু-তিন দিন ধরেই একটা সময়ে মাত্র পাঁচজন করে প্রতিবাদকারী ধরনা মঞ্চে থাকছিলেন - যাতে ১৪৪ ধারার শর্ত লঙ্ঘিত না হয়।

বাকিরা ধরনা মঞ্চে তাদের চটি বা চপ্পল রেখে আন্দোলনের প্রতি তাদের সংহতি প্রকাশ করছিলেন।

গত সাড়ে তিন মাসে শাহীনবাগ যেমন দেশের নানা প্রান্ত থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছে এবং ভারতের বহু শহরে শাহীনবাগের ধাঁচে প্রতিবাদও শুরু হয়েছে - তেমনি এই আন্দোলনের ধারা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।

যেহেতু শাহীনবাগের মঞ্চ রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী নয়ডা শহরের সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক আটকে রেখেছিল, তাতে বহু লোকের যাতায়াতে ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছিল।

তাদের অনেকেই শাহীনবাগ তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন। অবশেষে করোনাভাইরাস সঙ্কট দিল্লি পুলিশের সে কাজ সহজ করে দিলো।

এদিকে কলকাতা থেকে সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, শহরের পার্ক সার্কাসে শাহীনবাগের ধাঁচে যে লাগাতার ধরনা চলছে তার আয়োজকরাও সেটি এখন সীমিত আকারে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

গত রাতে তারা জানান, এখন থেকে পার্ক সার্কাসের মঞ্চে মাত্র সাতজন করে নারী-পুরুষ প্রতিবাদকারী থাকবেন। বাকিরা নিজেদের চটি রেখে দিয়ে আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।
সূত্র : বিবিসি

 


আরো সংবাদ



premium cement