২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মামলাজট : দায় কার?

- ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কার্যালয়ের তথ্য মোতাবেক দেশের উচ্চ থেকে নিম্ন আদালত পর্যন্ত প্রায় ৪৭ লাখ মামলা বিচারাধীন। মামলাজট নিরসনে বিচার বিভাগ হিমশিম খাচ্ছে বলে প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন সভায় মন্তব্য করেছেন। স¤প্রতি তিনি বিভিন্ন জেলা বারে মামলাজটের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। গত সপ্তাহে জুডিশিয়াল সার্ভিস অফিসারদের সভায় মামলাজট কমিয়ে আনার জন্য বিচারকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক নির্দেশনা দিয়েছেন। মন্ত্রী নিজেও একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও কৃতীমান আইনজীবীর সন্তান। তবে আইন পেশায় দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মন্ত্রী কি উপলব্ধি করতে পেরেছেন কেন মামলাজট বৃদ্ধি পাচ্ছে?

বাস্তব অবস্থা যদি তিনি বুঝেশুনে বলে থাকেন তবে সরকারকে নিরাপদ রেখে সত্যকে আড়াল করে মামলাজটের অভিযোগ বিচারকদের কাঁধে বন্দুক রেখে কথার ফুলঝুরি চালিয়ে যাচ্ছেন। মামলাজটের জন্য বিচারকদের চেয়ে বিচারিক পদ্ধতির সম্পৃক্ততা বেশি থাকলেও সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ডের কারণেই মামলাজট সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ সরকারই রাষ্ট্রযন্ত্রকে অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলা সৃজনে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ রেকর্ডসহ এ মর্মে গিনেস বুকে নাম লেখানোর যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই সরকার আমলে আইনাঙ্গনে ‘গায়েবি মামলা’ নামে একটি শব্দ নিম্ন থেকে উচ্চ আদালতে স্বীকৃতি লাভ করেছে। হালে ‘ইহা একটি গায়েবি মামলা’ এক কথা বলে শুনানি শুরু করলে আদালত সহজেই বুঝতে পারেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাল্পনিক ঘটনায় সৃজিত বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলা যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। ম্যাজিস্ট্রেট, দায়রা ও জেলা জজ আদালত পর্যন্ত সব কিছু জেনেও এসব মামলায় জামিন দেয় না; বরং ক্ষেত্রমতে পুলিশ রিমান্ডের আদেশ দেয়।

নিম্ন আদালত জামিন না দেয়ায় অভিযুক্তরা আগাম জামিন নেয়ার জন্য হাইকোর্টের বারান্দায় ভিড় জমায়। রাজনৈতিক মামলাগুলো জামিনের প্রশ্নে হাইকোর্ট যথেষ্ট বিবেচনা করে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা মোতাবেক আগাম জামিনের প্রতি দরখাস্তে পাঁচ থেকে ১০ জনের বেশি একত্রে আবেদন করতে পারে না। অথচ পুলিশ এক-দুই বা তিন শতাধিক আসামি দিয়ে মামলা করে। ফলে যত বেশি জামিনের দরখাস্ত করা হয় তত বেশি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন আওতায় আসে এবং প্রতি দরখাস্তের জন্য একটি ফৌজদারি মিস নম্বর পড়ে, যা ৪৭ লাখ বিচারাধীন মামলারই একটি অংশ। আগে হাইকোর্ট কাউকে আগাম জামিন দিলে নিম্ন আদালত ওই জামিনের সম্মান করত; কিন্তু এখন আগাম জামিনপ্রাপ্তরা জজকোর্ট বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করা মাত্রই কারাগারে পাঠায়। কারাবন্দী হওয়ার পর ওই সংশ্লিষ্ট কারাবন্দীকে আবার হাইকোর্টে আসতে হয় জামিনের জন্য। এমনিভাবে সরকারি গায়েবি মামলার বোঝা বহন করতে হচ্ছে বিচারকদের।

অন্যান্য মামলায় হাইকোর্ট জামিন দিলে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ও দুদক হাইকোর্টের আদেশ বাতিলের জন্য চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে। অন্য দিকে চেম্বার জজ দয়াবশত যদি স্টে দেন তবে শুনানি করা একটি দীর্ঘসূত্রতার বিষয়। আপিল বিভাগের স্টে অর্ডার নিয়ে কথা বলায় সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান আদালত অবমাননা মামলায় জেল খেটেছেন। স্টে অর্ডার-সংক্রান্ত একটি মামলার দৃষ্টান্ত নিম্নে তুলে ধরা হলো- টেস্ট কেস হিসেবে বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উচ্চ আদালতে বিচারিক পদ্ধতির বিষয়টি অনুমান করা যাবে।

গত ২২ জুন ২০১৮, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন হাসিখালী গ্রামের উত্তর পাশের জঙ্গলে এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ পাওয়া যায়। এজাহারে নাম না থাকলেও পুলিশ ১০ জুলাই ২০১৮ মহিলার সাবেক স্বামী মো: কুদ্দুস মিয়াকে গ্রেফতার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক একটি স্বীকারোক্তি আদায় করে যার সাথে পোস্টমর্টেম রিপোর্টের কোনো মিল নেই। স্বীকারোক্তিতে বলেছে- গলাটিপে হত্যা করেছে। পোস্টমর্টেম বলেছে- পেটে চাকুর আঘাতের কারণে মৃত্যু হয়েছে। পোস্টমর্টেমে শ্বাসরোধ করে হত্যার কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ দিন সাক্ষী না আসায় এবং স্বীকারোক্তি ও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পরস্পরবিরোধী বিবেচনায় বিচারপতি জাহাঙ্গীর আলম ও বিচারপতি মো: আতোয়ার রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ২২ নভেম্বর ২০২১ রুল ইস্যু করে অভিযুক্ত মো: কুদ্দুস মিয়াকে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। ওই আদেশে বিচারপতিদ্বয়ের স্বাক্ষর হওয়ার আগেই টেন্ডার নম্বরের ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে চেম্বার জজ হাইকোর্টে প্রদত্ত জামিনের আদেশ স্থগিত করে অ্যাপিলেট ডিভিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

বিচারপতি মো: নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন অ্যাপিলেট ডিভিশন ২৪ জানুয়ারি ২০২২ লিভ টু আপিল নং-১৬৪২/২০২১ শুনানি করে রুলটি দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশনকে নির্দেশনা দিয়ে চেম্বার জাজ প্রদত্ত স্টে অর্ডার অব্যাহত রাখেন। যেহেতু অ্যাপিলেট ডিভিশন স্টে অর্ডার অব্যাহত রেখেছে সেহেতু হাইকোর্ট ডিভিশনের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চসহ কোনো বেঞ্চ সম্মত না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দরখাস্তকারী কুদ্দুস মিয়া উপায়ান্ত না পেয়ে হাইকোর্টে বিচারাধীন রুলটি আবার বিচারিক আদালতে জামিনে আবেদন করলে জামিনের আদেশ নামঞ্জুর হলে পুনরায় হাইকোর্ট ডিভিশনে জামিনের জন্য আবেদন করে। বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও এস এম মাসুদ হোসেন দোলন সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ মামলায় দীর্ঘদিন সাক্ষী না আসায় এবং পোস্টমর্টেম ও স্বীকারোক্তি পরস্পরবিরোধী হওয়ায় বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ফৌজদারি মিস কেস নং-৩৯৮৯৫/২০২২ মামলায় রুল ইস্যুসহ কুদ্দুস মিয়াকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। হাইকোর্টের জামিনের আদেশ বাতিলের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবার অ্যাপিলেট ডিভিশনে Criminal Miscellaneous Petition No. 1032/2022 দায়ের করলে চেম্বার জজ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম নিম্নবর্ণিত আদেশ দেন- Stay, as prayed for, is granted for 8 (Eight) weeks. In the meantime, the petitioner (অর্থাৎ রাষ্ট্রপক্ষ) is directed to file regular leave petition.
However, the trial court is directed to conclode the trial with in 6(six) month from date without fail and to make compliance there of to this court.
১১ মে ২০২৩ পর্যন্ত ওই মামলায় কোনো সাক্ষী রাষ্ট্রপক্ষ হাজির করতে পারেনি। অ্যাপিলেট ডিভিশনে স্টে থাকায় এক দিকে বিচারিক আদালত জামিন দেয় না, অন্য দিকে আপিল বিভাগেও শুনানি হচ্ছে না। সপ্তাহের প্রতি সোমবার বর্ণিত বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি হয়। ১৫ মে ২০২৩ আপিল বিভাগের দ্বিতীয় আদালতে শুনানির কার্যতালিকায় সিরিয়াল নম্বর ৩৬৫ ছিল। সপ্তাহে প্রতি সোমবার শুনানি হলেও ৩০ থেকে ৩৫ বা ৪০টি মামলার বেশি শুনানি করা সম্ভব হয় না।

অর্থাভাবে তদবির করতে না পারায় অনেক গরিব মানুষ আপিল করতে পারে না। অন্য দিকে একই কারণে বিনাবিচারে অনেক বিচারপ্রার্থী কারারুদ্ধ রয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭৭ রূপগঞ্জ থানার ইছাখালী গ্রামে সংগঠিত একটি খুনের মামলায় আসামিদের অনুপস্থিতিতে অন্য আসামিদের সাথে একই থানার মুইরাবো গ্রামের জহিরুল হক নামে এক ব্যক্তিকে ২৩ আগস্ট ১৯৮৬ তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ইব্রাহিম আলী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। জহিরুল হক ১১ এপ্রিল ২০০৪ পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়। তার পরিবার হতদরিদ্র ও তৎসময়ে দুই সন্তানই শিশু হওয়ায় জহিরুল হক কোন জেলখানায় ছিল সে সম্পর্কে পরিবারের লোকজন কোনো খোঁজখবর নিতে পারেনি, তাই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেনি। ইতোমধ্যে কারাগারে তার ২০ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। নথিদৃষ্টে দেখা যায়, আইনের বিধান অনুযায়ী আপিল দায়ের করার জন্য নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে ১৩ হাজার ২৪৯ দিন বিলম্ব হয়েছে। তার সন্তানরা বড় হয়ে আপিলের নিমিত্তে ১৩ হাজার ২৪৯ দিন বিলম্ব মওকুফ করার জন্য তামাদি আইনের ৫ ধারা মোতাবেক হাইকোর্টে দরখাস্ত করে। ১৩ হাজার ২৪৯ দিন বিলম্ব কেন মওকুফ করা হবে না মর্মে সরকার ও জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জের ওপর চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ১২ জানুয়ারি ২০২৩ রুল শুনানি-অন্তে হাইকোর্ট ১৩ হাজার ২৪৯ দিন বিলম্ব মওকুফ করলে অন্তে আপিলটি (আপিল নং-২৮৬৯/২০২৩) গ্রহণ হয়।

আমি (লেখক) নিজে বহুবার কারাভোগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সাজাপ্রাপ্ত বহু আসামি অর্থ ও তদবিরের অভাবে আপিল না করতে পারার কারণে বিনা শুনানিতে দিনের পর দিন কারাভোগ করছে। অনুরূপ ছোটখাটো অপরাধের অভিযোগে আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বিনা বিচারে অনেক লোক কারাগারে আটক রয়েছে। আমি মনে করি, সাজাপ্রাপ্ত যে সব আসামি অর্থের অভাবে বা তদবিরকারকের অভাবে আপিল করতে পারে না বা বিনা বিচারে দীর্ঘ দিন কারাভোগ করছে তাদের সরকারি খরচে আইনি সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের একটি নির্দিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম থাকা আবশ্যক এবং সরকারকেই হতে হবে সেই সংশ্লিষ্ট অভাগা ব্যক্তির তদবিরকারক- এ মর্মে পার্লামেন্টে আইন পাস আবশ্যক। সরকারকে উভয়পক্ষ যথা- প্রসিকিউশনের পাশাপাশি ডিফেনডেন্ট উভয়পক্ষেরই তদবিরকারক হিসেবে দায়িত্ব নিতে হবে। লিগ্যাল এইড কমিটি এ মর্মে সার্থক ভ‚মিকা পালন করছে বলে প্রমাণ করতে পারছে না।

পেশাগত সমস্যা সমাধানে আইনজীবী সমিতির করণীয় ও বাস্তবতা :
বিচারব্যবস্থার উন্নয়ন সম্পর্কে নিম্ন থেকে উচ্চ পর্যন্ত সব সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, মিটিং বা যেকোনো আলোচনায় একটি কথা খুব গুরুত্বের সাথে এ মর্মে আলোচনা হয় যে, বেঞ্চ (বিচারক) ও বারের (আইনজীবী সমাজ) যৌথ উদ্যোগ ছাড়া একটি সুষ্ঠু, নির্ভেজাল, টেকসই বিচারব্যবস্থা গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টসহ প্রতি জেলায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্র্যাকটিশনার অ্যাক্ট মোতাবেক আইনজীবী সমিতি রয়েছে যা বার অ্যাসোসিয়েশন নামে সর্বাধিক পরিচিত।

প্রতি বারে নির্বাচিত কমিটি রয়েছে এবং নির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব হলো বিচার বিভাগের কাছে পেশাগত সমস্যার সমাধান উপস্থাপনসহ বিচারপ্রাপ্তিতে জটিলতা নিরসনকল্পে পেশার মানোন্নয়ন করা। দুঃখের বিষয় হলো- রাজনীতির দলীয় প্রভাবে আইনজীবী সমাজ শুধু দ্বিধাবিভক্ত নয়; বরং ‘আলাল দুলালের’ মতো অবস্থা। আলাল যদি ডানে যায় তবে দুলাল যায় বাঁয়ে। দলীয় রাজনীতির প্রভাবে সর্বোচ্চ বিচারাঙ্গনে অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ফৌজদারি মামলা এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। কারণ ওই বারের নির্বাচন এখন কোটি কোটি টাকার খেলা যা এখন সেবামূলক নয়; বরং লাভজনক লোভনীয় পদে পরিণত হয়েছে। পুলিশি ক্ষমতা দিয়ে বাংলাদেশ যেমন ভোটারবিহীন সরকার দিয়ে চলছে, অনুরূপভাবেই চলছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (এসসিবিএ)। ফলে পেশাগত সংগঠন হিসেবে এসসিবিএ দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক ব্যবস্থায় সৃষ্ট মামলাজটসহ পেশার উন্নয়ন ও মসৃণতা আনা সম্ভব নয়।

একটি রাষ্ট্রে এমন কিছু প্ল্যাটফর্ম থাকা দরকার যেখানে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে, যেমন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি। কিন্তু এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও বর্তমান সরকার চরদখলের মতো দখল করেছে। ফলে ঐকমত্যে প্ল্যাটফর্ম তো রইল না; বরং জাতির যারা বিবেক বলে সম্মানীত তারাও সরকারের চরম দালালিতে ব্যস্ত। সরকারের সব অবৈধ/ বেআইনি/চরদখল/গণমানুষের ভোটাধিকারসহ অধিকার হরণ- সব সাফাই দিচ্ছে তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা যারা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে হয় লোভনীয় নিয়োগের মাধ্যমে নতুবা অন্য নানাবিধ উপায়ে।

লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী (অ্যাপিলেট ডিভিশন)

E-mail : taimuralamkhandaker@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত

সকল