২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মহাসমর শুরুর দুই মাস

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দু’টি মাস, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ; পরস্পর পিঠে পিঠে লাগানো দু’মাস। এই মাস দু’টির সাথে যেমন অনেক সাফল্যগাথা জুড়ে আছে, তেমনি রয়েছে ব্যথা-বেদনার অনেক পাঁচালী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই দুই মাসের ৫৯ দিন যেমন অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আবেগ আপ্লুত থাকে মানুষ; একই সাথে সীমাহীন ক্ষোভ-বিক্ষোভ উৎপাদন করে। যুগপৎ সুখ-স্মৃতি, সাফল্যের রঙে যেমন রঞ্জিত দিনগুলো, সেই সাথে ক্ষোভ, দুঃখ-বেদনা বঞ্চনায় নীলকণ্ঠ হয়ে থাকে এবং একসময় বজ্রনিনাদে ফেটে পড়ার ইতিহাস রয়েছে বহু গদ্যে-কাব্যে। এই মৃত্তিকার মানুষ প্রাণ বর্ষায় যেমন মাটি গলে কাদা হয়ে যায়, তেমনি হয় মানুষের মনও। আবার চৈত্রে সেটা লৌহ কঠিন হয়ে পড়ে। তেমনি এ জনপদের মন ও রূপ বদলায়। ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা নিয়ে স্মৃতিবিজড়িত মাস, ভাষার মর্যাদার জন্য সংগ্রামের ও বিজয়ের মাস। আর মার্চ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাস। মহাসমরের সূচনা হয় এই মাসে। এই দুই মাসের সাথেই তৎকালীন পাকিস্তানের শাসক নির্মমতার, যত পৈশাচিকতার অকল্পনীয় কাণ্ডও ঘটায়। উভয় মাসেই এ দেশের অকুতোভয় তরুণরা বুকের তাজা রক্তে রাজপথ, জনপদ ভিজিয়ে দিয়েছিল।

তবে দুঃখ হচ্ছে, এ দেশের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর মানুষ গত অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে এই ভূখণ্ডের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক থেকে যেমন বৈষম্য, দুরাচার, লুট-লুণ্ঠণ দূর করতে পারেনি, তেমনি পারেনি বৃহত্তর মানুষের সুখ-শান্তি-স্বস্তির ব্যবস্থা করতে। সর্বত্রই অপরিসীম ব্যর্থতা। এ যাবৎকালে যারাই যখন ক্ষমতায় এসেছেন তাদের নিষ্ক্রিয়তা, অদক্ষতা, বৈষম্যের যত বিষবৃক্ষ রোপণ করেছেন তারা। তাদের রোপিত বিষবৃক্ষের বিষবাষ্প সবকিছু ছারখার করে দিয়েছে। এজন্য তাদের হৃদয়ে কোনো অনুতাপ গ্লানি অনুশোচনা ও এতটুকু লজ্জা তাদের মনমগজে স্থান করে নিতে পারেনি। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত ৫১ বছরের মধ্যে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ সময় ক্ষমতার চর্চা করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন শাসকবর্গ ও তাদের পূর্বসূরিরা। আর সিকি ভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল এরশাদ সরকার। এই দুইয়ের অধীনে দেশ যেভাবে চলেছে সেটা বলতে গেলে দুঃশাসন, অক্ষমতাজনিত কারণে যত সব সমস্যায় দেশকে ভারাক্রান্ত করেছে, সেজন্য যে ভোগান্তি মানুষের তার বেশির ভাগ নিতে হবে সেই দুই সরকারের। তাদের কর্মপটুতা নিয়ে যা কথা বলা হলো কিন্তু তাদের বাকপটুতায় তারা তিলকে তাল করে নিজেদের সাফল্যকে উচ্চমাত্রায় নেয়ার ক্ষেত্রে অতুলনীয় যোগ্যতাই বহু সময় ধরে মানুষ দেখে আসছে। কিন্তু বাকপটুতায় তাদের যে যোগ্যতা বিপরীতে ঠিক ততটাই তারা পিছিয়ে রয়েছে কর্মপটুতায়। এমন শৈলীর অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শাসক দলের নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় বড় ভুল পদক্ষেপ। দলের বিবেচনায় সেসব ব্যক্তির খুব গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না যারা বিদ্যাভাসে অধিকতর মনোযোগী, যারা সুষ্ঠু সঠিক পথে থেকে রাজনীতির মূল লক্ষ্য দেশ ও দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চ জ্ঞান করে। বরং তাদের নেতারা সেসব পাতি নেতাকেই বেছে নিতে পছন্দ করে, যারা মাঠে ময়দানে উপস্থিত থেকে গলাবাজি করে বেড়ায় এবং চাটুকারিতা করে নেতাদের মন তুষ্ট করে। অযোগ্য অক্ষমদের এটাই আসলে ওপরে ওঠার শর্টকাট পথ, অন্তত বাংলাদেশের জন্য বটেই।

জানা গেছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে অর্থাৎ আসছে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গাজীপুর, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করিয়ে নিতে চায়। কিন্তু এসব নির্বাচনেই সব দলের বিশেষ করে বিএনপিসহ অন্যান্য আরো বেশ কিছু রাজনৈতিক সংগঠন পরিস্থিতি না পাল্টালে যে ভোটে অংশ নেবে এমন সম্ভাবনা কোথায়? ইতোমধ্যে সেইসব দল বলেই রেখেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। সে ক্ষেত্রে এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন কী অংশগ্রহণমূলক হবে? যদি এতগুলো বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে তবে জনগণ সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে কোনো উৎসাহও বোধ করবে না। আর একটি বিষয় হচ্ছে, ইসি এ পর্যন্ত তাদের করানো কোনো নির্বাচনকেই ফলপ্রসূ, অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক করার ব্যাপারে অবদান রাখতে পারেনি। সর্বশেষ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনকে ইসি মানোত্তীর্ণ করতে পারেনি এই দেশে যেটা কোনো ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন যদি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তথা দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটিতে পূর্বে কোনো প্রহসনমূলক নির্বাচন হয় সেটা ডিসেম্বর মাসে যদি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের সম্ভাবনা তৈরি করে, তবে সেই পাঁচ করপোরেশনের ফলাফলের ভাগ্যে কী ঘটতে পারে সেটা কে বলবে। এই পাঁচ নির্বাচনের জন্য ইসির কম টাকা খরচ হবার কথা নয়। তাই এখানে এত তাড়াহুড়ো না করে সময় থাকলে অপেক্ষা করা উচিত। কমিশনের সিইসিসহ অন্যান্য কমিশনার নিযুক্তি লাভের পর এ পর্যন্ত খুব কম সময় অতিবাহিত হয়নি। তার পরও তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সঙ্কট এখন অব্যাহত আছে। অর্থাৎ তাদের দায়িত্ব পালন কথাবার্তা নিয়ে প্রশ্ন জিজ্ঞাসার কোনো শেষ নেই। সেজন্য তাদের হিসাব করেই পা ফেলা উচিত, কেননা তাদের পূর্বসূরি দুই ইসি নিয়ে দেশের মানুষের অসন্তুষ্টির কোনো কমতি নেই। সেজন্য তর্কবিতর্ক এড়িয়ে চলাই হবে সঠিক কাজ।

ইসিকে অবশ্য গভীরভাবে ভাবতে হবে, শুধু দেশের মানুষ, রাজনৈতিক সংগঠনই নয় আন্তর্জাতিক বলয়, বিশেষ করে পশ্চিমের গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার সুশাসন নিয়ে খুব স্পর্শকাতর অবস্থানে রয়েছে। শুধু গণতন্ত্র নয় বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক নাজুক অবস্থা, তা থেকে বেল আউটে এর কর্মসূচির জন্য পশ্চিমের সহযোগিতা ভিন্ন দ্বিতীয় কোনো উৎসই নেই। যাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পাওয়া যেতে পারে, সেই পশ্চিমের আর্থিক সংগঠন আইএমএফ থেকেই কিছু সাহায্য পাওয়া গেছে। পশ্চিমের যারা দাতা দেশ তাদের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার জন্য যে কিছু জেন্টেলমেন অ্যাগ্রিমেন্ট রয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য প্রতিশ্রুতিবন্ধ হওয়া। আর গণতন্ত্রের প্রাণ হচ্ছে স্বচ্ছ অবাধ ও প্রশ্নমুক্ত নির্বাচন। সেখানে ইসির দায়িত্ব সর্বাধিক, তাদের ভ‚মিকা ইতিবাচক না হলে গণতন্ত্র শুধু বিনষ্টই হবে না, পশ্চিম সাহায্য করা থেকে হাত গুটিয়ে নিতে পারে।

আবার ফিরে আসি ফেব্রুয়ারি মার্চ প্রসঙ্গে। দূর সে অতীতে এই দুই মাসের আন্দোলন সংগ্রামের ফসলই হচ্ছে ভাষার স্বীকৃতি লাভ ও স্বাধীনতা অর্জন। এ কথা কেউ অস্বীকার করে না। ভাষার স্বীকৃতি অবশ্যই পাওয়া গেছে এবং স্বাধীনতাও অর্জিত হয়েছে। এতটুকু হলেই কী চলবে! ভাষার ব্যবহার বিকাশ না ঘটলে তা পূর্ণাঙ্গতা পেতে পারে কিভাবে। সর্বত্র ভাষার ব্যবহার হয়তো খুব কঠিন কাজ নয়, তথাপি ভাষার স্বীকৃতি লাভের পর বহু সময় অতিক্রান্ত হয়েছে বটে তবে সর্বত্র এখনো ভাষার ব্যবহার পূর্ণতা পায়নি। একই সাথে এ কথাও আমরা জানি, জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এখনো বাংলায় কমই মৌলিক বই গবেষণা গ্রন্থ রচিত হয়েছে। অথচ বিশ্ব কিন্তু জ্ঞান গরিমা নিয়ে দ্রুত এগিয়ে গেছে ও যাচ্ছে। আমরা তা হলে জ্ঞান-বিজ্ঞানের একেবারে সাম্প্রতিক অগ্রগতি মাতৃভাষায় কিভাবে জানব? অতি দ্রুত যদি না অনুবাদ সাহিত্যের উন্নতি হয়, সে জন্য এ নিয়ে আন্দোলন জোরদার করতে হবে। ঠিক একইভাবে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি বটে, কিন্তু তা কেবল ভৌগোলিক সীমার মধ্যেই আজো ঘুরপাক খাচ্ছে। স্বাধীনতার যে মৌলিক প্রশ্ন তার সুরাহা আজো হয়নি। দেশের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সংস্থান কি করা গেছে? আজো এই মৌলিক চাহিদার নাগাল পায়নি দেশের অসংখ্য মানুষ। সে লক্ষ্যেও আন্দোলন সংগ্রামের প্রয়োজন রয়েছে।

ঘুরেফিরে আবারো এই দুই বিষয়ের কথা বলতে হলে, এ কথাই প্রত্যয়ের সাথে উচ্চারণ করতে হবে, আমাদের দেশে জবাবদিহিতামূলক শাসনব্যবস্থা কায়েম হয়নি বলেই বহু বিষয়সহ আমাদের উপরি উক্ত দুই বিষয়ের প্রশ্নগুলোর যথাযথ নিষ্পত্তি হতে পারেনি। জবাবদিহিতামূলক সরকারব্যবস্থা কায়েমের একটি মাত্রই পথ। সেটা দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম তথা প্রশ্নহীন নির্বাচনের মাধ্যমে যদি সরকার গঠন করা যায়। তবে সেই সরকার অবশ্যই সংসদে নির্বাচিত সত্যিকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের দায়-দায়িত্ব পালন করা নিয়ে জবাবদিহিতার অনুশীলন করতে বাধ্য থাকবে। সেভাবেই উপরি উক্ত দুই প্রশ্নের সুরাহা হবার পথ খুলবে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দেশে সংসদের কার্য পরিচালনার জন্য একটি কার্যপ্রণালী বিধি রয়েছে। সেই বিধিতে সরকারকে জবাবদিহি করানোর বহু পথ-পদ্ধতি থাকে। আমাদের এখানেও বিধান তেমন থাকলেও এর অনুশীলন নেই। আজকে যে সংসদ বিদ্যমান প্রকৃত পক্ষে সেটা একটি নির্বাচনী জোটের সদস্যদের নিয়েই গঠিত। তাই সেখানে কে কার জবাবদিহিতা করবে? এমন সব ব্যবস্থার অনুপস্থিতির জন্যই আমাদের এখানে গণতন্ত্রের পথযাত্রার যত ব্যত্যয় ঘটে চলেছে।

উপরে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, গণতন্ত্র তথা এর অন্যতম অনুশীলন নির্বাচনকে প্রথমে প্রশ্নমুক্ত করা না গেলে সব অর্থহীন হবে। অথচ সরকার ও নির্বাচন কমিশন এই দুই প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের সুষ্ঠু শৈলী অনুসরণ করতে আন্তরিক, এমন ধারণা পোষণ করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। সেজন্যই দেশের ভাবমর্যাদা এখনো কালিমালিপ্ত হয়ে আছে। দেশের এসব নিয়ে কিছু কথা বলা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সূচক ও নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশ পিছিয়েছে। সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসির (ভি-ডেম) প্রতিবেদনে বলা হযেছে, লিবারেল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স বা উদার গণতান্ত্রিক সূচকে ১৭৯ দেশের মধ্যে একধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম স্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। স্কোর দশমিক ১১, যা গতবারের চেয়ে বেশ কমেছে, সেটা দশমিক ০২। শুধু নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকেও বাংলাদেশের অবনমন ঘটেছে। এই সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৩১তম। স্কোর কমেছে দশমিক ০৩। গত বছরও বাংলাদেশে এসব মানদণ্ডে পিছিয়ে ছিল।

অতি সম্প্রতিই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। ভি-ডেমের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের শিরোনাম যা ছিল, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, স্বৈরতান্ত্রিকীকরণের অদম্য। সে প্রতিবেদনে আরো কটু কথা আছে যেমন ‘নির্বাচনভিত্তিক স্বেচ্ছাতন্ত্র’। এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থার পরিশোধন বা উন্নয়ন। একই সাথে প্রকৃত গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের আর যেসব উপাত্ত রয়েছে তাকে ক্রমাগত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া। এ কাজে শাসক দল ও নির্বাচন কমিশনকেই প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার যে অবনমন ঘটছে, তার জন্য তাদেরই সব মহল থেকে এখন অভিযুক্ত করা হচ্ছে। তাই এই দুই গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোনো পথ খোলা নেই। সম্মুখে কয়েকটি সিটি করপোরেশনের ও জাতীয় নির্বাচন অপেক্ষা করছে। তার আগে উল্লিখিত দুই সংগঠনকে সব নির্বাচন প্রশ্নমুক্তভাবে করার লক্ষ্যে একটি ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে কাজ করতে এগিয়ে আসতে হবে। রাজপথে এখন গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন চলছে সেখান থেকে সহিষ্ণুতার অনুশীলন শুরু করা যেতে পারে। গণতন্ত্রের আত্মাস্বরূপ আন্তরিক অভিব্যক্তি এভাবে এগিয়ে যাক। শাসক দল এক এক ধাপ করে এগিয়ে যেতে পারে, তাহলেই গণতন্ত্রের প্রতি তাদের যে অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন সেটা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারবে। তখন খুব স্বাভাবিক, বাংলাদেশের ললাটে যে কালো সিল পড়েছে সেটা ধুয়ে মুছে যেতে পারে।

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement