১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তুরস্ক-সোমালিয়া সামরিক চুক্তি

তুরস্ক-সোমালিয়া সামরিক চুক্তি - ফাইল ছবি

ইথিওপিয়া ও সোমালিল্যান্ডের মধ্যে লোহিত সাগর বন্দরে প্রবেশাধিকার বিষয়ে ১ জানুয়ারি ২০২৪ যখন একটি বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে হর্ন অব আফ্রিকায় দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা দেখা দেয়, তার কিছু দিন পরই ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তুরস্ক ও সোমালিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই ঐতিহাসিক চুক্তির লক্ষ্য সোমালিয়ার নৌবাহিনীর সক্ষমতা জোরদার করা এবং ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা জোরদার করা। তুরস্ক সোমালি নৌবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে, যাতে এটি সন্ত্রাসবাদ, জলদস্যুতা ও বিদেশী হস্তক্ষেপের মতো হুমকি থেকে তার আঞ্চলিক জলসীমার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে। চুক্তিটি এক দশকের জন্য কার্যকর থাকবে, যা উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করবে মর্মে আশা করা হচ্ছে।

প্রায় সবাই মনে করেন যে, সোমালিয়ার নিরাপত্তার উদ্বেগজনক হারে অবনতি হয়েছে। মোগাদিসুতে প্রায়ই ট্রাক বোমা হামলায় শত মানুষ নিহত হয়। হামলাকারীরা গোয়েন্দা সংস্থার আইডি কার্ড ব্যবহার করে । জলদস্যুরা সোমালি সমুদ্রসীমায় বহু দিন ধরে দস্যুতা করছে। গোয়েন্দা সংস্থাটির নেতৃত্ব, যোগ্যতা ও কর্তৃত্বের পরিধি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠছে। বলা যায়, সোমালিয়া সময়ের বিরুদ্ধে একটি অস্তিত্বের প্রতিযোগিতায় রয়েছে। সোমালি সরকার আসলে তার নিজস্ব গোয়েন্দা বা সুরক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে কিনা সেটিও অনেকের প্রশ্ন।

আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদের লুণ্ঠনকারীরা সোমালিয়ায় কাজ করছে। তাদের লক্ষ্য সোমালিয়ার অফুরন্ত অব্যবহৃত প্রাকৃতিক সম্পদ। সোমালিয়ার একটি অংশে দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও জাতির প্রতি আনুগত্যহীনতা কাজ করছে যা বিদেশীদের জন্য সুযোগ ও পুঁজি। সরকার প্রতি বছর, একজন নতুন কমান্ডার নিয়োগ করে এবং অন্যজনকে বরখাস্ত করে। প্রাক্তনটি তার নিজস্ব বংশের ক্রোনিদের নিয়ে আসে এবং পরেরটি তার সাথে আনা কর্মীদের নিয়ে যায়।
আল-শাবাবেরও ভালো রেকর্ড নেই। সবার হাতে রয়েছে অস্ত্র, সেটিই সর্বক্ষেত্রে কথা বলে। গোয়েন্দা সংস্থার ভুয়া আইডি কার্ড ৪০০ ডলার দিয়ে যে কোনো নাগরিক ক্রয় করতে পারে। সত্যতা যাচাই করার জন্য কোনো লগিং সিস্টেমও নেই বা করা হয়নি।

রাজনৈতিক উচ্চতর স্তরে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা রয়েছেন যারা সহজেই সোমালিয়ার জাতীয় স্বার্থকে যে কারো পেছনে ফেলে দিয়ে অর্থ ভর্তি ব্যাগ বা পদ অর্জন করতে পারে। তবুও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং দুবাই পোর্টস ওয়ার্ল্ড কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক কভার সরবরাহ করার সময় এরিক প্রিন্সের মতে ‘বিশ্ব শান্তি’ ‘যুদ্ধ, ধ্বংস ও মৃত্যুর মাধ্যমে শান্তি নামে পরিচিত হতে পারে এমন একটি ব্ল্যাকওয়াটার প্রকল্প নিয়েছে। এদিকে, ব্রিটেন টঘঝঙগ, সোমালিয়ায় জাতিসঙ্ঘের সহায়তা মিশনের ছদ্মবেশে, যেকোনো উপায়ে ‘সোমা তেল ও গ্যাসের’ স্বার্থ রক্ষা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও একটি সোমালি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সহযোগিতায় রুটিন গোপন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জনগণ এটিকে সোমালিয়ায় আমেরিকার বিতর্কিত কার্যকলাপ মনে করে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন ফোর্সও সেখানে কাজ করে।

আফ্রিকার সাথে তুরস্কের সামরিক সম্পর্ক শুধু অস্ত্র বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বর্তমানে আফ্রিকায় ৪০টিরও বেশি তুর্কি দূতাবাস রয়েছে এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টার্কিশ এয়ারলাইন্স আফ্রিকার ৫০টিরও বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আফ্রিকা মহাদেশে তুরস্কের ৩৭টি সামরিক অফিস রয়েছে। মরক্কো, সোমালিয়া ও তিউনিসিয়ায় তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এ অঞ্চলে তুরস্কের ড্রোন কূটনীতি তুলে ধরতে আফ্রিকাজুড়ে তুর্কি ড্রোনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। লিবিয়া, সিরিয়া ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আজারবাইজানে সফল সামরিক অভিযানের পরপরই বায়রাক্তার টিবি-২ সশস্ত্র ড্রোন ও ইউএভি যুদ্ধ সক্ষম প্রমাণিত প্রযুক্তি হিসেবে সম্ভাব্য ক্রেতা দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে আফ্রিকায় সামরিক বাণিজ্যের জন্য তুরস্কের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো চীনের সামরিক শক্তি ও প্রভাব।

পশ্চিমারা আফ্রিকায় তাদের উপস্থিতি ও প্রভাব হ্রাস করায় তুরস্ক মহাদেশটিতে প্রবেশের জন্য বাণিজ্য, সহায়তা এবং শিক্ষার মতো বিষয়গুলো ব্যবহার করছে। বিদেশের মাটিতে তুরস্কের বৃহত্তম সামরিক ঘাঁটি উদ্বোধনে সোমালি সরকার মোগাদিসুতে নতুন তুর্কি সামরিক ঘাঁটিকে স্বাগত জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই ঘাঁটি দেশে শান্তিরক্ষায় সহায়তা করবে। এটিতে একটি একাডেমিও অন্তর্ভুক্ত থাকছে যা সোমালি ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ দেবে। দেশটির নিরাপত্তাব্যবস্থা নাজুক থাকলেও তারা এখন তুরস্কের কাছ থেকে সহায়তা পাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা এই ঘাঁটিতে ১০ হাজার সোমালি সেনাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যেখানে একসাথে দেড় হাজার সেনাকে প্রশিক্ষণ দেয়ার সুবিধা থাকছে।
অতীতে মিসর ও সোমালিয়ার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও এখন তেমন নেই। গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ এবং ইথিওপিয়া, মিসর ও সুদানের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে মিসর-সোমালিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যৎ ঘিরে অস্পষ্টতা, উত্তেজনা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সোমালিয়ার বিরুদ্ধে মিসরীয় প্রচারমাধ্যম অবমাননাকর টুইট ও পোস্ট করে মিডিয়ায় ঝড়ের সৃষ্টি করেছে। সোমালিয়া আন্তর্জাতিক এবং আরব ফোরামে মিসরের সাথে ছিল। ষাটের দশক থেকে মিসর ও সোমালিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক নির্ভরতার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। ক্যাম্পডেভিড শান্তি চুক্তির সময় সোমালিয়া ১৯৭৮ সালে মিসরের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং এর আগে একটি সোমালি আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ১৯৭৩ সালের যুদ্ধের সময় মিসরীয় সেনাদের পাশাপাশি লড়াই করেছিল তখন সোমালিয়া ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের যুদ্ধের সময় মিসরকে কলা এবং গোশত দিয়ে সহায়তা করেছিল।

প্রেসিডেন্ট সিসির অধীনে মিসর, আগের দিনের মিসর নয়; এখন কৌশল ও নীতি ভিন্ন। ২০০৬ সাল থেকে সোমালিয়ায় মিসরের কোনো শক্তিশালী কূটনৈতিক উপস্থিতি ছিল না। আরব পর্যায়ে, গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ বাঁধ সঙ্ঘাতের নিকটতম মিত্র এবং অংশীদার সুদান আর পারস্পরিক জাতীয় ও আরব স্বার্থের সাথে যুক্ত নয়। সোমালিয়ার কৌশলগত অবস্থান এক সময় হর্ন অব আফ্রিকায় মিসরীয় পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু ছিল। বাব আল-মান্দাব প্রণালীর নিয়ন্ত্রণ ও সুয়েজ খালে জাহাজের চলাচলে মিসরের পদক্ষেপে সোমালি সরকার ক্ষুব্ধ। সোমালিয়া এবং মিসরের মধ্যে শিক্ষাগত সহযোগিতা প্রটোকলও সম্প্রতি বাতিল করা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিভ্রান্তিকর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতি মিসরের পক্ষে আরব লিগের অবস্থান সমর্থন না করার এবং রেনেসাঁ বাঁধ নিয়ে ইথিওপিয়ার বিরোধিতা করার সোমালি সিদ্ধান্তের কারণে আরো খারাপ হয়েছে। সোমালি সরকার বলেছে বাঁধ ইস্যুতে সোমালিয়া ইথিওপিয়ার পাশে রয়েছে। সোমালিয়ার কৌশলগত অবস্থান অতীতের মতো আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও আরবদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তুরস্ক তার বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার, তাই মিসর যদি হর্ন অব আফ্রিকায় তার উপস্থিতি পুনরুদ্ধার করতে চায় তবে তারা জানে যে প্রতিযোগিতায় কারা রয়েছে। সোমালি দরজা মিসরীয়দের জন্য খোলা যদি কায়রো অতীতে বিদ্যমান উষ্ণ সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে আগ্রহী হয়।

তুরস্ক-সোমালিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিশ্লেষকদের মধ্যে নানা আলোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বিশেষ করে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে গভীরতর হওয়ার ইঙ্গিত প্রস্ফুটিত। একটি সমালোচনামূলক দৃষ্টিকোণ থেকে, কেউ এই চুক্তির বিভিন্ন মাত্রা বিশ্লেষণ করতে পারে। প্রথমত, হর্ন অব আফ্রিকা অঞ্চলে তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি সম্প্রসারণের কৌশলগত প্রভাব অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পক্ষের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ যুক্তি দেখান যে, তুরস্কের উদ্দেশ্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বাইরে যেতে পারে এবং এই অঞ্চলে তার প্রভাব জোরদার করতে পারে, যা সম্ভবত ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করবে। দ্বিতীয়ত, এই প্রতিরক্ষা চুক্তির কার্যকারিতা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব যাচাই-বাছাই করে বিশ্লেষকরা বলছেন তুরস্কের সামরিক সহায়তা থেকে সোমালিয়ার সক্ষমতা অর্জন ও লাভবান হওয়ার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে তার নৌসক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে। তদুপরি, সুরক্ষার প্রয়োজনে তুরস্কের উপর সম্ভাব্য নির্ভরতা গ্রহণের ক্ষেত্রে সোমালিয়ার সার্বভৌমত্ব এবং স্বায়ত্তশাসনকে প্রভাবিত করতে পারে।

তা ছাড়া এ ধরনের প্রতিরক্ষা চুক্তির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তুরস্ক ও সোমালিয়া উভয়কেই নিশ্চিত করতে হবে যে চুক্তির শর্তাবলি স্পষ্ট, পারস্পরিক উপকারী এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও বিধি-বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। স্বচ্ছতার অভাব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সন্দেহ ও সমালোচনার জন্ম দিতে পারে, যা চুক্তির বৈধতাকে ক্ষুণœ করতে পারে। উপসংহারে, নৌ-কর্তৃপক্ষের বিষয়ে তুরস্ক-সোমালিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তি নিরাপত্তা সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গভীর করার আভাস পাওয়া গেছে। কৌশলগত স্বার্থের ভারসাম্য বজায়, কার্যকারিতা নিশ্চিত ও স্বচ্ছতা বজায় রাখা- এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মূল্যায়নে গাইড হিসেবে কাজ করবে।

হর্ন অব আফ্রিকায় তুরস্কের সামরিক উপস্থিতি ও সম্প্রসারণ, বিশেষ করে তুরস্ক-সোমালিয়া প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে, এর কৌশলগত প্রভাব বহুমুখী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। এই পদক্ষেপটি তুরস্কের আন্তর্জাতিক অবস্থান এবং দৃশ্যমানতা বাড়ানোর বৃহত্তর বৈদেশিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মূল শিপিং লেন এবং সম্পদের সান্নিধ্যের কারণে হর্ন অব আফ্রিকা ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তুরস্কের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে ক্ষমতা ও প্রভাবের ভারসাম্য বদলে দেবে। প্রতিরক্ষা চুক্তিতে তুরস্কের জন্য সোমালি নৌবাহিনী নির্মাণ, প্রশিক্ষণ এবং সজ্জিত করার বিধান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা সোমালিয়ার সামুদ্রিক সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব বাড়িয়ে তুলবে এবং জলদস্যুতা মোকাবেলায় এই অঞ্চলে সামুদ্রিক বাণিজ্য রুটগুলো সুরক্ষিত করতেও সহায়তা করবে। এই চুক্তিটি মৎস্যচাষের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাতের বিকাশের মাধ্যমে সোমালিয়ার নীল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চুক্তিটি ইতোমধ্যেই বিদ্যমান সামুদ্রিক বিরোধের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে, বিশেষত ইথিওপিয়ার সাথে, যা হর্ন অব আফ্রিকায় উত্তেজনা বাড়াবে। তুরস্ক ও সোমালিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিদ্যমান দ্বন্দ্বকে উসকে দেবে। তুরস্কের সাথে সোমালিয়ার প্রান্তিকীকরণকে ইথিওপিয়া এবং স্বঘোষিত রাষ্ট্র সোমালিল্যান্ডের প্রভাব প্রতিহত করার কৌশলগত পদক্ষেপ মনে করছে, অদূর ভবিষ্যতে সোমালিল্যান্ডের অবস্থানও বদলে দিতে পারে। সোমালিয়ার সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে হর্ন অব আফ্রিকায় তুরস্কের কৌশলগত সামরিক সম্প্রসারণ আঞ্চলিক সুরক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে প্রভাব রাখবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement