১৪ জন মৃত্যুর পর সেই জাহাজটি সরিয়ে নিচ্ছে পাকিস্তান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:৫১
পাকিস্তানে সয়াবিন বহনকারী দুর্গন্ধ ছড়ানো জাহাজটিকে করাচি বন্দর থেকে কোর্ট কাসিমে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। করাচি বন্দর কর্তৃপক্ষের (কেপিটি) মুখপাত্র মোহাম্মদ শরিক বুধবার এ তথা জানান।
এ জাহাজের সয়াবিনের উচ্ছিষ্টের দুর্গন্ধে করাচির কিমারি এলাকার লোকজন মারাত্মক শাসকষ্টে পড়েছেন। বিষাক্ত গ্যাসে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন এবং চার শতাধিক লোক অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আক্রান্তরা জানিয়েছেন, তারা শ্বাসকষ্ট, নাকে পোড়া অনুভূতি, চোখ দিয়ে পাড়ি পড়া এবং গলায় চুলকানির সমস্যায় পড়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সাইন্সের (আইসিসিবিএস) পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী করাচির কমিশনার ইফতিখার শালওয়ানিকে মঙ্গলবার এক চিঠিতে জানিয়েছেন, বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্তদের রক্ত ও মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সাথে পরীক্ষা করা হয়েছে সয়াবিনের উচ্ছিষ্টের সংগৃহীত নমুনাও।
তিনি এ ঘটনার জন্য সয়াবিনের উচ্ছিষ্টের প্রকট দুর্গন্ধকেই এজন্য দায়ী করছেন।
কেপিটির মুখপাত্র জানান, কর্তৃপক্ষ জাহাজটিকে সকালের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু ভাটার কারণে তা করা যায়নি। জোয়ার এলে রাত ৮টার দিকে হয়তো তা সম্ভব হবে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এলাকাটির পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার রাত পর্যন্ত ৯০ জনের মতো আক্রান্ত হলেও তাদের অবস্থা মারাত্মক নয়।
ডাক্টর জিয়াউদ্দিন হাসপাতালের মুখপাত্র আমির শেহজাদ বুধবার জানিয়েছেন, হাসপাতালটির কিমারি ক্যাম্পাসে মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় অন্তত ৮২ জন রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছে।
‘তাদের কেউ মারাত্মক অবস্থায় ছিল না এবং তাদেরকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে’, বলেন তিনি।
কিমারিতে পাওয়া গেছে হাইড্রোজেন সালফাইড, নাইট্রিক অক্সাইড পাওয়া গেছে
মঙ্গলবার একটি প্রাইভেট ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ওই এলাকার গত দুই দিনের বাতাসে মারাত্মক দূষণ পাওয়া গেছে। এ দূষণের প্রধান কারণ ক্ষতিকারণ দু’টি গ্যাস। তবে তা জীবনকে বিপন্ন করে তোলার পর্যায়ে ছিল না।
গ্লোবাল এনভাইরনমেন্টাল ল্যাবরেটরির (জিইএল) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অনেক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে জিয়াউদ্দিন হাসপাতালের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বাতাসের নমুনায় হাইড্রোজেন সালফাইড ও নাইট্রেক অক্সাইড গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
তিনি এও জানান, স্বাস্থ্যকর বাতাসে ক্ষতিকর এ গ্যাস দু’টির অস্তিত্ব থাকে না।
সূত্র : ডন
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা