১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভারতে নাম পরিবর্তনের রাজনীতি

ভারতে নাম পরিবর্তনের রাজনীতি। - ছবি : সংগৃহীত

ভারতে নাম পরিবর্তনের রাজনীতি আবার চাঙা হয়ে উঠেছে। বিজেপি সরকার পরিকল্পিতভাবে সুলতানি ও মুঘল আমলে নির্মিত ১২শ’ বছরের প্রাচীন মুসলিম সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ভবনের বাগানের নাম ‘মুঘল গার্ডেন’ থেকে বদলে করা হলো অমৃত উদ্যান। মোঘল গার্ডেন প্রেসিডেন্ট ভবনের মূল আকর্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৫ একর জমির ওপর রয়েছে এই পুষ্পকানন। এটি আসলে অনেক ছোট ছোট বাগানের সমাহার যার একেকটা একেক আকারের। বহু বিরল ফুল এই মুঘল গার্ডেনে পাওয়া যায়। কাশ্মিরের মুঘল গার্ডেন এবং তাজমহলের বাইরের বাগানের আদলে এটি প্রেসিডেন্ট ভবনে তৈরি করা হয়। সে কারণেই এর নাম মুঘল গার্ডেন রাখা হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের গোড়া থেকেই মূল লক্ষ্য ভারতকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু-মুক্ত একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ পরিণত করা। সেই মনোভাবই নামবদলের রাজনীতির মধ্যেও সমানভাবে সক্রিয় রয়েছে। ভারতের ইতিহাসবিদদের অনেকেই মনে করেন, দেশের সংখ্যালঘু মুসলিমদের কোণঠাসা করার জন্য এটা একটা সুপরিকল্পিত নীলনকশারই অংশ। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতে ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার। এই সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে দেশকে ‘হিন্দুকরণ’-এর প্রক্রিয়া। সমাজতাত্ত্বিক সঞ্জয় শ্রীবাস্তব ডয়েচে ভেলেকে জানান, ‘এই নামবদল আসলে দেশের বহুমুখী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একটা চ্যালেঞ্জ। বিজেপি দেশের গোঁড়া হিন্দু ভোটারদের তোয়াজ করতেই এমন কাজ করছে। কিন্তু এসবের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে যে বার্তা পৌঁছাচ্ছে, তা সঙ্কট তৈরি করবে।’ বিজেপির আদর্শ হলো, হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস। ১৯২৫ সালে মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠাই আরএসএস-এর প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য (ডয়েচে ভেলে, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮)।

দেশের ইতিহাসবিজড়িত জনপদের নাম ভারতীয় সংস্কৃতির কথা মনে রেখে পরিবর্তন করা হোক। সে জন্য গঠন করা হোক একটি নাম বদল কমিশন।’ এ আরজি জানিয়ে করা এক জনস্বার্থ মামলা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি কে এম জোসেফ ও বিচারপতি এম ভি নাগরিকত্ব আবেদনকারীকে জানিয়ে দিতে ভোলেননি যে, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সুপ্রিম কোর্টও ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। এমন দেশে ধর্মান্ধতার আশ্রয় নিয়ে ঐতিহাসিক শহর, নগর, জনপদ বা রাস্তার নাম বদলের জন্য কমিশন গঠনের প্রশ্নই ওঠে না। আবেদনকারী বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়ের উদ্দেশে বিচারপতিরা বলেন, নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে নিশানা করে সারা দেশকে অগ্নিগর্ভ করে তুলবেন না। অতীত খুঁড়তে যাবেন না। এমন কিছু করবেন না, যা বৈষম্য সৃষ্টি করবে। বিচারপতিরা বলেন, ‘আমাদের দেশে বারবার বিদেশী শক্তি হানা দিয়েছে। এটা সত্যি। কিন্তু সেটাও ইতিহাসের অঙ্গ। সেই ইতিহাস জনপদ, রাস্তা বা সৌধের নাম পাল্টে মুছে ফেলা যায় না।’ বিচারপতিদের প্রশ্ন, ‘আমাদের দেশে কি আর কোনো সমস্যা নেই?’ বিচারপতি জোসেফ আবেদনকারীকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি সর্বোপল্লি রাধাকৃষ্ণনের বই পড়ে দেখার পরামর্শ দেন। সেই সাথে জানিয়ে দেন, এ ধরনের উসকানিমূলক মামলায় দেশের সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা হলে শীর্ষ আদালত চুপ করে থাকবেন না (প্রথম আলো, যুগান্তর, ১ মার্চ, ২০২৩)।

সুপ্রিম কোর্টের এ পর্যবেক্ষণ সত্ত্বেও বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম নাম বদলানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। কিছুদিন আগে পদ্মভূষণ পাওয়া বিশিষ্ট অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইদানীং অদ্ভুত এক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে মুঘলরা যা করছেন তা একেবারেই খারাপ। ইতিহাস একেবারেই ভুলভাবে ব্যাখ্যা হচ্ছে। আমার মতে, যদি মুঘলদের সব খারাপই হয়, তাহলে তাজমহল ও লালকেল্লা গুঁড়িয়ে দেয়া হোক। মুঘলদের অতিরঞ্জিত করারও দরকার নেই। খলনায়কও বানানোর প্রয়োজন নেই।’

বিবিসি জানায়, ভারতের রাজধানী দিল্লির বুকে মুঘল সম্রাট আকবরের নামাঙ্কিত একটি প্রধান রাস্তার নাম জোর করে বদলে দিয়ে সমসাময়িক রাজপুত হিন্দু রাজা বীর মহারানা প্রতাপের নামে রাখার চেষ্টা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি ও কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন বজরং দলের বেশ কিছু সদস্য আকবর রোডের নাম মুছে দেয়ার চেষ্টা করেন। আকবর রোড দিল্লির একটি আইকনিক রোডই শুধু নয়, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সদর দফতরও এই রাস্তার ওপরেই। প্রায় সাড়ে ৪০০ বছর আগে হলদিঘাটের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট আকবরের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন চিতোরের রাজা মহারানা প্রতাপ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এর আগেই বলেছেন, কেন্দ্রীয় দিল্লিতে ৩৫ শতাংশ রাস্তাই না কি মুসলিম শাসকদের নামে, যা অবিলম্বে পাল্টানো দরকার।’ ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘মুঘল বাদশাহ্রা কখনোই ভারতের নায়ক হতে পারেন না।’ তাজমহলের শহর আগ্রায় ‘মুঘল থিমে’ আধারিত একটি মিউজিয়ামের নাম বদলে মারাঠা নায়ক শিবাজীর নামে রাখার পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ও বিশ্ববরেণ্য স্কলার শায়খ সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি বলেন, ‘ভয়ঙ্কর ও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, ভারতের একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতির সভ্যতা, ইতিহাস, দেশের স্বাধীনতায় তারা যে কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এবং আরো যেসব অমূল্য ত্যাগ ও কোরবানি দিয়েছেন এসব বিষয়কে ইদানীং উপেক্ষা করার, বরং অস্বীকার করার মানসিকতা জন্ম নিচ্ছে। ভারতের ইতিহাসকে পরিকল্পিতভাবে এমনভাবে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা চলছে, যেন মুসলমানদের যুগটা নিরেট এক প্রবাসী জাতির সাম্রাজ্যবাদীর যুগ বৈ কিছুই নয়, যার মধ্যে ভালো ও কল্যাণ বলতে কিছুই ছিল না। এ সময়ের মধ্যে উঁচু মানের কোনো ব্যক্তিত্ব জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার দিক দিয়ে কোনো কৃতিত্ব প্রদর্শন করেননি এবং দেশ গড়ার ও জাতীয় উন্নয়নে এমন কোনো অনাবিল ও নির্দোষ কাজ হয়নি, যা নিয়ে ভারত গর্ব করতে পারে। দীর্ঘ স্বাধীনতাযুদ্ধে তাদের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের অথবা নির্লিপ্ত কোনো জাতির। ঘটনাক্রমে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিলেও তা অনুল্লেখ্য। এভাবে ভারতের সবুজ শ্যামল, সদা বসন্তমুখর বৃক্ষের এক ফলদায়ক শাখাকে আমরা নিজেরাই বর্শাবিদ্ধ করে চলেছি এবং এটাই প্রমাণ করছি যে, ৮০০ বছর পর্যন্ত এ বৃক্ষ নিষ্ফল ছিল- দেশজুড়ে হেমন্তই শুধু বিরাজ করত (আল মুসলিমুনা ফিল হিন্দ, অনুবাদ ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, পৃ:৬-৭)।

ধর্মনিরপেক্ষ’ রাষ্ট্র ভারতে বেশ ক’বছর ধরে বিভিন্ন এলাকা ও স্থাপনার মুসলিম নাম পরিবর্তন করে হিন্দু নাম দেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এলাহাবাদের নাম বদলে ‘প্রয়াগরাজ’ ও ফৈজাবাদকে বদলে ‘অযোধ্যা’; রাজস্থান রাজ্যের বারমের জেলার ‘মিয়া কা বড়া’ গ্রামের নাম বদল করে করা হয়েছে ‘মহেশপুর’, ইসমাইলপুর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘পিচানবা খুর্দ’, মধ্যপ্রদেশের আজমগড়কে বলা হচ্ছে ‘আরইয়মগড়’, লক্ষ্মৌ শহরের ‘বেগম হজরত মহল’ পার্ককে পাল্টে নাম রাখা হয় ‘ঊর্মিলা বাটিকা’, ২০১৮ সালে বিখ্যাত রেলওয়ে জংশন মুঘলসরাইয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে ‘দীনদয়াল’ নামে। পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। ‘হুসাইন সাগর’ রূপান্তরিত হয়েছে ‘বিনায়ক সাগর’-এ। গুজরাটে আহমেদাবাদের নাম বদলে হয়েছে ‘কর্ণাবতী’। এ দিকে দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানার বিজেপি সংসদ সদস্য রাজা সিং ইতোমধ্যে হায়দরাবাদের নতুন নাম হিসেবে প্রস্তাব করেছেন ‘ভাগ্যনগর’। এমনকি তাজমহলের জন্য বিশ্বখ্যাত শহর, আগ্রার নাম পরিবর্তন করে ‘অগ্রভান’ বা ‘অগ্রওয়াল’ করারও কথা শোনা যাচ্ছে। মুজফফরনগরকে ‘লক্ষ্মী নগর’ করার প্রস্তাবও উঠে এসেছে এর মধ্যে। একইভাবে মহারাষ্ট্রের আরেক শহর ওসামানাবাদ শহর নাম বদলে হলো দারাশিভ। গদি সঙ্কটের মধ্যেই উদ্ভব ঠাকরে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। এ ছাড়া নবি মুম্বাই এয়ারপোর্ট নাম বদলে হবে ডিবি পাতিল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। ২০১৯ সালে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের নাম বদলে করা হলো ঈশ্বরপুর! বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির উদ্যোগে রামনবমী উপলক্ষে বিশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। মহারাষ্ট্রের দৌলতাবাদ এখন দেবগিরি, তামিলনাড়ুর আলিয়াবাদের নতুন নাম কালাম্বুর, উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ হয়েছে চন্দ্রনগর, গুজরাটের আহমেদনগর হয়েছে আনন্দ, বেগম নাদিয়া নগরের পরিবর্তিত নাম নাদিয়াদ, হরিয়ানার মুস্তফাবাদ হয়েছে সরস্বতী নগর এবং খিজিরাবাদের নাম প্রতাপনগর।

ভারতের আসামের বিভিন্ন অঞ্চলের নাম পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিভাবে মোদি তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন, দ্য গার্ডিয়ানে তা তুলে ধরেছেন পুরস্কার-বিজয়ী বিখ্যাত ভাস্কর অনীশ কাপুর। ভারতে করোনা ভাইরাস মহামারীর দোহাই দিয়ে মুঘল আমলের স্থাপত্যকলার অনুকরণে নির্মিত পার্লামেন্ট ভবনও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বর্তমান পার্লামেন্টে স্থান সঙ্কুলান করা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার নানা অজুহাতে ভারতে মুসলিম ইতিহাস-ঐতিহ্যকে চিরতরে মুছে ফেলতে চাইছে। তাদের অন্তরে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে লালিত মুসলিম ও ইসলামবিদ্বেষ (দ্য গার্ডিয়ান, ৫ জুন, ২০২১)।

মহাত্মা গান্ধী সর্বভারতীয় উদার রাজনীতিক হলেও ছিলেন নিষ্ঠাবান হিন্দু। তিনি ভারতীয় মুসলমানদেরকে আদিবাসী মনে করতেন। শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের ওপর জোর দিতেন। এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘আমাদের কি মনে রাখা উচিত নয় যে অনেক হিন্দু এবং মুসলমানদের একই পূর্বপুরুষ এবং একই রক্ত তাদের শিরায় প্রবাহিত হয়? ধর্ম পরিবর্তন করার কারণে মানুষ কি শত্রু হয়ে যায়? মুসলমানদের আল্লাহ কি হিন্দুদের ঈশ্বর থেকে আলাদা? ধর্ম হলো, বিভিন্ন রাস্তা যা একই বিন্দুতে মিলিত হয়। আমরা একই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এতক্ষণ বিভিন্ন রাস্তা ধরি, তাতে কী আসে যায়? ঝগড়ার কারণ কোথায়?’ (হিন্দ স্বরাজ, ১৯৩৮, পৃ. ৪৬)।

প্রখ্যাত ভারতীয় বুদ্ধিজীবী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এন এস মেহতার মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য, ‘ইসলাম ভারতবর্ষে একটি উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা নিয়ে আসে, যা অন্ধকার থেকে মানবতাকে এমন সময় উদ্ধার করে যখন প্রাচীন সভ্যতা পতনোন্মুখ এবং উন্নত নৈতিক আদর্শগুলো কেবল নীরস বুদ্ধিবৃত্তিক ধারণার মধ্যে সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও মুসলিম বিজয় রাজনীতির অঙ্গনের চেয়ে চিন্তা ও বুদ্ধির জগতে বিস্তৃতি লাভ করে। আজো মুসলিম বিশ্ব আধ্যাত্মিক ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং মুসলমানরা তাওহিদ ও মানুষের সমতাকে একত্রে আঁকড়ে ধরে আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতে ইসলামের ইতিহাস শত বছর ধরে সরকারের হাতে বাঁধা। ফলে ইসলামের মূল চেতনায় পর্দা পড়ে গেছে এবং এর ফসল ও অবদান জনগণের চোখের আড়ালে চলে গেছে’ (Islam and the Indian Civilization, pp.316-317)

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক
drkhalid09@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement