২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

মাথায় তিলক নেই কেন- সাংবাদিককে প্রশ্ন হামলাকারীর

দিল্লির সহিংসতার ছবি - সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বহু সাংবাদিক। অনেক স্থানে তাদের নিজেদের ধর্ম প্রমাণ করতে বলে হামলাকারী ও দাঙ্গাবাজরা। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। অন্যদের হুমকি শুনতে হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের দুই সাংবাদিক সৌম্য পিল্লাই ও ফারিহা ইফতিখার দিল্লির ভজনপুরায় গিয়েছিলেন খবর সংগ্রহ করতে। সেখানে তাদের পিছু নেয় দুই মোটরবাইক। পিল্লাই বলেন যে- প্রথমে অনেক লোক তাদের গাড়ি ঘিরে ফেলেছিল। কোনো ক্রমে সেখান থেকে বেরোলেও বাইকধারীরা পিছু নেয়। জোরে গাড়ি চালিয়ে ওই অঞ্চল থেকে বেরোতে সক্ষম হন তারা।

দাঙ্গাবাজ ও হামলাকারীরা প্রায় সব সাংবাদিককেই হুঁশিয়ারি দেন যে- সংবাদ সংগ্রহের সময় ঘুণাক্ষরেও যেন মোবাইল ফোন ও নোটবুক বের না করা হয়। অনেক সাংবাদিককে নিজের ধর্মীয় পরিচয় দিতে বলে দুষ্কৃতিকারীরা। হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক অন্ভিত শ্রীবাস্তবকে কারওয়াল নগরের কাছে আটকায় জনতা। বলে যে তুমি হিন্দু, তার প্রমাণ দাও। অন্ভিত নিজের আইডি কার্ড দেখায়। তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। কপালে তিলক, গলায় লকেট বা মালা ইত্যাদির খোঁজে ছিল এরা। কিছুই দেখাতে পারেনি অন্ভিত। তখন ভিঁড়ের মধ্যে থেকে একজন প্রশ্ন করে, মাথায় তিলক কাটিস না কেন? অন্ভিত জানিয়েছে যে- হামলাকারীরা কিছুতেই তাকে ছাড়ছিল না। পরে আইডি কার্ডের বরাতে কপালজোরে রক্ষা পান তিনি।

প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই হাতে লাঠি ও রড নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছিল দাঙ্গাবাজরা। মুখে মুখোশ বেঁধে নিয়েছিল তারা, যাতে কেউ পরিচয় না জানতে পারে। এনডিটিভি-র দুই সাংবাদিককে ধরে বেদম মারপিট করা হয়েছে মঙ্গলবার।

অন্যদিকে আকাশ নামের এক সাংবাদিকের ছবি ভাইরাল হয়েছিল যে- তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের পক্ষে সেই খবরের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সাংবাদিকদের ওপরে হওয়া এই অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করেছে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


আরো সংবাদ



premium cement