২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাছের গল্প

মাছের গল্প। - ছবি : সংগৃহীত

(গত সংখ্যার পর)

‘আরো শুনেছি, যাদের মন আছে তাদের শোক-দুঃখ ও মায়া-মমতা আছে। মাছের কি মন আছে?
‘কে বলে, মাছের মন নেই? কোনো কোনো মাছের মন আমাদের মনের চেয়েও বড়। খাল-বিল আর নদী-নালার পানিতে এদের বাচ্চারা নিরাপদ নয়। পেটের ডিম বাড়াতে শুরু করলেই মা-মাছের চিন্তা বাড়তে শুরু করে। তুমি যে ডোবা থেকে মাছগুলো ধরে এনেছ, সে ডোবাই ছিল সন্তানের নিরাপদ আশ্রয়। কয় দিন পরই প্রতিটি ডিম থেকে বাচ্চা বের হতো। বর্ষার পানির ডোবায় প্রবেশ করার আগেই প্রতিটি বাচ্চা মাথা তোলা হয়ে পড়ত। মাথা তোলা বাচ্চা আত্মরক্ষা করতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে ভূমি ছাড়া কই মাছ ডাঙায় হাঁটতে পারে না। মাটি স্যাঁতস্যাঁতে হওয়ার জন্য এরা জ্যৈষ্ঠের বৃষ্টির আশায় থাকে। বৃষ্টিতে ভূমিতল সিক্ত হলে মা-মাছেরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে ডাঙায় উঠে আসে। হেঁটে হেঁটে নিরাপদ ডোবা-নালার সন্ধান করে।

গভীর সমুদ্রের লোনাপানি ইলিশ মাছের আসল বাড়িঘর। সন্তানের নিরাপত্তার জন্যই পেটভরা ডিম নিয়ে নিজের বাড়িঘর ছেড়ে ছুটে আসে অগভীর জলে। শোল ও গজার মাছও জলাশয়ের গভীর তলদেশে বাস করে। বাচ্চা প্রসবের সময় হলেই জলাশয়ের তলদেশ ছেড়ে ক্ষেত-খামার ও ডোবা-নালার অল্প পানিতে চলে আসে। ঘন কচি ধানক্ষেত, জলজ উদ্ভিদ কিংবা ঘন ফসলের জমির নিরিবিলি স্থানে আশ্রয় নেয়। পাখি যেভাবে খড়কুটো জড়ো করে বাসা বানায় ঠিক সেভাবে গজার দম্পতি মিলে বাসা বানায়। ডিম ছাড়ার কয়েক দিন আগেই বাসা বানানোর কাজ শেষ করে। গজারের বাসাকে বলা হয় আঁতাল। জোড়মানিকরা খানাপিনা ছেড়ে ঠায় বসে থাকে আঁতালের নিচে। জলজ খড়কুটোতে ডিম ছাড়ে। আঁতাল বানানো থেকে বাচ্চা বের হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে কমবেশি ১৫ দিন। এ ১৫ দিন, বলতে গেলে, না খেয়েই পার করে দেয়। ডিম প্রসবের পর বাবা-মা দু’জনই পাহারা দেয়। অতন্দ্র পাহারাকালেও বাবা-মার আহার-নিদ্রা বন্ধ থাকে। না খেতে না খেতে মা-বাবা শুকিয়ে অর্ধেক হয়ে পড়ে। গায়ের জোর যায় কমে। তার পরও বাচ্চা ফেলে আহার খুঁজতে যায় না। মাছের এই দুঃসময়ে শিকারীরা বাচ্চাসহ বাবা-মাকে ধরে খেয়ে ফেলে। প্রতিটি প্রাণীর কাছে প্রাণের চেয়ে বেশি মূল্যবান আর কী থাকতে পারে! মাছের কাছে সন্তানের নিরাপত্তা নিজের প্রাণের চেয়েও বড়। এর পরও কী করে ভাবতে পারলে, মাছের মন নেই? মাছের মন বুঝতে হলে মনের মতো মন থাকা লাগে। আসলে আমাদেরই মনের মতো মন নেই। মনের মতো মন নেই বলেই উদরপিশাচের মতো আন্ডা-বাচ্চাসহ মা-মাছকে উদরস্থ করে ফেলি।

মায়ের মুখে মাছের মায়ের পুত্রশোকের কথা শুনে মোটা মোটা ডিমের দিকে চোখ যায়। আমার ভেতরটা কেমন যেন মোচড় দিয়ে উঠে। নিস্তেজ মাছগুলোর দিকে তাকিয়ে আমার চোখ পানিতে ছলছল করতে থাকে। মায়ের কাছে জানতে চাই, মাছ মানুষের শিকার আবার কখন মানুষ মাছের শিকার হয়?
-শিকার শিকারীকে ছাড়িয়ে গেলেই হয়। যেমন হয়েছিল কাসেমালির বাপ। আজ থেকে বছর ত্রিশেক আগের ঘটনা। তখন নদীতে প্রকাণ্ড রাক্ষুসে মাছ ছাড়াও বাস করত কুমির ও শুশুক। রাক্ষুসে মাছের মধ্যে রাঘববোয়াল অন্যতম। এমনই ঝড়বৃষ্টির দিনে বিলের ধারে ঝড়বৃষ্টির পর পানির সোঁতার গোড়ায় শানানো জুইত্যা হাতে পজিশন নিয়ে বসা ছিল। এমন সময় সোঁতার গোড়ায় কোষা নায়ের নালের মতো কালি বোয়ালের কালো পিঠ ভেসে ওঠে। পিঠ ভেসে উঠতে না উঠতেই খিঁচিয়ে মারে ঘাই। দুষ্টু রাঘববোয়ালের গায়ে জুইত্যার ফলা লাগতেই মাছটি ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। প্রচণ্ড আক্রোশে জুইত্যার ফলাসহ দৌড় দেয় গভীর পানির দিকে। জুইত্যার ডোরের এক মাথা বাঁধা ছিল শিকারীর কোমরে। টাল সামলাতে না পেরে শিকারী ঢলে পড়ে পানিতে। যতক্ষণ বিলের ভেতরে ছিল ততক্ষণ শিকারীকে টেনে নেয়ার দৃশ্য সবাই দেখতে পেয়েছে। বিল ছেড়ে নদীতে নেমে যাওয়ার পর আর দেখা যায়নি। তিন দিন পর লাশ ভেসে ওঠে। লাশ ভেসে উঠে পাঁচ মাইল দূরে রায়পুর এলাকায়। জুইত্যাসহ ভেসে উঠেছিল রাঘববোয়ালও। জুইত্যাসহ মাছ আর রশিসহ লাশ ভেসে উঠার পর খবর পায় গাঁয়ের লোক। রাক্ষুসে সব মাছ বাস করে রায়পুর এলাকায় এ গভীর জলে। আজ পর্যন্ত জেলেদের কোনো জাল গভীর জলের তলা ছুঁতে পারেনি। সাহস করে যারাই তলায় জাল ছেড়েছে তাদের একজনের জালও ফেরত আনতে পারেনি।
-ফেরত আনতে না পারার কারণ?
-সবাই বলে এখানে কি না বাস করে ‘জলদেব’ খোয়াজ খিজির আ:। আবার কারো কারো মতে, এখানেই রায়পুরের জমিদার বাড়ি। সেই পুরনো জমিদার বাড়িতে জমিদারি শুরু করেছে ‘জলদেব’। জাল ঠেকলে ডুব দিয়ে জাল সারিয়ে আনবে, এত বড় বুকের পাটা দুনিয়ায় নেই। ডুব দেয়া তো দূরের কথা, নিচের কালো কুচকুচে পানির দিকে তাকালে আত্মা দেহ ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়। এ এলাকায় রাক্ষুসে মাছের প্রথম অভয়াশ্রম ছিল এটি। টিটির চর গ্রামের ফেলু শিকারীর তিনমণি কোরালটাও এখানেই বাস করত।

-‘তিনমণি কোরাল’ আবার কী?
বিলের মাঝামাঝি পশ্চিম দিকের মাঠে রয়েছে একটি গভীর কুঁড়। কুঁড়ে বাস করত কোরালটা। সঙ্কীর্ণ খালের দ্বারা বিল ও পাগলা নদীর সাথে কুঁড়ের সংযোগ। মেঘনার শাখা নদীর নাম পাগলা নদী। নদী ও বিলের সাথে সংযোগ-সঙ্কীর্ণ দু’টি খালই শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। বর্ষায় মাথা ঠিক থাকে না। একটু বান-বাতাস ছুটতে না ছুটতেই উত্তাল তরঙ্গ শুরু হয়ে যায়। সামাল দিতে গিয়ে বেসামাল হয়ে মালামাল খোয়া গেছে বহু মাঝিমাল্লার। তাই, নদীর নাম পাগলা। পাঁচ একর জায়গাজুড়ে গোলাকার কুঁড়ের গভীরতার কথা কেউই বলতে পারে না। কুঁড়ের পানি ব্যবহার করা তো দূরের কথা, কুচকুচে কালো পানির দিকে তাকালে কলিজার পানি শুকিয়ে যায়। অনেক রটনা ও ঘটনা প্রচলিত আছে এই কুঁড়কে কেন্দ্র করে। শীতকালে কুঁড়ের পানি কমে গেলে বৃত্তাকার কুঁড়ের ক‚ল পাহাড়ের মতো উঁচু হয়ে যায়। কুঁড়ের খাড়া ঢালে মাছরাঙা ও গাংচিলের বাচ্চা উৎপাদনের একমাত্র অভয়াশ্রম। কুঁড়ে অসংখ্য রটনা ঘটনার মধ্যে রাক্ষুসে বোয়ালের কথাই বেশি। বড় নায়ের দাঁড়ের পাতার মতো চওড়া লেজ পানির উপরে উঠিয়ে রাখতে অনেকেই দেখেছে। বর্ষায় নদীর পানি যখন তীব্রবেগে খাল দিয়ে কুঁড়ে পড়ে তখন শুরু হয় ঘূর্ণিপাক। ঘূর্ণিপাক ছোট নৌকা পর্যন্ত পাতালে নিয়ে যায়। শক্ত নৌকা আর দক্ষ মাঝি ছাড়া কুঁড়ের উপর দিয়ে সহজে কেউ যায় না। সে কুঁড় ছিল রাক্ষুসে মাছের দ্বিতীয় আস্তানা। কুঁড়ের সাথে যে সঙ্কীর্ণ খাল সে খালেই ধরা পড়েছিল দানব কোরালটা। এলাকার নামকরা ডালাশিকারী ছিল ফেলু মিয়া।
-ডালাশিকার আবার কী?
-অন্ধকারে বাতি জ্বালিয়ে জুঁইত্যা ও টেঁটা দিয়ে যে শিকারীরা মাছ শিকার করে সে শিকারীদের বলে ডালাশিকারী। দানব মাছেরা নিরাপদ আস্তানায় বাস করলেও ডিম দেয়ার সময় হলেই খুঁজে ফিরে নিরাপদ স্থান। বর্ষাকালে কুঁড় ও বিলের সংযোগ খালে গজার মাছের মতো আঁতাল করেছিল দানব মাছটি। জনবিরল এ খাল ছাড়া মাছটি ডিম দেয়ার জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান ছিল না। গভীর রাতে ডালাশিকারকালে ফেলু শিকারী এ খাল দিয়ে আসা-যাওয়া করত। খালের মাঝামাঝি গেলেই মনে হতো খালের পানি হঠাৎ উঁচু হয়ে দৌড়াচ্ছে। যেখান থেকে পানির উচ্চতা শুরু সেখানকার পানিও ঘোলাটে। কুঁড়ের দিক থেকে রওনা করলে পানি ঘোলা করে ঢেউ চলে যায় বিলের দিকে আর বিলের দিক থেকে আসার পথে ঢেউ চলে যায় কুঁড়ের দিকে। রহস্য উদ্ধারসহ এক রাতেও ঢেউটার কাছে পৌঁছাতে পারে না। দিন যত বাড়তে থাকে রহস্য ততই বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে মনের জ্বালা-যন্ত্রণাও। বাতির জ্যোতির সাথে ঢেউটার একটা সম্পর্ক রয়েছে। ঢেউ থেকে যে আকৃতি অনুমান করা যায় এত বড় মাছ হতে পারে না কিছুতেই। যে সময়ের ঘটনা সে সময় নদীতে কুমির ছিল। তা ছাড়া কুমিরের দ্বারা এ ধরনের আচরণ সম্ভব নয় কিছুতেই। রাতভর মাছ ধরে আর দিনভর ভাবে কীভাবে রহস্য ভেদ করা যায়। চন করে মাথায় বুদ্ধি খেলে। বাতিটা আগে না জ্বেলে যেখান থেকে ঢেউটা শুরু চুপিচুপি সেখানে গিয়ে বাতিটা জ্বাললে কেমন হয়! সারা দিন ভাবে আর জুঁইত্যার ফলাগুলো শানায়। রাতে নৌকায় নেয় অতিরিক্ত একজন মানুষ। ফেলু মিয়া নৌকার সামনে জুঁইত্যা হাতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়। তার পেছনেই নতুন ব্যাটারিযুক্ত টর্চ নিয়ে নিশ্চুপ বসে রয় নতুন মানুষটি। সংগোপনে কাছাকাছি গিয়ে সঙ্কেত দিতেই টর্চ জ্বলে ওঠে। শক্তিশালী টর্চের আলো পানিতে পড়তেই কেঁপে উঠে ফেলু মিয়া। আলো পড়তেই গাবগাছের গোড়ার মতো কিছু নড়ে উঠল। নড়ে উঠার পলকের মধ্যে বিজলির মতো চমক দিয়ে বিলের দিকে দৌড়। তিন যুগের পাকা শিকারী ফেলু মিয়া। চলন্ত মাছের গতিবেগের চেয়ে তার জুঁইত্তার গতিবেগ অনেক বেশি। তিলেকমাত্র বিলম্ব না করে গায়ের শক্তি নিঃশেষে ছুড়ে দেয় হাতের জুঁইত্যা। অব্যর্থ শিকারীর নিশানা থেকে ফসকে যায় সাধ্য কার। পলকের মধ্যে টান পড়ে জুঁইত্যার রশিতে।

রশির প্রান্ত বাঁধা ছিল নৌকার সাথে। কুণ্ডলি থেকে ফড়ফড় করে নেমে গেল শতগজ রশি। রশি শেষ হতেই বিলের দিকে ছুটতে থাকে নৌকা। দুই মাইল দূরে রামপুর বাজার বরাবর গিয়ে থামে। স্বস্তিতে তামাক টানে ফেলু মিয়া। তামাক টানে আর আলাপ করে জুঁইত্যাসহ যে প্রাণীটা নৌকা টেনে দুই মাইল নিয়ে আসতে পারে কী হতে পারে এটি? সমুদ্র ছাড়া এত বড় প্রাণী নদীতে বাস করে বলে তাদের জানা নেই। ঘণ্টা দুয়েক অপেক্ষার পর খুব আস্তে করে রশিতে টান দেয়। রশিতে টান পড়তেই দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আবার ছুট। থামে রায়পুরের আস্তানায়। ততক্ষণে ফজরের আজান শুরু হয়ে যায়। পূর্বাকাশে সূর্য ভেসে ওঠার আগেই মেঘনার গভীর তলদেশ থেকে জুঁইত্যাসহ দানবাকৃতির মাছটি ভেসে উঠে। মাছটির ওজন ছিল তিন মণ। মাছটির পেটে যে ডিম পাওয়া গেছে সে ডিমের ওজন ছিল তিন সের।

আমাদের গাঁয়ের দক্ষিণে ছিল প্রকাণ্ড এক বিল। প্রায় ১০০ একর পরিমাণ বিলের তিন দিকে জমি ও গ্রাম, আর একদিকে সরু হয়ে মেঘনা নদীর দিকে সংযুক্ত ছিল। সরুমুখ দিয়ে বর্ষার শুরুতেই বিল ভরে উঠত মাছে। আষাঢ় মাসে আমন ধানের ক্ষেতে নতুন পানি উঠতে শুরু করে। এই পানির সাথে বিল থেকে উঠে আসে রুই, কাতলা, বোয়ালসহ নানা প্রকারের মাছ। এই প্রকারের মাছ ধরাকে নিরাকের মাছ ধরা বলে। এ এলাকায় প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই নিরাকের মাছ ধরার শিকারী ছিল। আমাদের গ্রামের একজন বিশিষ্ট শিকারীর নাম আক্কাস আলী। এক দিন জুঁইত্যা দিয়ে ৪০ সের ওজনের কাতলা মাছ শিকার করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছিল। বিলের পাড় থেকে তিনজনে মাথায় করে বাড়ি এনেছিল কাতলা মাছটি। সেই কাতলা মাছে পেটের একটি বাঁকা কাঁটা বহুদিন যত্ন করে রেখেছিলাম।

শিশুদের কাছে তিন মাছের কাহিনী বলতেই তিন ঘণ্টা পার হয়ে গেল। পানিতে বড়শি যেমন ফেলেছিলাম তেমন অবস্থায়ই রয়েছে। বড়শির টোপে ঠোকর দেয়ার মতো মাছও আশেপাশে ছিল না। থাকবে কী করে? নদী থেকে মাছ ধরার হাজার ফন্দির পর সর্বশেষ ফন্দি চায়না জাল যা পানির তলে মাটিতে বিচরণকৃত মাছের বংশ নির্বংশ করে দেয়। তাই চারটি ছিপ ফেলে ঘণ্টা তিনেক চেষ্টার পরও কোনো মাছ পেলাম না।

ছয় দশক আগে মাছ ও ফসলের দিক দিয়ে আমাদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপটি যে অবস্থানে ছিল এখনো সে অবস্থানে আছে নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপে প্রবেশ করেছে বিদ্যুৎ। হু হু করে প্রবেশ করবে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেট। স্মার্টফোন, ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়া এনে দেবে বেগ, কেড়ে নিয়ে যাবে আবেগ। মনুষ্য জাতির সীমিত আয়ু, অসীম চাহিদা। একটি ছেড়ে আরেকটি নিতে গিয়ে প্রাপ্তির চেয়ে হারানোর পাল্লা ভারী হয়ে পড়ে।

লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
E-mail: adv.zainulabedin@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement