২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এক দিনের খণ্ডচিত্র

লেখক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। - ছবি : নয়া দিগন্ত

‘যায় দিন ভালো যায়, আসে দিন খারাপ হয়’- এরকম একটি প্রবাদ দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অবস্থা বর্ণনা করা যায়। যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন খারাপের দিকে অগ্রসর হচ্ছি আমরা। কোথাও কোনো ভালো খবর নেই। সুড়ঙ্গের অবশেষে ক্ষীণ আলোর কোনো সম্ভাবনা নেই। রাজনীতিতে দিন দিন উত্তাপ বাড়ছে। অর্থনীতি প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছে। সামাজিক অবস্থা শোচনীয়। পরিবারে ক্রমাগত অশান্তির ছোঁয়া। অপরাধ সব সীমা অতিক্রম করছে। বাজারের অবস্থা বেসামাল। বাজেটে উন্নয়নের মহাসড়ক এতটাই অতিক্রান্ত হয়েছে যে, এর আর দিশে পাওয়া ভার। সরকারি দলের নির্বাচনী কারসাজি এতটাই প্রকাশ্য যে, শেষ সময়ও লজ্জার কোনো বালাই থাকছে না। শাসকদলের দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত এতটাই তীব্র যে, আলিঙ্গনের পরও বিভেদ মুছছে না।

এত সব কথা এক দিনের চারটি মাত্র সংবাদপত্র থেকে বাছাইকৃত। এই যদি হয় সূত্র তাহলে এবার শুনুন বিস্তারিত খবর : দিনটি মঙ্গলবার। (কিন্তু কোনো মঙ্গলের খবর নেই) পত্রিকার নাম প্রথম আলো, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর ও নিউ এজ। নিবন্ধের কলেবর বৃদ্ধির আশঙ্কায় খবরগুলো কিছুটা সংক্ষেপে পরিবেশন করা হচ্ছে।
১. গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে ১০ ঘণ্টাও। চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম সরবরাহ পাচ্ছে আরইবি। এর মধ্যে কোনো কোনো এলাকায় সরবরাহ চাহিদার অর্ধেক। দেশের প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ বিতরণে দায়িত্বশীল সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দিনে চাহিদার তুলনায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে লোডশেডিং পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। (প্রথম আলো, ৬ জুন ২০২৩)

২. Largest power plant closed. Power shortage reaches 3215MW amid heatwave. Bangladeshs largest power plant -1.320MW Payra power plant –switched off its second unit on monday, less than 2 weeks after shutting down the first unit, because off a col crisis triggered by out standing energy bills. (New Age, 06 June2023)

৩. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাত হাজার একটি মামলা দায়ের। সারা দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট সাত হাজার একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন আনিসুল হক। এমপি মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। তবে মামলায় কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গ্রেফতারকৃতদের সংখ্যা জানাননি। আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ পর্যন্ত কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সংশ্লিষ্টতা থাকায় ওই অংশ সচিবালয়ে নির্দেশমালা-২০১৪ এর অনুচ্ছেদ ২০১৩(২) অনুযায়ী জননিরাপত্তা বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। (নয়া দিগন্ত, ৬ জুন ২০২৩)

৪. ১১ বছর পর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। গত মে মাসে সার্বিকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৯৪ শতাংশ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০.১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। গত এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে গত মে মাসের মতো মূল্যস্ফীতির চাপে পড়েনি সাধারণ মানুষ। গত মাসে সার্বিকভাবে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯.৯৪ শতাংশ, যা গত ১৩৪ মাস বা ১১ বছর দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস গত ৫ মে বর্তমান মাসের মূল্যস্ফীতি হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.২৪ শতাংশ। এর আগে ২০১২ সালের মার্চ মাসে ১০.১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর আর কখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি। ওই বছরের পরের মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯৩ শতাংশে নেমে আসে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য।
তাপদাহ তো আছেই, এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট। পাশাপাশি বাজারেও আগুন। এতে সীমিত আয়ের মানুষ তাদের জীবনযাত্রার ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এরকম এক অবস্থায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। গত ১ জুন দেয়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বড় উদ্যোগ দেখা যায়নি। এমন প্রেক্ষাপটে মূল্যস্ফীতি প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে এক দশকের রেকর্ড মূল্যস্ফীতির তথ্য এলো। (প্রথম আলো, ৬ জুন ২০২৩)

৫. বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শিল্পোৎপাদনে ধস। এক দিকে উৎপাদন কমেছে, অপর দিকে ব্যয় বাড়ছে। লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি চলছে গ্যাস সঙ্কট। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তারা বেশি দাম দিয়ে গ্যাস কিনছেন। কিন্তু এ খাতে বিপুল অঙ্কের টাকা লোকসান দিয়েও চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস পাচ্ছেন না। গ্যাসের অভাবে গ্রিডের বিদ্যুৎ দিয়ে কারখানা চালাতে গিয়ে এখন ‘মাথায় হাত’। বিদ্যুৎ না থাকায় দিন-রাতের বেশির ভাগ সময় কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। সময় মতো পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছেন না। ফলে বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অনেকের অর্ডারও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কোনোমতে টিকে থাকলেও ছোটগুলোর অবস্থা খুবই করুণ।

শিল্প-কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বিকল্প উপায় হিসেবে জেনারেটরের মাধ্যমে কারখানা সচল রাখতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। কিন্তু তাতেও শতভাগ উৎপাদন করা যাচ্ছে না, উৎপাদন কমে অর্ধেকে নেমেছে। এ ছাড়া ঘন ঘন বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি হচ্ছে। উৎপাদন ধসের জন্য বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস সঙ্কটকেও দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ- একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ওই কারখানা চালু করতে কমপক্ষে তিন-চার ঘণ্টা সময় লাগে। একবার কারখানা শাটডাউন হলে সেখানে যত কাঁচামাল আছে সব ফেলে দিতে হয়। ধুয়েমুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা ও নতুন কাঁচামাল তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। এ সময় বেকার বসে থাকে শ্রমিকরা। কিন্তু ওই সময়ের জন্যও তাদের বেতন দিতে হয়। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। (যুগান্তর, ৬ জুন ২০২৩)

৬. ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা কমছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম-বল প্রয়োগের মতো ঘটনা ঘটলে ভোট বন্ধ করে দেয়ার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা সীমিত হচ্ছে। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা কমিয়ে জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনী প্রস্তাব জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে।

বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, অনিয়ম বা বিরাজমান বিভিন্ন অপকর্মের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি মনে করে তারা আইনানুগ নির্বাচন করতে সক্ষম হবে না, তাহলে নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে ইসি। এখন এই ক্ষমতা সীমিত করে ইসিকে শুধু ভোটের দিন সংসদীয় আসনের (অনিয়মের কারণে) ভোট বন্ধ করতে পারার ক্ষমতা দেয়া হচ্ছে।

আরপিওর সংশোধনী প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে- রিটার্নিং কর্মকর্তা ফলাফল ঘোষণা করে ফেলার পর কোনো আসনের পুরো ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ আসবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) ভোটকেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত করতে পারবে। এরপর তদন্তসাপেক্ষে ফলাফল বাতিল করে ওইসব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন দিতে পারবে ইসি। এসব বিধান রেখে আরপিও সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে তুলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনের এই সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে এবং তাদের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে- এমন অভিযোগ এনে বিলটি উত্থাপনে তীব্র আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তার বক্তব্যের বিপরীতে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, আরপিওতে সংশোধনী জনগণের কোনো অধিকার খর্ব করে না। এটি শূন্য ভাগও গণতন্ত্র ব্যাহত করে না। (প্রথম আলো, ৬ জুন ২০২৩)

৭. দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘরে-বাইরে নানা চাপে দু’দল। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ও সরকারবিরোধী আন্দোলন সামনে রেখে ঘরে-বাইরে বহুমুখী চাপে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় করণীয় নিয়ে ব্যস্ত দু’দলের নীতিনির্ধারকরা। বিশ্লেষকদের মতে, অন্তত এক ডজন চ্যালেঞ্জের মুখে ক্ষমতাসীনরা। অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে দেখা দিয়েছে বৈদেশিক চাপ। এ ইস্যুতে ইতোমধ্যে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে নতুন ভিসানীতি। প্রকাশ্যে গুরুত্ব না দিলেও ভেতরে ভেতরে এ নিয়ে দলের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির সামনেও রয়েছে নানা চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা। এ ছাড়া জোটগতভাবে ভোটে অংশ নেয়া, আসন ভাগাভাগি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা দলটির সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে রয়েছে দুস্তর অবস্থানগত পার্থক্য। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনকালীন একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠায় চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত বিএনপি। রাজপথে দু’দলের অবস্থান মুখোমুখি। দু’দলেরই সামনে রয়েছে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হলে সময় আর বেশি নেই। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচনী বৈতরণী পাড়ি দেয়া কতটা সহজ হবে তা ভাবাচ্ছে নেতাদের। এরপর সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে কার হাতে উঠবে রাজদণ্ড- এই মুহূর্তে সেই সুতোর ওপর দিয়ে হাঁটছে দুই দল। (যুগান্তর, ৬ জুন ২০২৩)

৮. ঢাকা জেলা সম্মেলনে জি এম কাদেরের প্রশ্ন, আ.লীগ জনপ্রতিনিধি ঠিক করলে নির্বাচনে কেন? জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে এখন যোগ দিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন। তারা সবাই মিলে একটি নতুন দল হয়েছে- আওয়ামী লীগ প্লাস। সবাই যেন এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন। সবাই এখন আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলে। পার্লামেন্টও এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ হয়েছে। বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ বানানোর চেষ্টা চলছে। কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেছেন, এক প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছি। প্রমাণ হয়েছে- আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতির মাঠে কথা আছে- আওয়ামী লীগ জামায়াতকে বিভিন্ন নামে কিছু সিট দেবে। আমাদেরও কিছু সিট দেবে। আমাদের বলা হয়, আপনারা আরো সংগঠিত হোন, আপনাদের আরো বেশি সিট দেবো। কে দেবে? আওয়ামী লীগ দেবে? জনগণ ভোট দেবে না? যদি আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা সিট দেয়, তাহলে নির্বাচনের দরকার কি? তাহলে ঘোষণা দিয়ে দেন- কে কে পাস করেছে। সাংবাদিকরাও প্রশ্ন করছেন, আওয়ামী লীগ কোন কোন সিট দেবে আপনাদের? নির্বাচনের অর্থ হচ্ছে- জনগণ ঠিক করবে কে হবেন তাদের প্রতিনিধি। যদি আওয়ামী লীগই জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেয়, তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজন কেন? (যুগান্তর, ৬ জুন ২০২৩)

৯. বিচারপতিকে পুলিশ সুপারের ফোন, হাইকোর্টের অসন্তোষ। আদালতের সাথে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার যোগাযোগ (ফোন) করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, বেশি স্বচ্ছতার জন্য কন্টাক্ট (যোগাযোগ) করে? এটি পেশাগত অসদাচরণ।

বিচারপতি মো: বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন। মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের রুবেল হত্যা মামলাটি পুনরায় তদন্তের অগ্রগতি-বিষয়ক শুনানিতে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার সময়ের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছেন।

এক দিনে মাত্র চারটি সংবাদপত্র থেকে আহূত এসব খণ্ডচিত্র দেশের সার্বিক অবস্থার বর্ণনা দেয়। এগুলো প্রমাণ করে, দেশ আজ সর্বনাশের প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে। বলা বাহুল্য, ক্ষমতাসীন দুষ্টচক্রের দুঃশাসনে এসব হচ্ছে। যত দিন পর্যন্ত এদের শাসন দীর্ঘায়িত হবে ততই দীর্ঘায়িত হবে জনগণের দুঃখ-দুর্দশা। দেখেশুনে মনে হয়- সময় ঘনিয়ে এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত সাঁড়াশি আক্রমণের ওপর জনগণের মুক্তি নির্ভর করছে।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement