২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সংলাপে কী লাভ

লেখক ড. আবদুল লতিফ মাসুম। - ফাইল ছবি

যেকোনো সঙ্কট উত্তরণে সংলাপ একটি উত্তম উদ্যোগ। যুদ্ধের মতো বিষয়েও সংলাপে সমাপ্তি ঘটে। আর রাজনীতিতে সংলাপ একটি অনিবার্য অধ্যায়। রাজনীতিকে বলা হয় সমঝোতার শিল্পকলা। পৃথিবীতে যে সমস্ত রাজনীতিবিদ বিখ্যাত হয়েছেন, নন্দিত হয়েছেন তারা সংলাপকে, সমঝোতাকে তাদের পথের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে একটু ভিন্ন চিত্র। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর ঘটনা একরকম নেই বললেই চলে। সমঝোতার পরিবর্তে যদি নগ্ন শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়, আপাত জয়লাভ করলেও এর মাধ্যমেই চূড়ান্ত পরাজয় নিশ্চিত হয়। ব্যক্তিগত জীবনে, পারিবারিক জীবনে এমনকি রাষ্ট্রিক জীবনে একগুঁয়েমি বা অনমনীয়তা কোনো সুফল বয়ে আনে না। আসলে এটি এক ধরনের অহঙ্কার। আদর্শলিপিতে আছে- অহঙ্কারই পতনের মূল। যারা অহঙ্কারকে ধারণ করেন, তাদের মাধ্যমে কোনো সমঝোতা বা সন্ধি কোনোটিই সম্ভব নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে বারবারই সংলাপের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু ফলাফল শূন্য।

নির্বাচন কমিশন নতুন করে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। সবাইকে নয়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিএনপির মিত্রদেরও ডাকা হবে সংলাপে। মনে করিয়ে দেয়া যায় যে, এর আগে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। তখন ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ২৭টি দল সংলাপে অংশ নিয়েছিল। ওই সংলাপে যায়নি প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ তাদের মিত্রভাবাপন্ন আরো ১২টি দল। এই দীর্ঘ সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলো কী অর্জন করেছিল যদি সে প্রশ্ন করা যায়, তাহলে উত্তর হবে- তাদের অর্জন অশ্বের ডিম্ব। নির্বাচন কমিশনের এটি একটি রীতিমতো রুটিন ওয়ার্ক রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ সংলাপ ভাব করা। এ দেশের প্রতিটি নির্বাচন কমিশন বেহুদা কাজটি করেছে।

নির্বাচন কমিশন সত্যিই যদি কোনো পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জনের ক্ষমতা রাখে, তা হলেই সংলাপ সিদ্ধ হতে পারে। সবাই জানে, এটি আওয়ামী নির্বাচন কমিশন। তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নই কমিশনের কাজ। মাঝে মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বাধীন স্বাধীন ভাব দেখান। নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের গুরুত্বের কথাও বলেন। কিন্তু তিনি কি ক্ষমতা রাখেন কিছু করার? আবার তার এই স্বাধীন স্বাধীন মনোভাবের বিপরীতে অধীন লোকের সংখ্যা অনেক। তা নির্বাচন কমিশনের অন্য সদস্যরা সরকারি দলের ভাষায় কথা বলেন। ভাবখানা এই, রাজা যা বলে পারিষদ বলে তার শতগুণ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার একবার বলেছিলেন, ব্যর্থ হলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তার নিয়োগের ব্যাপারে সিভিল সোসাইটির শক্ত ব্যক্তিত্ব ডাক্তার জাফরুল্লাহ কিছু ইতিবাচক কথা বলেছিলেন। তারও সাজেশন হচ্ছে ব্যর্থতায় পদত্যাগ করা। রাজনৈতিক ঘটনাবলি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে অবশেষে একটি অচলাবস্থার মুখোমুখি হওয়া অসম্ভব নয়। যার লক্ষণ ইতোমধ্যেই অনুমিত হচ্ছে।

অনুমিত সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সংলাপের আহ্বান ইতিবাচকভাবেই দেখা হতো। কিন্তু সরকারি দলের অনমনীয়তার মুখে কেন সংলাপ আহূত হলো, সেটিই একটি প্রশ্ন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা শোনা যাচ্ছে। তবে গ্রহণযোগ্য প্রপঞ্চটি হচ্ছে এই যে, পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের কারণে সরকারের ইঙ্গিতে ইসি এমন সংলাপের আয়োজন করেছে। সরকার ও ইসি পশ্চিমাদের দেখাতে চাইছে, তারা সংলাপের মাধ্যমেই রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের চেষ্টা করছে। উল্লেøখ্য, পশ্চিমা জগতে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে সংলাপ একটি উত্তম উদ্যোগ বলে সর্বত্র সমাদৃত। এই দেশের অচল অটল রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনেও পশ্চিমা ক‚টনীতিকরা অব্যাহতভাবে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে থাকেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেছেন, সরকার আবারো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের পাঁয়তারা শুরু করেছে। তার মধ্যে লেটেস্ট কৌশল হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের আমাদের (বিএনপিকে) একটি চিঠি দেয়া। বিএনপির পূর্বাপর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এটি বলা যায়, বিএনপি সংলাপে যাবে না। আগেই বলা হয়েছে, সংলাপ তো সঙ্কট দূর করার লক্ষ্যে আয়োজিত হয়। বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকার। বিএনপিসহ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, তারা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যতীত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আহূত সংলাপ যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বাচনকালীন সরকার অর্জনে সহায়ক হয়, তাহলেই কেবল বিএনপি ও তার মিত্রদের সংলাপে অংশগ্রহণ করা উচিত। আর ইসি সুনির্দিষ্ট কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা বলছে না। তাহলে কিসের জন্য, কী উদ্দেশ্যে এই সংলাপ? বিরোধী দলগুলো সংলাপে যাবে- কী লাভে? সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক সংলাপে বিরোধী দল অংশগ্রহণ করতে পারে না।

সরকারি দল বলছে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে অতীতে এ ধরনের আশ্বাসবাক্য উচ্চারিত হয়েছে বার বার। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি খলের আশ্বাসবাক্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। খুব দূরে নয়, নিকট অতীতে যদি আমরা ফিরে যাই ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে শীর্ষ কর্তৃত্বের সাথে সংলাপ হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন- আমায় বিশ্বাস করুন। বিরোধী দল তাকে বিশ্বাস করেছিল। ‘আশার ছলনে কী ফল লভিনু হায়’। নিশীথ রাতের নির্বাচনের মাধ্যমে সেই বিশ্বাসের উত্তর দেয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে যখন নিরঙ্কুশ ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো, তখনো তিনি বলেছিলেন, শিগগিরই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের মানুষ বিশ্বাস না করলেও কূটনৈতিক বিশ্ব তা বিশ্বাস করেছিল এবং তারা প্রতারিত হয়েছিল। এখন ২০২৪ সালের সমাগত নির্বাচন নিয়ে কী ঘটবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। আওয়ামী লীগের রণকৌশল সম্পর্কে অভিজ্ঞ কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচনটি দৃশ্যত অংশগ্রহণমূলক হবে। সবাই দেখবে সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু ফলাফল পাল্টে যাবে ঘোষণায়। একটি পূর্বপরিকল্পিত আসনবিন্যাস অনুযায়ী ফলাফল ঘোষিত হবে। অবশ্য এটি বড় একটি ‘যদি’ এর ওপর নির্ভর করে। আদৌ যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এ ধরনের কারসাজি করার সুযোগ থাকবে। কিন্তু সবাই বলছে, ২০২৪ সালের নির্বাচন আগের মতো হবে না। অবশ্যই নির্বাচনটি জনগণের ইচ্ছেমতো নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রশ্ন থেকে যায়, কী করে সম্ভব? আওয়ামী গ্যাঁড়াকল থেকে বেরুনো এতটাই সহজ! বিপক্ষের লোকেরা বলে, বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো। বিরোধী শক্তির গণতান্ত্রিক আন্দোলন যেভাবে নিয়মতান্ত্রিকভাবে এগোচ্ছে তা আগামী নির্বাচনের আগে প্রবল আকার ধারণ করবে। একটি সম্ভাব্য গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন আসন্ন হয়ে উঠবে। গণআন্দোলনের চাপে সরকার নির্বাচনকালীন সরকার তা যে নামেই হোক, গঠন করে নির্বাচন সম্পন্ন করবে। আন্দোলন তীব্রতা যত প্রবল হবে, সরকার ততই নমনীয় হবে। আর যদি একটি সমঝোতার মাধ্যমে সরকারের পতন হয়, তাহলে সেখানে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সম্ভাবনাও থাকবে। আগেই বলা হয়েছে, এ দেশের কালচার হচ্ছে শক্তি প্রয়োগের। গণতন্ত্রের কথা যতই আমরা মুখে মুখে বলি, আমরা সেই মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতেই বিশ্বাস করি। তাই সংলাপ কোনো সময়েই কোনো কাজে আসেনি। সংলাপে ব্যর্থতার কিছু ইতিহাস-ভূগোল মনে করিয়ে দিলে আসন্ন সংলাপের ব্যর্থতা সম্পর্কে অনুমান করা যাবে।

ক. ১৯৯৪ সালে বিএনপি শাসনকালে মাগুরার উপনির্বাচন নিয়ে একটি উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এ সময়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল নিনিয়েন স্টিফেন দু’দলের মধ্যে সমঝোতার স্বার্থে সংলাপ শুরু করেন। সেটি ব্যর্থ হয়। খ. পরবর্তী পর্যায়ে দেশজ সিভিল সোসাইটির স্বনামধন্য ব্যক্তিরা দু’দলের মধ্যে একটি সমঝোতা চেষ্টা করেন। ১৯৯৬ সালে সূচিত ওই সংলাপ ব্যর্থ হয়। গ. ২০০১ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার অনুরূপ সংলাপের চেষ্টা করেন। তিনি ব্যর্থ হন। ঘ. ২০০৬ সালে উভয় দলের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব বিএনপি মহাসচিব আবদুল মান্নান ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। বলা হয়, সফলতার শেষ প্রান্তে এসে সংলাপটি ব্যর্থ হয়। কারণ শীর্ষ নেতৃত্বের কঠোর মনোভাব। ঙ. ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতিসঙ্ঘের সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফর করেন। উদ্দেশ্য- আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্বাচনী বিরোধ মেটানো। তিনি অক্লান্ত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

এসব সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার বড় কারণ হলো- রাজনৈতিক নেতৃত্ব ক্ষমতার জন্য ও শুধু ক্ষমতার জন্য লালায়িত। দেশ ও মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ তাদের দ্রষ্টব্য বিষয় নয়। তাদের স্লোগান হচ্ছে ‘তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই’। সংবিধানে আছে- ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’। ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জনগণের কাছে সমর্পিত হয়েছে। জয়-পরাজয় মেনে নিয়েছে। কিন্তু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সূক্ষ্ম কারচুপি আবিষ্কার করেছে। ২০০১ সালে পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি। বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের মতো সম্মানীয় মানুষকে অসম্মান করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিশ্বাসঘাতক বলেছে।

পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেয়াকে বড় ভুল বলে চিহ্নিত করেছে। তারা বুঝতে পেরেছে, এই দেশে জনগণের ভোটে কোনোকালে কোনোভাবেই তাদের জয়লাভ করার সম্ভাবনা নেই। তাই জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে তারা বাতিল করেছে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই ছিল তাদের আন্দোলনের ফসল। সর্বোচ্চ আদালতের যে নির্দেশিত রায়ের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হলো সেখানেই আরো তিনটি নির্বাচন এই ব্যবস্থার অধীনে হওয়ার সুপারিশ ছিল। আরো মনে করিয়ে দেই, সংবিধান সংশোধনের জন্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে যে সংশোধনী কমিটি হয়েছিল, সেখানেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে চূড়ান্ত মত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য যে, পুরো জাতির সদিচ্ছা পরাজিত হলো।

সংলাপের ব্যর্থতার ইতিহাস সত্ত্বেও আমরা আশা করতে চাই, চলমান সঙ্কট থেকে উত্তরণে জাতির শীর্ষ নেতারা সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছবেন। অবশ্য সেই সংলাপ নির্বাচন কমিশনের সাথে নয়- বসতে হবে তাদের সাথে, যাদের সত্যিই কিছু করার ক্ষমতা আছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিগত অহম পরিহার করে একটি গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে আসবে শীর্ষ নেতৃত্ব জনগণের সেটিই প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার, আর্থিক নির্ভরতা, পারিপার্র্শ্বিক নিয়ন্ত্রণ ও স্বকীয় মর্যাদাবোধের অভাবে অধীনই রয়েছে। ভারতে একজন সাকসেনা নির্বাচনব্যবস্থাকে আলোড়িত করেছিলেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আইন ও ব্যবস্থার কাছে সমর্পিত হতে বাধ্য করেছিলেন। আমরা কি সেই স্বপ্ন দেখতে পারি? জনগণের প্রশ্ন- ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে?’ সত্যি সত্যি নির্বাচন কমিশন যদি আইনের আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে পারে, তাহলে পুরো ব্যর্থতার মধ্যেও সফলতার স্বপ্ন দেখতে পারে। আর যদি তারা তা না পারে তাহলে জনগণকে তাদের নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য ও কাক্সিক্ষত গণতন্ত্রের জন্য প্রত্যাশিত গণবিপ্লবে জয়ী হতে হবে। ‘সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত, নিশ্চয়ই মিথ্যা অপস্রিয়মাণ।’

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement