২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুসলমানদের নিয়ে যোগীর নতুন বিতর্কিত মন্তব্য

যোগী আদিত্যনাথ - ছবি : এএফপি

ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন শেষে অর্থাৎ দেশভাগের সময় যেসব মুসলমান ভারতে থেকে গিয়েছিলেন, তারা ভারতে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে ‘ধন্য’ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সবচেয়ে বিতর্কিত ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের একজন যোগী আদিত্যনাথ।

বিবিসি হিন্দিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, বিক্ষোভকারীরা ভারতে ‘বিভাজনের আগুন’ উস্কে দিচ্ছে।

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ করে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এছাড়া তিনি দাবি করেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে মুসলমানেরা কষ্টে নেই, সেসব জায়গায় কষ্টে আছে হিন্দু, জৈন এবং শিখরা। সুতরাং তাদের সুরক্ষা প্রয়োজন।’

আদিত্যনাথ ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অন্যতম শীর্ষ নেতা।

ভারতের ২০ কোটি মুসলমানের অন্তত এক-চতুর্থাংশ এ রাজ্যে বাস করেন।

সম্প্রতি তার সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের দমনে, বিশেষ করে মুসলমানদের ওপর অতিরিক্ত বল প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন, এবং পুলিশের সাথে সহিংস সংঘর্ষে অনেকে মারাও গেছেন।

বিক্ষোভকারীরা প্রায়শই অভিযোগ করে আসছেন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে।

আর এই অভিযোগ আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তর প্রদেশেই সবচেয়ে বেশি, সেখানে এ পর্যন্ত ১৯ জন মানুষ মারা গেছেন।

এছাড়া মুসলমানদের ওপর হুমকি ও হামলার বহু অভিযোগ রয়েছে।

রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী, বিশেষ করে মুসলমানদের কারাবন্দী করা হয়েছে।

পুলিশের বলপ্রয়োগের অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি।

এছাড়া বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনাকে ‘জাস্টিফাই’ করে বা বৈধতা দিয়ে আদিত্যনাথ বিক্ষোভকারীদের ‘সহিংস’ অভিহিত করে বলেন, ‘অস্ত্রধারী ও বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা জনগণের সম্পদ নষ্ট করা শুরু করলে তাদের পুলিশ দিয়ে দমন করা হয়েছে।’

আবারো বিক্ষোভকারীদের দমনে এমন উদ্যোগ তিনি নেবেন কি না এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, তারা যদি কোনো আইনের, যেটা বৈষম্যমূলক নয়, তার বিরোধিতা করতে গিয়ে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করে তাহলে তাই করা হবে।’

২০১৭ সালে আদিত্যনাথ ক্ষমতায় আসার পর থেকে তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক হারে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

জবাবে তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ‘এমন কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। আমার বিরোধিতাকারীরা আমার নামে গুজব রটাচ্ছে, কিন্তু আমাদের প্রশাসন দারুণ গতিতে চলছে।’

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement