বিলাপের আগেই সংলাপ!
- রিন্টু আনোয়ার
- ১০ জুন ২০২৩, ১৯:৩৬
দৃশ্যত বা প্রকাশ্যে না-না, ভেতরে হা-হা করার একটি সংস্কৃতি বাংলাদেশের রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদরে বলেন, মানি না-মানি না; অন্দরে বহু কিছু মানেন। এই মানা না মানার মধ্যে আবার যে যার মতো পাওনা হাসিল করে নেন। নিজে জেতেন, প্রতিপক্ষকে ঠকান। আর দেশী-বিদেশী মিডলম্যানদের হাত করে ওই ঠকাঠকি জায়েজ করেন। গত কয়েক বছর নয়, প্রায় তিন যুগ এমন সংস্কৃতি চলছে দেশের রাজনীতিতে।
ক্ষমতাসীনরা সচরাচর আলাপ বা সংলাপে যেতে চান না বিরোধীপক্ষের সাথে। সামনে ‘নিজেদের’ বিলাপের সমূহ শঙ্কা দেখলে তখন ‘দেশের’ স্বার্থে সংলাপের রাস্তা মাপেন। কিন্তু আগে-পিছে কিছু বাড়তি কথা বলেন। এবারও তাই। মাত্র ক’দিন আগেও ক্ষমতার শীর্ষ মহল থেকে বিএনপিকে লক্ষ করে বলা হয়েছে- ওদের সাথে কিসের সংলাপ? বিএনপি সন্ত্রাসী। ওদের গায়ে আগুনের গন্ধ। আর বিএনপির তরফে বলা হয়েছিল- এ সরকারের সাথে কোনো সংলাপ নয়।’ অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা বুঝে নিয়েছিলাম, ওই সব কথার নেপথ্যে ছিল সংলাপের একটি সম্ভাব্য বার্তা। মাত্র দিন কয়েকের মধ্যে বার্তাটি ফলতে থাকে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন, এরপর একটি ছোট মন্ত্রিপরিষদ হবে। সেটি হবে নির্বাচনকালীন সরকার। এক দিনের মধ্যে তিনি তার কথা বদলে ফেলেন। দাবি করেন, তিনি কথাটি এভাবে বলেননি। এর দিন দুয়েকের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা, শক্ত কথার মানুষ আমির হোসেন আমু ১৪ দলের এক জনসভায় বলেন, প্রয়োজনে জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় তারা বিএনপির সাথে আলোচনায় বসতে চান। জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সাথে মুখোমুখি বসে দেখতে চাই, কোথায় সমস্যা, সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা কোথায় এবং কীভাবে সেটি নিরসন করা যায়। এটি আলোচনার মধ্য দিয়ে সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়। তার এ বক্তব্যের তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দ্বিমত করে বলেন, বিএনপির সাথে সংলাপের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশে এ রকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, কারো সাথে আলোচনার জন্য জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতা লাগবে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও বলেছেন, আমির হোসেন আমুর বক্তব্য তার ব্যক্তিগত। আবার একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমাদের এক নেতা বিএনপির সাথে সংলাপের কথা বলেছেন। অবশ্যই সংলাপ ও আলোচনার বিকল্প কিছু নেই। আওয়ামী লীগ সংলাপে বিশ্বাসী।’
এ দিকে ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু নিজের দেয়া বক্তব্যের অবস্থান পাল্টিয়ে বলেছেন, নির্বাচন ইস্যুতে কাউকে আলোচনার জন্য আহ্বান করা হয়নি। কাউকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। কাউকে আহ্বান করার সুযোগও নেই। এটি আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয় যে, দাওয়াত করে এনে খাওয়াব। জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে আলোচনা কেন হবে? প্রশ্ন উঠছে গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এমন কী হলো যে, তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে এলেন, ২৪ ঘণ্টা আগে দেয়া বক্তব্যকে তিনি অস্বীকার করলেন। এতে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগের এলোমেলো কথার সারকথাও সংলাপ।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার দাবিতে বিরোধী দল বিএনপি বহু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। অন্য দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বরাবর বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এ সঙ্কট নিরসনে জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতার বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে এর আগে কিছু বলা হয়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দু’দলের অনড় অবস্থানের বিপরীতে গোপনে দেনদরবারও বাড়ছে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক বা দলনিরপেক্ষ সরকার প্রশ্নে প্রকাশ্যে কেউ ছাড় দিতে রাজি না হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে পর্দার আড়ালে সংলাপ এক অর্থে শুরু হয়ে গেছে। সেটি অনানুষ্ঠানিক। আর মিডিয়েটর হচ্ছেন কূটনীতিকরা। দেশের কারো ডাকদোহাই না শুনলেও তারা এখন বিদেশীদের শাসন-বারণে মুগ্ধই নন, পুলকিতও। তবে ‘কম দুঃখে বিড়াল গাছে উঠে না’ প্রবাদের মতো আওয়ামী লীগ সামনে সম্ভাব্য বিলাপের তীব্রতা কমাতে এখন সংলাপের পথে মাথা ঢুকিয়েছে। অথচ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংলাপের জন্য মাথা ঠুকে আসছিলেন সুশীল সমাজসহ দেশের নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ। তাদের নিম্নভাষায় তাচ্ছিল্য করা হয়েছে সরকারি মহল থেকে।
সংলাপ প্রশ্নে এবার আনুষ্ঠানিক শুরুটা হয়েছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর ইতিবাচক বক্তব্যে। তাও আবার তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে গেলেন। যদিও দু’দলের মধ্যে ক‚টনৈতিক মধ্যস্থতায় চা-চক্র, ডিনার, লাঞ্চ ইত্যাদি নামে সংলাপ চলছে প্রায় মাসখানেক ধরে। অবস্থা বুঝতে পেরে বিএনপির সাথে আলোচনা হতে পারে- বার্তা দিয়ে গোপন মেলবৈঠকটির লাগাম টানার চেষ্টা করেছিলেন আমু। বার্তাটি দেয়ার সময় তিনি জাতিসঙ্ঘকে যোগ করেন। সেটিও মনের সুখে নয়, বাস্তব দশা বুঝে। আওয়ামী লীগের ভেতরের একটি অংশ মনে করে- অবস্থা যেদিকে গড়াচ্ছে, সামনে গুরুচরণ দশা হতে পারে। তাই আর দেরি না করে, খোঁচা-টিপ্পনি দেয়া বন্ধ করে সংলাপ ইস্যুকে রাজনীতির মাঠে ছেড়ে দিলে ক্ষতি কম হবে। বিরোধী দল দমে যাবে। তাদের এ হিসাব বাস্তবে কতটা মিলবে- তা এখনো প্রশ্নবোধক। এর বিপরীতে সরকারি দলের একটি গ্রুপের ধারণা, আগ বাড়িয়ে সংলাপের আলাপ আরো বেশি ক্ষতি ডেকে আনবে। বিরোধী দল আগেভাগে মারমুখী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তুলোধোনা শুরু করে দিতে পারে। দলের মধ্যে এ দোটানার জেরে আমির হোসেন আমু এখন কিছুটা থমকে গিয়ে ঝিম ধরেছেন। সংলাপের কথাটি তিনি এভাবে বলেননি, আইনমন্ত্রীর মতো এমন একটি মতিগতি দেখাচ্ছেন। এসবের মধ্য দিয়ে আসলে সরকারের ভেতরের ডিসঅর্ডার অবস্থার প্রকাশ ঘটে গেছে।
সরকারের এ দশা বুঝে বিএনপি অ্যাজেন্ডাবিহীন কোনো সংলাপে সাড়া দেবে না বলে জানিয়েছে। তাদের এক কথা- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে কোনো ছাড় নয়। দলটির নীতিনির্ধারকরা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল। মোট কথা, সরকারকে বিদায় করে সঙ্কট সমাধানে সংলাপে বসার চিন্তা তাদের। আওয়ামী লীগের এক নেতার সংলাপের আলাপ, আরেক নেতার বিরোধিতার মধ্যেও তারা চাতুরী দেখছেন। ভাবছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে নিতে শুধু সংলাপ নয়, আরো নানা কৌশলের আশ্রয় নিতে পারেন ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়াসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক ইস্যুতে ছাড়ের প্রস্তাবও দেয়া হতে পারে। কিন্তু এবার আগের মতো অন্য কোনো ট্র্যাপে পড়বেন না তারা।
বিএনপি মহাসচিবের কথা সোজাসাপটা। একমাত্র নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অ্যাজেন্ডা ছাড়া আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপি কোনো আলোচনা বা সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের। আগের অভিজ্ঞতাও মনে আছে তাদের। অতীতে অ্যাজেন্ডাবিহীন সংলাপে তারা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও তার কোনোটিই রক্ষা করেননি। ওইসব বৈঠকে আমির হোসেন আমুও ছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রেখে আর টেস্ট গেমে যেতে চান না বিএনপি ও সরকার বিরোধী মহল। তাই এ ক্ষেত্রে অ্যাজেন্ডাবিহীন সংলাপে বসাতে তৃতীয় কোনো পক্ষ সমঝোতার চেষ্টা করলেও তাতে সায় দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপ নিয়ে অতীতে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। ২০১৮ সালে তারা এক অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়েছেন আরেক অভিজ্ঞতা। নিয়মরক্ষার নির্বাচনের কথা বলে কয়েক দিন বাদে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেয়ার ওয়াদা রাখেননি বর্তমান ক্ষমতাসীনরা। সেই সময় জাতিসঙ্ঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে সমঝোতার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। তার উপস্থিতিতে দু’দলের আলোচনা হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়- গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার পর অল্প সময়ের মধ্যে আরেকটি ভোট করা হবে। তারানকোর উপস্থিতিতে দেয়া সেই কথা আওয়ামী লীগ পরে রাখেনি।
গত কয়েক মাসে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির তাগাদা এবং চাপের কারণে উভয় দল নির্বাচনমুখী সমাধানে তৎপর। তাই নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সাথে সংলাপে অংশগ্রহণ নিয়ে নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বিএনপি। দু’দিন ধরে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রিপর্যায় থেকে সংলাপ নিয়ে নানামুখী বক্তব্য আসায় পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ রাখছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। স্পষ্ট হতে চাইছেন আওয়ামী লীগের আসল উদ্দেশ্য কী, সংলাপের ব্যাপারে। সে ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ও পর্দার আড়ালে ঘটমান পুরো পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পক্ষে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী নেতাদের। তাদের আরো সময় নিয়ে অবস্থা দেখার বিষয় রয়েছে। সরকার এবার নতুন কোনো চাতুরী করে- এ প্রশ্ন বিএনপিকে তাড়া করাও স্বাভাবিক।
নির্বাচনী সংলাপ নিয়ে গত বছর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা পরস্পরবিরোধী অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। অতিসম্প্রতি আবারো এ সংলাপ প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের সাথে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের নিয়মিত বিরতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কারণে সংলাপ নিয়ে আবারো আলোচনা সামনে এসেছে। বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদলের উপস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যস্থতায় বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীও ছিলেন। সেই প্রসঙ্গে তার এখনকার ঘটনা সম্পর্কে মূল্যায়ন হচ্ছে- সংলাপ নিয়ে পরিষ্কার কিছু হচ্ছে না। আমির হোসেন আমু সংলাপের বিষয়ে বললেও পরক্ষণে ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদ সাহেবরা নাকচ করেছেন। তারা বলছেন, দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, এখনো সময় আসেনি। আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা সংলাপে বিশ্বাসী। ফলে, এখনই সংলাপের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি। সঙ্কট সমাধান নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর দেয়া বক্তব্য নিয়ে কোনো কমেন্ট করতে চান না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কোনো কথাও বলতে চাই না। উনি আওয়ামী লীগের অফিশিয়াল স্পোকসম্যান কি না এটি আমি জানি না। আই ডোন্ট মেক অ্যানি কমেন্ট।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বীর আহমেদ বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এখনকার পরিস্থিতি জাতিসঙ্ঘের আবার বিশেষ দূতের আলোচনায় আসার মতো সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না। এবার আসলে বিরোধী দলকে বিভ্রান্ত করতে নানারকম বার্তা দেয়া হচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, বিএনপি যাতে নির্বাচনে না আসে। তারা চান, বিএনপি ছাড়া সব দলকে নিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে। সেখানে জাতিসঙ্ঘের মধ্যস্থতায় এলে তো তেমন কিছু হয় না। তিনি আরো বলেন, জাতিসঙ্ঘ তো ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও মধ্যস্থতা করেছে, তাতে কি কোনো পরিবর্তন এসেছিল?
পরিশেষে বলতে চাই, সংলাপের নামে নতুন করে কী হবে বা হতে পারে, এ নিয়ে জানার বাইরেও অনেক কিছু আছে। এবারের ঘটনার জের ও রেশ একটু ভিন্ন রকম। রাজনীতির চাকা ঘুরছে খুব দ্রুত। আগামী ছয়-সাত মাস প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। তাই অপেক্ষা ও দেখার মধ্যেও তারতম্য স্বাভাবিক!
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা