১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় পিতা-পুত্র আটক

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় পিতা-পুত্র আটক - প্রতীকী ছবি

শিশুটির বয়স ৭ বছর। নিখোঁজ ছিল সারাদিন। দেখা নেই কোথাও। পরের দিন তার লাশ পাওয়া যায় নিহাল বিহার নামক জায়গার একটি ফাঁকা স্থানে। আর এই মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আটক করা হয়েছে এক পিতা ও তার ২১ বছর বয়সী পুত্রকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লীতে।

ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশের হাতে অভিযুক্ত পিতা-পুত্র আটক হওয়ার পর ধর্ষিতা শিশুটির পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা নিহাল বিহারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে। তারা আটককৃত দুইজনকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ সেজু পি কুরুভিল্লা বলেন, এই ঘটনায় দেুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত পিতার নাম রাম সরন ও তার ছেলের নাম রাজেন্দর এলিয়াস সতীশ। তিনি বলেন, আটককৃত রাজেন্দর একটি ক্লিনিকে নার্সের সহকারী হিসেবে কাজ করেন এবং ২০১৬ সালে ১৬ বছর বয়সী একটি মেয়েকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় আটক হয়েছিলেন। তার এই দুষ্কর্মে সহযোগীতা করায় সেসময় তার পিতা রাম সরনকেও আটক করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।

জানা যায়, গত শনিবার রাতে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশুটি তার বোনের সাথে বাড়ির পাশের একটি খাবারের দোকানে চাউমিন কিনতে যায়। দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে আসার সময় মদ্যপ রাজেন্দর তাদের দুই বোনের গতিরোধ করে একজনকে বাসায় চলে যেতে বলে। অন্যজনকে সে জোরপূর্বক তার ভবনের চারতলায় নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে।

ধর্ষণের সময় শিশুটি চিৎকার করলে রাজেন্দর শিশুটিকে দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এসময় রাজেন্দরের বাবা ঘরে প্রবেশ করে সন্তানের অপকর্মের প্রত্যক্ষদর্শী হন। নিজের ছেলেকে বাঁচাতে এসময় রাম সরন নিহত শিশুটির লাশ কাপড়ের ব্যাগে ভরে পার্শ্ববর্তী খালি একটি জায়গায় ফেলে দেয়ার পরিকল্পনা করেন।

ঘটনার পর রাজেন্দর তার এক বন্ধুর বাড়িতে আত্মগোপণ করেন। এদিকে নিখোঁজ শিশুর খোজে স্থানীয় থানা পুলিশের পরিদর্শক সুখবীর মালিকের নেতৃত্বে ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করে পিতা-পুত্রকে প্রাথমিক অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এরপর রাম সরনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ কালে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে রাজেন্দরের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপরই রাজেন্দরকে আটক করা হয়। আটককৃত রাজেন্দর এলাকার আর কোনো শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

 

ভারতের গোয়ায় বিদেশী পর্যটককে ধর্ষণ, আটক ১
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (২১ ডিসেম্বর ২০১৮)

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ায় এক ব্রিটিশ পর্যটক ধর্ষণ ও ডাকাতির শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে রেল স্টেশন থেকে হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হামলার শিকার হন ৪৮ বছর বয়সী ওই ব্রিটিশ নারী। এ ঘটনায় এক ভারতীয়কে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে গোয়া একটি। গোয়ার সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছর শত শত বিদেশি পর্যটক ভিড় জমান। বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই ব্রিটিশ নারীও প্রতি বছরই গোয়ায় বেড়াতে আসেন। গত ১০ বছর ধরে প্রতিবছরই ছুটি কাটাতে আসেন তিনি।


পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ক্যানাকোনা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে উত্তর গোয়ার থিভিম স্টেশনে যাওয়ার কথা ছিল বিদেশি ওই নারী পর্যটকের। কিন্তু ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে দেখে পালোলেম সৈকতের কাছে ফিরে যাচ্ছিলেন। তখনই পথে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। ওই ব্রিটিশ নারীকে ধর্ষণের পর তার তিনটি ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায় হামলাকারী। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। অবশ্য রেলস্টেশন ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

এদিকে বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হলেও গোয়ায় বিদেশি পর্যটকের ওপর হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৭ সালে গোয়ায় ছুটি কাটাতে এসে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন আইরিশ নারী ডেনিয়েল ম্যাক্লঘলিন। ২০০৮ সালে গোয়ায় স্কারলেট কিলিং নামে ১৫ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ কিশোরী ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়। তার হত্যাকারীদের এখনও আটক করা যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল