১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইতিহাস চর্চা, গণচেতনা ও স্বৈরস্বভাব

ইতিহাস চর্চা, গণচেতনা ও স্বৈরস্বভাব। - ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক বইমেলা চলছে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে। চলছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনেস আইরেসেও। বাংলাদেশে হয়ে গেছে গত ফেব্রæয়ারিতে। একই সময়ে বইমেলা হয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও।

সব বইমেলার একটিই উদ্দেশ্য থাকে। নতুন বই ও লেখকের সঙ্গে দেশ-বিদেশের পাঠকের পরিচয় করিয়ে দেয়া এবং বই পাঠে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। এতে করে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভবপর হয়। দেশের সীমা ছাড়িয়ে বাইরের জগতে জায়গা করে নিতে পারে একটি দেশের ভাষা ও সাহিত্যের উৎকৃষ্ট নমুনাগুলো। নতুন বই পড়া মানেই নতুন চিন্তার সঙ্গে পরিচিত হওয়া, নতুন জ্ঞানের অংশীদার হওয়া। ফলে বইমেলা মানুষের স্বাধীন চিন্তা-চেতনার সুযোগ প্রসারিত করে, স্বাধীনতার বোধ শাণিত করে। নিছক বাণিজ্য করতে বইমেলার আয়োজন করে না কেউ। বইমেলার এই মূল উদ্দেশ্য আমাদের দেশের ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য তা নিয়ে কথা হতে পারে। কারণ এখানে খোদ মেলা আয়োজকদের পক্ষ থেকে যেমন মেলার উদ্দেশ্যপরিপন্থী কর্মকাণ্ড প্রায় প্রতি বছরই ঘটে, তেমনি ঘটে বইয়ের লেখক প্রকাশকদের পক্ষ থেকেও। তবে আমরা আজ সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। আমরা ভিন্ন প্রসঙ্গে কিছু বলার জন্য অসময়ে বই নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করছি।

বুয়েনেস আইরেসে যে মেলা হচ্ছে সেখানে বাংলাদেশী একজন কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক আমন্ত্রিত হয়েছেন। আমন্ত্রিত সেই লেখক রাজু আলাউদ্দিন বাংলাদেশে কোনো সেলিব্রিটি লেখক নন। তিনি নিভৃতচারী। লেখার গুণ ছাড়া আরো যেসব কারণে এ দেশে একজন লেখকের প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকে তার কোনোটাই রাজুর নেই। তবু যে মেলা কর্তৃপক্ষ তাকে খুঁজে বের করেছে এবং যাবতীয় ব্যয় বহন করে তাদের দেশে নিয়ে গেছে এটি তাদের আন্তরিকতার প্রমাণ। আর রাজু প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের নিষ্ঠার সাথে মানসম্মত কাজ করে যেতে পারলে স্বীকৃতি এক সময় আসেই। কবি রাজু আলাউদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে অনুবাদ করছেন হোর্হে লুই বোর্হেস-এর সাহিত্যকর্ম। বোর্হেসের বেশ কয়েকটি বই তিনি মূল স্পেনিশ থেকে অনুবাদ করেছেন এবং তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে বই লিখেছেন।

যদিও বাংলাদেশে বোর্হেস তেমন পরিচিত নন, যেমনটা ‘ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অব সলিচুডে’র কলম্বিয়ান লেখক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। তবে বাংলাদেশে যারা সাহিত্য চর্চা করেন তারা বোর্হেসকে খুব ভালো চেনেন। বেঁচে থাকতে বোর্হেস খুব একটা পরিচিত ছিলেন না। তবে তার কবিতা এবং গল্পগুলো এখন ২০ শতকের সাহিত্যের ক্লাসিক বলে বিবেচিত। তিনি ল্যাটিন আমেরিকান সাহিত্যকে বিশ্বব্যাপী পাঠকের কাছে নিয়ে গেছেন। বর্তমান বিশ্বের কথাসাহিত্যের রীতি হিসাবে যে জাদু-বাস্তবতার কূলপ্লাবি প্রভাব সেটির জনক বলা যায় বোর্হেসকে। আর বাংলাদেশে তাকে পরিচিত করতে রাজুর অবদান গৌণ নয়।

এরই মধ্যে রাজু আলাউদ্দিনের সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছে আর্জেন্টিনার পত্রিকায়। বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সামান্য হলেও পরিচয় জেনেছেন আর্জেন্টিনার বোদ্ধা সমাজ। এটি মোটেও সামান্য বিষয় নয়। বাংলা একাডেমি যা করতে পারেনি সেটি রাজু করেছেন। বই নিয়ে আমরা ভাষার মাস ছাড়া আলোচনায় অভ্যস্ত নই। তবু যে আজ এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেছি তার কারণ আছে। সেই কথাতেই আসি।

তিউনিসের মেলায় গত শুক্র ও শনিবার দুটি বই নিষিদ্ধ করে পুলিশ। বন্ধ করে দেয় বই দুটির প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল। একটি বইয়ের নাম ‘তিউনিসিয়ার ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’। কামেল রিহাইয়ের লেখা। আরেকটি হলো, লেখক ও সাংবাদিক নিজাম বাহলুলের ‘কাইস দ্য ফার্স্ট, প্রেসিডেন্ট অফ অ্যা ড্রাঙ্কেন শিপ’। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ‘অনড় চিন্তাধারার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব’ বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলার পরপরই পুলিশ ওই অ্যাকশনে যায়। সমালোচকরা এর নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এই পদক্ষেপ ভিন্নমতের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কঠোর দমন অভিযানেরই শেষ উদাহরণ। দুটি বইতেই সরাসরি শাসকের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন লেখকরা।

আমাদের কি মনে পড়ছে গত ফেব্রæয়ারিতে একুশের বইমেলায় আদর্শ প্রকাশনীর বই নিষিদ্ধকরণ এবং স্টল বন্ধ করার ঘটনা! বাংলাদেশের লেখকরা কখনই অতটা সাহসী নন। এখানকার শাসকদের ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বলা তো দূরের কথা তাদের নাম ধরে কথা বলাও অসম্ভব। আদর্শের যে তিনটি বই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল- জিয়া হাসানের ‘উন্নয়ন বিভ্রম’, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’ এবং ফাহাম আবদুস সালামের ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’- সেগুলোতে সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড, কিছু নীতিগত পদক্ষেপ এবং উন্নয়নের অতিরঞ্জিত দাবির অসারতা প্রতিপন্ন করার চেষ্টা ছিল এবং তারা সেটি করেছেন যথাযথ তথ্য-উপাত্ত-পরিসংখ্যানগত প্রমাণসহকারে। কিন্তু তাতে কী? আমাদের পছন্দ হয় নাই। ও বই পড়া যাবে না। সে বই নিষিদ্ধ করার ফলে কার কী লাভ হয়েছে? বইমেলায় যদি ’শ পাঁচেক কপি বিক্রি হতো, নিষিদ্ধ করার পর হাজার হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। এই সুযোগে প্রকাশক বইয়ের দাম দ্বিগুণ তিনগুণ বাড়িয়ে অন্যায্য মুনাফা করেছেন। তিউনিসিয়ার ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে মনে হয়। এরই মধ্যে কামেল রিহাই ও নিজাম বাহলুলের বইয়ের ব্যাপারে পাঠকের খোঁজখবর নেয়া বেড়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির সামান্য খোঁজখবর যারা রাখেন তারা জানেন, কাইস সাইদ কী চরিত্রের শাসক। আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি, বিপুল বেকারত্ব এবং ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ২০১৯ সালে গণতান্ত্রিক সংস্কারের অঙ্গীকার করে নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক এই সংবিধানবিষয়ক আইনজীবী। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার দুই বছর পর, সাইদ পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং ২০২১ সালে নতুন এমন একটি সংবিধান প্রণয়ন করেন যেটিকে তিউনিসিয়ার মানুষ বলেন, সাঈদের ‘আত্ম-অভ্যুত্থান’। তিনি ডিক্রি দিয়ে শাসন করতে শুরু করেন, এক ব্যক্তির শাসন চালু করেন এবং ভিন্নমত দমনে গণগ্রেফতারের জোয়ার বইয়ে দেন। অবশ্য সে দেশে পুলিশ গায়েবি মামলা দেয় কিনা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

যা হোক, বাংলাদেশের বইমেলা আর তিউনিসিয়ার বইমেলার চরিত্রের একটি ভিন্নতা দেখিয়ে এ প্রসঙ্গের ইতি টানব। বাংলাদেশে আদর্শের বই সরিয়ে দেয়ার জন্য সহযোগী প্রকাশকরাই বাংলা একাডেমিকে অনুরোধ করেছিল। পরে নিষিদ্ধ তিনটি বই বিক্রি না করার শর্তে হাইকোর্ট স্টল খোলার অনুমতি দেয়। তিউনিসিয়ায় ঘটনাটা উল্টা। সেখানে বই নিষিদ্ধের প্রতিবাদে মেলার সব প্রকাশক নিজেদের স্টল বন্ধ করে দেন। ফলে দার-আল কিতাব নামের প্রকাশনা সংস্থাকে স্টল চালুর অনুমতি দিতে পুলিশ তথা রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়। বাংলাদেশের হাইকোর্টের অবস্থাও খেয়াল করে দেখার মতো। ভিন্নমত প্রচারের সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখা হাইকোর্টের প্রধানতম দায়িত্ব। স্টল খোলার জন্য তিনটি বই বিক্রি না করার শর্ত দিয়ে হাইকোর্ট সাংবিধানিক অধিকার কতটা সমুন্নত করেছেন ইতিহাস তা মনে রাখবে। হয়তো বিচার বিশ্লেষণও করবে কোনো দিন।
তসলিমা নাসরিনের ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী বই নিষিদ্ধ করার একটি যুক্তি আছে। আছে আইনগত ভিত্তি। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা আইনত অপরাধ। আর রাষ্ট্রবিরোধী হলে তো সে বই নিষিদ্ধ করা প্রশ্নাতীতভাবে সিদ্ধ। তার পরও আমাদের প্রগতিশীল লেখক বুদ্ধিজীবীরা তসলিমার বই নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যে তুলকালাম বাধান, লেখকের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা, মুক্তবুদ্ধির পক্ষে যে তীব্র তীক্ষè ভাষায় সোচ্চার প্রতিবাদ তোলেন, অন্য কারো বই নিষিদ্ধের ক্ষেত্রে সেসব বক্তব্য, সেসব যুক্তিজাল তারা বেমালুম ভুলে যান কোনো বিশেষ জাদুকাঠির ছোঁয়ায়? আমাদের বিস্ময় জাগে।

বস্তুত আমাদের বর্তমান শাসকশ্রেণী যেমন নিজের চেতনার বাইরে আর কোনো চিন্তার, চেতনার, আদর্শের অস্তিত্ব স্বীকারে প্রস্তুত নন, তেমনি লেখক প্রকাশক, মিডিয়া এবং বুদ্ধিজীবীরাও সেই একই স্বৈরস্বভাবের বাইরে নন বলে সংশয় জাগে। কেন এ কথা বলছি?

গত সোমবারের একটি খবর অনেকের নজরে এসে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের একাডেমিক কাজ জড়ানো থেকে বারিত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। কেন এসব ব্যবস্থা? না, অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার লেখা ‘হিস্টোরাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড : স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইতে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে ইতিহাস বিকৃত করেছেন।

অধ্যাপক ইমতিয়াজ কী তথ্য পরিবেশন করেছিলেন তার বইতে? তিনি লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিজে হাজির হন। সে সময় বঙ্গবন্ধুকে বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ বলার পর ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শুনেছেন।

এই ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ প্রথম তুলেছিলেন একজন সাবেক বিচারপতি। সেই সূত্র ধরে ক্ষমসতাসীন দলের সহযোগী, সমর্থক, অনুগামী ও সুবিধাভোগী নানা সংগঠন ও নেতারা অধ্যাপক ইমতিয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানায়।

কৌতূহল জাগার মতো বিষয় যে, মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল আজ থেকে মাত্র ৫২ বছর আগে। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত থেকে নিজ কানে শুনেছিলেন এমন লাখো মানুষ আজও বেঁচে আছেন। অসংখ্য বই লেখা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশ্বে। সেগুলোর বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে সংশয় থাকতে পারে। তাই ওগুলো বাদ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের অসংখ্য মূল কপি অডিও ও ভিডিও আকারে সংরক্ষিত আছে বিশে^র নানা প্রান্তের অনেক ব্যক্তি, গবেষকের কাছে। সংরক্ষিত আছে অসংখ্য লাইব্রেরিতে, জাদুঘরে, মিডিয়া হাউজে। অধ্যাপক ইমতিয়াজের বক্তব্য ঠিক নাকি ভুল সেটি পরীক্ষা করার দাবি কিন্তু কেউ তোলেনি। একজনও না; না রাজনীতিক, না বুদ্ধিজীবী, না মিডিয়া, না অন্য কোনো শিক্ষক, গবেষক, ইতিহাসবিদ। কেন কেউ এ দাবি তোলেননি? সত্য খতিয়ে দেখা সম্ভবত কারো উদ্দেশ্য নয়। কারণ ড. ইমতিয়াজের তথ্য যথার্থ বলে প্রমাণ হলে কোনো কোনো দলের রাজনীতির ভিত টলে যেতে পারে। এটাই কি? বঙ্গবন্ধুর খুনিদের তল্লাশে যারা দুনিয়াজুড়ে জাল ফেলতে পারে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের একটি মূল কপি কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে পারে না এটা বিশ্বাসযোগ্য? উচ্চারিত একটি শব্দের সত্য বা মিথ্যা হওয়া যাদের রাজনীতির প্রাণভোমরা হয়ে ওঠে সেই রাজনীতি নিয়ে জাতি কী করবে?

আসলে বিষয় হচ্ছে ওই, আমার উপরে কেউ কথা বলবে না। আমি যা বলব সেটাই সবাই বলবে। সবাই মানবে। আমার কথাই একমাত্র সত্য, আর কোনো সত্য নাই। ইতিহাস লিখতে হবে আমার মতো করে। এর বাইরে কোনো ইতিহাস থাকবে না।

বাংলাদেশে এটাই বাস্তবতা। এ ক্ষেত্রে তিউনিসিয়ার সাথে আমাদের মিল আছে। মিল আছে ‘ডেমোক্র্যাটিক’ বলে বিশেষভাবে নামাঙ্কিত দেশগুলোর শাসনব্যবস্থার সাথেও। আমরা অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজের প্রতি সহানুভূতি বোধ করি না। করি না এ কারণে নয় যে, তিনি আজীবন এই রাজনীতিরই পোষকতা দিয়ে এসেছেন। আমরা বরং তার জন্য করুণা বোধ করি। তিনি নিজের গবেষণার তথ্য, নিজ কানে শোনা তথ্যের অভ্রান্ততার পক্ষে ন্যূনতম বলিষ্ঠতা নিয়ে দাঁড়াতে পারেননি। বরং ক্ষমতার কাছে হাঁটু মুড়ে বসেছেন। মুচলেকা দিয়ে বলেছেন, তার ভুল হয়ে গেছে। মেধাবী এই মানুষটির মেরুদণ্ডহীনতার জন্য লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা।

mujta42@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement