২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

আত্মসমালোচনা অথবা আত্মপ্রবঞ্চনা

লেখক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। - ফাইল ছবি

আত্মসমালোচনার আদর্শের সাথে আমাদের পরিচয় আছে। আত্মপ্রবঞ্চনা বিষয়টিও আমাদের অপরিচিত নয়। মানুষের শুদ্ধাচারে পৌঁছার একটি উপায় হচ্ছে আত্মসমালোচনা। এর অর্থ হচ্ছে- নিজের মনের আয়নায় নিজেকে দেখা। গভীরভাবে ব্যক্তি যখন নিজের অন্তর্লোক অনুসন্ধান করে তখন ভালো-মন্দ সব কিছু তাকে তাড়িত করে। যারা বিশেষ কোনো আদর্শে বিশ্বাস করেন লৌকিক কিংবা অলৌকিক তারা প্রতিদিন নিদ্রায় যাওয়ার আগে নিজের দিকে তাকাবেন। আত্মসমালোচনা করবেন- এটিই স্বাভাবিক। আবার যারা আত্মপ্রবঞ্চনা করেন অর্থাৎ নিজেকে বঞ্চিত করেন, প্রতারণা করেন কখনো কখনো তাদের মধ্যে আত্মপ্রবঞ্চনার জন্য অনুতাপ সৃষ্টি হতে পারে। তখন তারা নিজেদের সাথেই রাগ করেন। পরিপার্শ্বে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এটি ভালো মানুষের লক্ষণ। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ‘জেনেশোনে বিষ করে পান’। তারা তাদের কাজের জন্য মোটেই অনুতপ্ত নয়। আত্মপ্রবঞ্চনাকেই সফলতার লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করে, আত্মতৃপ্তি অনুভব করেন। আমাদের বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সেদিন জাতীয় সংসদে যে বিদায়ী ভাষণ দিলেন তা এই নৈতিক ব্যাকরণে আলোচনা করা যায়।

মো: আবদুল হামিদ সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। অনেক বছর ধরে তিনি তার এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। তার রয়েছে সুদীর্ঘকালের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। আদর্শহীনতা ও সুবিধাবাদ তাকে আক্রান্ত করেনি বলে আমাদের জানা। আওয়ামী লীগের এই জামানায় সৎ মানুষ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে আবিষ্কার করতে হয়। তিনি তার প্রতিদান পেয়েছেন। দু’-দুবার তাকে রাষ্ট্রপতির পদ দিয়ে অলঙ্কৃত করা হয়। ব্যক্তি হিসেবে তার মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার কার্যকাল সেরকম নয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির পদটি মূলত আলঙ্কারিক। ব্রিটেনের রানীর মতো ‘তিনি রাজত্ব করেন, শাসন করেন না।’ সে জন্য তাকে কর্তা ইচ্ছায় কীর্তন করতে হয় বলে আমরা জানি। তবে সংবিধানের বাইরে প্রেসিডেন্ট তার আদর্শ, ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা দিয়ে প্রশাসনকে প্রভাবিত করতে পারেন। প্রশাসন যখন তাকে খুনের আসামিকে ক্ষমা করতে বলে অথবা অসম্ভব সন্ত্রাসীকে মুক্ত করতে বলে তখন তার সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে তা নাকচ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। সাংবিধানিক ক্ষমতা না থাকলেও ন্যায় ও অন্যায় নির্দেশ করার নৈতিক অধিকার তার রয়েছে।

যাই হোক, এরকম ব্যক্তিক বলয়ের বাইরে রাষ্ট্রিক প্রয়োজনে জাতির বৃহত্তর সার্থে তার ভ‚মিকা পালনের সময় ও সুযোগ ছিল। গত আট বছরে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় অনেক পানি গড়িয়েছে। কখনো কখনো তার নামে সংলাপ আহূত হয়েছে। তাকে শিখণ্ডী বানিয়ে ক্ষমতালোভী সরকার ক্ষমতাকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়িত করেছে। যখনই রাজনৈতিক সঙ্কট এসেছে তখনই তার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। যতটা মনে পড়ে, এই নির্বাচন কমিশন গঠন করার আগেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তার সাথে সাক্ষাৎ করেছে। নির্বাচন কমিশন গঠনকে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার অনুরোধ করা হয়েছে। তিনি অনুরোধ রাখেননি বা রাখতে পারেননি। ২০১৪ ও ২০১৮ এর নির্বাচনের পূর্বাপর ঘটনা তিনি জানেন। যে অঘটন ঘটেছে তার তিনি প্রতিকার করতে পারেননি। কিন্তু তার শেষ ভাষণের কোনো কোনো অংশ আমাদের মনে করিয়ে দেয়- তার হয়তো উপলব্ধি ছিল, উপায় ছিল না।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীতে ভাষণ দেন। দীর্ঘ ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসাথে চলে। দেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে উন্নয়ন ও অগ্রগতি এগিয়ে যায়। আবার গণতন্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হলে উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হয়। উন্নয়নকে স্থায়ী ও টেকসই করতে হলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে, তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্রহীন অবস্থায় যে উন্নয়ন হয়, তা কখনো সর্বজনীন হতে পারে না। সে উন্নয়ন হয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকেন্দ্রিক।’ দেশে যখন উন্নয়ন বনাম গণতন্ত্রের বিতর্ক উত্তাপ ছড়াচ্ছে তখন তার এই মন্তব্য কী বার্তা দেয়? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ উন্নয়নকে তাদের রাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। শাসকদলের বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব শাজাহান খান এমপি বলেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অর্থহীন।’ দীর্ঘ দেড় দশক ধরে শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব পর্যন্ত এ বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে তুলে ধরছে তারা। এর মধ্যে একটি নীরব অথচ নির্মম সত্যের প্রকাশ ঘটছে। তারা স্বীকার করেই নিয়েছে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি ঘটেছে। উন্নয়ন দিয়ে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির পূরণ ঘটবে। তাই তাদের স্লোগান- ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্র উন্নয়নের গণতন্ত্র’। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, যখনই গণতন্ত্রের আগে-পিছে বিশেষায়িত শব্দাবলি বসবে, তখন মনে করতে হবে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’।

আইয়ুব খান যখন মৌলিক গণতন্ত্রের কথা বলেন তখন বুঝতে হবে সেটি ভেজালের গণতন্ত্র। যখন শোষিতের গণতন্ত্রের কথা বলা হয় তখন বুঝতে হবে গণতন্ত্রই শোষিত হয়ে গেছে। যখন নয়া গণতন্ত্রের কথা বলা হয় তখন বুঝতে হবে এটি গণতন্ত্র বাদে অন্য কিছু। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কথায় ফিরে আসি। দীর্ঘ বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস, জনগণের প্রতি সংসদের দায়বদ্ধতা, সংসদ সদস্য হিসেবে ভ‚মিকা, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের কথা বলেন। টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আর কয়েকদিন পর অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল বঙ্গভবন ছাড়ার কথা রয়েছে তার। এখন সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে এই ভাষণই রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার শেষ ভাষণ। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে দেশের রাজনীতিতে ঐকমত্য সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। ক্ষমতায় যাওয়া বা পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় নির্বাচন। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না; বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে তোলে। সঙ্ঘাত ভুলে আপাল-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত হতে আমাদের সবার সহায়তা করা উচিত।’

তার এ ধরনের কথা সাধুবাদযোগ্য। কিন্তু অসাধুতার প্রমাণ এই যে, দীর্ঘ আট বছরে শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্যের জন্য তার কাজ করার সুযোগ ছিল। তাই তার ভাষণ মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। স্বাধীন ব্যক্তিত্ব শাহদীন মালিক বলেন, সঙ্ঘাত ভুলে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে রাষ্ট্রপতির ভাষণ যথার্থ যৌক্তিক ও সঙ্গত। তার মতে, এই আহ্বানের বাস্তব প্রতিফলন ঘটবে না। রাষ্ট্রপতির ভাষণ শুধু ভাষণ হিসেবেই থাকবে বলে মনে করেন এই প্রথিতযশা আইনজীবী। অপর দিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের লিখে দেয়া যে বক্তব্য, তা তিনি পাঠ করেছেন। তিনি আরো বলেন, ওই কথাগুলো ভালো কিন্তু যারা প্র্যাকটিস করছেন তারা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারছেন গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস তো সেখানে নেই; বরং কী করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা যায় সেটি তারা প্র্যাকটিস করছেন। অপর দিকে, সরকারি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, রাষ্ট্রপতি যেমন বলেছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য ও নীতি-আদর্শের ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু সংসদকে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না, রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্যকে ইতিবাচকভাবেই দেখে আওয়ামী লীগ। এখানে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র ও সংসদ সম্পর্কে সবাই একমত। কিন্তু ক্ষমতার ব্যাপারে তারা কঠিনভাবেই দ্বিমত।

রাষ্ট্রপতির এই ভাষণ তথাকথিত গণতন্ত্রের বিপরীতে উন্নয়নের জিকির সম্পর্কে নতুন করে প্রশ্ন করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সবাই জানি, গণতন্ত্র শুধু একটি শাসনপদ্ধতিই নয়, এটি একটি জীবনব্যবস্থা। গণতন্ত্র নাগরিক সাধারণকে মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও ব্যক্তির সার্বিক অধিকারকে সংরক্ষণ করে। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি গণতন্ত্রকে তাদের জীবনপদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ না করে তাহলে স্বৈরতন্ত্রের বিকাশ ঘটে। আরেকটি বিষয় গণতন্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তা হচ্ছে- রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সিএফ স্ট্রংয়ের ভাষায় ‘শাসিত জনগণের সক্রিয় সম্মতি’ অর্থাৎ নির্বাচন। আর গণতন্ত্র সম্পর্কে আব্রাহাম লিঙ্কনের বহুল উচ্চারিত সেই বাণী- ‘Democracy of the people, by the people and for the people’ বাংলাদেশে অর্থহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আব্রাহাম লিঙ্কনের সংজ্ঞাটিকে পাল্টে দিচ্ছে রসিকজন। তারা বলছেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন ‘Off the people, buy the people and far the people’ বাংলাদেশের গণতন্ত্র জনগণের জন্য নয়। জনগণকে টাকা দিয়ে কেনার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে গণতন্ত্র। গণতন্ত্র এখন জনগণ থেকে অনেক অনেক দূরে সরে গেছে। বিশেষ করে নির্বাচনী গণতন্ত্র বাংলাদেশে বিপন্ন হয়ে পড়েছে। পাশ্চাত্যের পণ্ডিতদের সমালোচিত সেই ‘One day democracy’ বা একদিনের গণতন্ত্রও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের শেষ বক্তব্য স্ববিরোধী হলেও নির্মম সত্য। তাই উন্নয়নের নামে দুর্নীতির যে মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে তা ভেঙে চুরমার করে সত্যিকার গণতন্ত্রের রাজপথ নির্মিত হতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের ওই বক্তব্য যদি আত্মসমালোচনামূলক হয় তাহলে সাধুবাদ। আর যদি এটি আত্মপ্রবঞ্চনার খতিয়ান হয় তাহলেও স্বাগত। যেভাবেই হোক উচ্চারিত হয়েছে অপ্রিয় শব্দাবলি। এ দেশের ভালো, এ দেশের মন্দ এ দেশের মানুষকেই নির্ধারণ করতে হবে। লোভ-মোহ-মদ ও মাৎসর্যের মানবিক তাড়নায় অন্যায় করে মানুষ। এর অপর নাম ক্ষমতা। এসব রিপুর কারণে তাদের বিবেক লোপ পায়। আবার কখনো যদি আমাদের রাজনীতিবিদরা আত্মগ্লানির শ্লাঘায় ভোগেন, তাহলে সচেতন অথবা অচেতন ভাবে ‘নরক অনলে’ পুড়ে পুড়ে ছারখার হন। এসবের অবসানে ‘প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে স্বর্গভূমি’। তাই কবি শেখ ফজলুল করিমের একটি চিরায়ত পঙ্ক্তি উচ্চারণ করে শেষ করি-
‘মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়েঘরে।’

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন : প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ

সকল