পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যুদ্ধের হুমকি আছে : পাকিস্তান সেনাবাহিনী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৪:০০
বিদ্যমান সংকটজনক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনো যুদ্ধের হুমকি রয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বুধবার সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী গণসংযোগ বিভাগের (আইএসপিআর) ডিরেক্টর জেনারেল ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনালের আসিফ গফুর একথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন, পাকিস্তান কেবল ভারতের হামলা ও আগ্রাসনের জবাব দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত কি পদক্ষেপ নিবে তার উপরই নির্ভর করছে বিদ্যমান উত্তেজনা দূর হবে কিনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কাশ্মির সমস্যার সমাধান করতে হলে ওই অঞ্চলে শান্তি বজায় রেখেই করতে হবে।
মেজর জেনারেল আসিফ গফুর আরো বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ও প্যালেট বন্দুক ব্যবহার করে ভারত কাশ্মিরী জনগণের ওপর নির্যাতন করছে।
এর আগে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, যেকোনো ধরণের ভারতীয় হামলা ও আক্রমণের সমুচিত জবাব দেয়ার সক্ষমতা পাকিস্তানের সামরিকবাহিনীর আছে। পাকিস্তান এই অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করতে চায় না বলেও জানান তিনি।
সিএনএনকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই মুখপাত্র বলেন,‘২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজমান ছিল। ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখে পাকিস্তানের আকাশসীসা লঙ্ঘন করে ভারত। এরপর ২৭ তারিখ পাল্টা হামলা চালিয়ে দুটি ভারতীয় মিগ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান এবং একজন পাইলটকে আটক করা হয়। পরে আবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়।’
তিনি বলেন, কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর আত্মঘাতী হামলার পর ভারতকে তদন্তকাজে সহায়তার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সে সময় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে নির্ধারিত হটলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মেজর জেনারেল আসিফ গফুর বলেন,‘ভারতের পক্ষ থেকে লিখিত কিছু দলিলপত্র পাওয়া গেছে এবং সে অনুযায়ী তদন্ত চলছে। তাছাড়া ভারতের পাঠানো কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন,‘জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার (এনএপি) বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। কারো চাপে পড়ে কোনো কাজ করা হচ্ছে না। ২০১৪ সাল থেকে এনএপি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। আমরা নিজেরাই আমাদের কাজ করছি, কারণ ২০১৪ সালে তো পুলওয়ামার ঘটনা ঘটেনি।’ সূত্র : দুনিয়া নিউজ।
আরো পড়ুন : নিজেদের তৈরি জেএফ-১৭ দিয়েই ভারতের মিগ ২১ ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (০৪ মার্চ ২০১৯)
গত বুধবার পাকিস্তানে হামলাকারী ভারতের দুটি মিগ ২১ যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান। এ দুটি বিমানের একজন পাইলটকেও তারা আটক করেছিল। সিএনএনের একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভারতের মিগ ভূপাতিত করতে পাকিস্তান চীনের নকশায় নিজেদের তৈরি জেএফ-১৭ ব্যবহার করেছিল।
ভারত দাবি করেছিল, তারা একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে, যেটি আজাদ কাশ্মিরে বিধ্বস্ত হয়। ইসলামাবাদ ভারতের এই দাবি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, তারা এ অভিযানে কোনো বিমান হারায়নি। অন্যদিকে পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের দুটি মিগ-২১ বিমান বিধ্বস্ত করেছে। তাদের দাবির সমর্থনে ভারতের বিধ্বস্ত মিগ-২১ বিমানের ছবিও প্রকাশ করে।
সিএনএনের রিপোর্টে আরো বলা হয়, সামরিক শিল্পে ভারতের বেশ ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে চীনের সহায়তায় পাকিস্তান নিজেরাই জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করছে।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে জানতে চায়, তারা ভারতে অভিযান চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কোনো বিমান ব্যবহার করেছে কি না? এটি হলে তা হবে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে এফ-১৬ বিমান বিক্রির চুক্তির লঙ্ঘন।
মার্কিন দূতাবাসের একজন মুখপাত্র জানান, আমরা এ রিপোর্টের ব্যাপারে খুবই সতর্ক এবং এ ব্যাপারে আরো তথ্যের অপেক্ষায় আছি। তিনি আরো বলেন, আমরা এ ধরনের ক্ষেত্রে চুক্তির ধারাগুলোর লঙ্ঘনের ব্যাপারে সব ধরনের অভিযোগ খুবই গুরুতরভাবে বিবেচনা করি।
এ অবস্থায় এশিয়া-প্যাসিফিক কলেজ অব ডিপ্লোমেসি উইথ এক্সপার্টিস অন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান-এর একজন অতিথি গবেষক নিশাঙ্ক মতওয়ানি সিএনএনকে বলেন, এ উপমহাদেশের সামরিক অবকাঠামো নির্মাণে চীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
মতওয়ানি আরো বলেন, এ পর্যন্ত মিগ-২১-এ যত দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং যত পাইলট মারা গেছে, তার জন্য মিগ-২১ কে ভারতীয় পাইলটরা ‘উড়ন্ত কফিন’ বলে আখ্যা দেন।
অন্যদিকে হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অভিযানে জেএফ-১৭ ব্যবহার করেছিল ইসলামাবাদ।
ওই রিপোর্টে বলা হয়, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সাবেক একজন কর্মকর্তা যখন টুইটে বলেন, জেএফ-১৭ ভারতের দুটি মিগ ২১ বিমান ভূপাতিত করেছে, তখনই শেনজেন স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত চেঙফেই ইন্টেগ্রেশন টেকনোলজির শেয়ারের দাম ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এ প্রতিষ্ঠানটি জে-এফ ১৭ নির্মাতা সংস্থা চেংডু এয়ারক্রাফট করপোরেশনের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা