২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিতকে মোবারকবাদ

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন মহল থেকে এমনকি দেশের কয়েকটি ব্যাংক পর্যন্ত তাকে অভিনন্দিত করেছে। আমরাও তাকে অভিনন্দন জানাই। তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা দেশের মানুষ পত্র-পত্রিকা পাঠ করে জেনেছেন। তিনি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করার আগেই যে মন্তব্য করেছেন যা সবার কাছে আপাতত আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। পত্রিকার সূত্র ধরে সেসব মন্তব্যের দ্বিরুক্তি করছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পিছপা হবেন না। এমন মন্তব্যের জন্য তাকে পুনরায় মোবারকবাদ জানাই। আর মাত্র ১০ মাস পর নির্বাচন, ‘এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে আমাকে পক্ষপাতিত্বহীন, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মনোনিবেশ করতে হবে যা সারা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করে।’

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সাহাবুদ্দিন আইনের জগৎ থেকেই এসেছেন। তিনি সারা জীবনই আইনকানুন ঘাঁটাঘাঁটি করে এসেছেন। সে সুবাদে দেশের সংবিধান ও অন্যান্য আইনের ব্যাপারে তার যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা আইনের আঙিনায় একেবারে আনাড়ি, শুধু সংবাদকর্মী হিসেবে পেশার তাগিদে সংবিধান সম্পর্কে যৎকিঞ্চিৎ দেখার চেষ্টা করতে হয়। কিন্তু বোদ্ধা সমাজের কাছে এবং সাধারণভাবে অনেকের কাছেই এখন বড় একটি প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি (নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি) কিভাবে পক্ষপাতহীন, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজন করতে পারবেন! তার এই মহৎ অভিপ্রায় কিভাবে পূর্ণ করবেন, ক্ষমতার কোন উৎস বলে? তিনি জাতির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। সত্য কথা বলতে কী, তার কি এমন ফাংশন করার মতো ক্ষমতা দেশের সর্বোচ্চ আইনগ্রন্থ তথা শাসনতন্ত্র দিয়েছে কিনা। দেশের শাসনতন্ত্রের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে স্ফটিক স্বচ্ছ করে বলা হয়েছে, এই সংবিধানের ৫৬ (৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন : তাই রাষ্ট্রপতিকে উঠতে-বসতে তথা তাবৎ দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ একটি অপরিহার্য শর্ত। এর অন্যথা হলে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মতো ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। তার নির্বাচন যেমন খুব সহজ এ কারণে সংসদের ক্ষমতাসীন দলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্য। তার নির্বাচিত হওয়াটা যেমন সহজ ছিল বিদায়টাও তেমনি সহজই হবে। সে যাক, কথা হলো এমন সীমাবদ্ধ অবস্থানে থাকার পরও কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তিনি জাতিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন! নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে তার করণীয় কী আছে? সংবিধান নির্বাচন কমিশনকেই অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক এবং পক্ষপাতহীন নির্বাচন করার ক্ষমতা অর্পণ করেছে। অতীতে যদিও তারা সংবিধানের সে চেতনাকে কদাচিৎ উচ্চকিত করতে পেরেছেন। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজ তদারকি করতে পারবেন কি? আর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দায়িত্ব রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।

সেখানেইবা তার করার কিছু আছে? সম্ভবত নয়। তবে সরকারের সেখানে ভূমিকা রাখার যথেষ্ট অবকাশ আছে। স্মরণ রাখতে হবে, সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় সরকারপ্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি নন। তার পদটি একেবারেই আলঙ্কারিক। আমাদের সংবিধানে ক্ষমতা ভারসাম্য সৃষ্টিসংক্রান্ত কোনো ব্যবস্থা বিদ্যমান নেই। তাই রাষ্ট্রপতির আশাবাদের সাথে বাস্তবতার ফারাক অনেক।

আমরা নিকট অতীতের দিকেই তাকাই না কেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এই দীর্ঘ সময় আমাদের অনুমান মতে তার সাথে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দ্বিধাদ্ব›দ্ব হয়নি। কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতিও আইনের মানুষ এবং সংবিধান তাকে কতটুকু ক্ষমতা দিয়েছে সেটা স্মরণে রেখে তিনি কখনোই তার ক্ষমতার সীমান্ত রেখা অতিক্রম করেননি। তিনি রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় একাধিক সংসদ নির্বাচন এবং বহু স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন দেশে হয়েছে। কিন্তু সেসব নির্বাচন নিয়ে তিনি কখনো মাথা ঘামাননি। কোনো জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা যখন গঠিত হয়েছে, তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। এতটুকুর মধ্যেই তার দায়িত্ব সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কখনোই তিনি পা বাড়াননি। রাষ্ট্রপতির আর কোনো কাজ থাকে না বলে সাবেক এক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। আসলে আমাদের সব রাষ্ট্রপতি এভাবে এতটুকু দায়িত্ব পালন করেছেন। কখনোই বাড়তি কিছু বলতে বা করতে যাননি বা কোনো অতিরিক্ত কথা, প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেননি।

আমরা জানি অতীতে দেশের কোনো রাষ্ট্রপতিই দায়িত্ব পালনকালে যত নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোর কোনোটা নিয়েই মানুষ সন্তুষ্ট ছিল না বটে। সেজন্য কিন্তু কেউই রাষ্ট্রপতিকে দোষারোপ করেনি। বরং সব মহলই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করা নিয়ে যৌক্তিক কারণেই তাদের তীব্র সমালোচনা করেছে যা খুবই স্বাভাবিক ছিল। হাল আমলে ক্ষমতাসীনরা এমন অহমিকায় ভোগে যে, আমরাই দেশের যোগ্য শাসক এবং আমরাই আমাদের একমাত্র বিকল্প। আজ দেশের যে রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি তার মূল কারণ ক্ষমতাকে আঁকড়ে থাকার অস্বাভাবিক মানসিকতা। গত প্রায় ১৫ বছর যারা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাদের দ্বারা সংঘটিত ব্যত্যয়গুলোর অন্যতম হচ্ছে তাদের অপারগতার কারণে দেশে আজ অভূতপূর্ব সমস্যা সঙ্কট, যার পরিণতিতে চরম জনভোগান্তি। অথচ তারা বলছেন, অপরিসীম যোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দেশ পরিচালনা করে মানুষকে অনাবিল প্রশান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন উপহার দিতে তারা সক্ষম হয়েছেন। সে কারণে এবং জনগণের স্বার্থে তাদের হাতেই ক্ষমতা রাখতে হবে। অন্যথায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

পক্ষান্তরে জনগণ কিন্তু এই মুহূর্তে একটি পরিবর্তনের মোহনায় এসে দাঁড়িয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে লক্ষ্যে তারা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
অপর দিকে, দেশে এখন গণতন্ত্র নিয়ে নানা ছলাকলা চলছে। গণতন্ত্রের নানা ব্যাখ্যা হাজির করা হচ্ছে। এসব থেকে আসলে প্রতীয়মান হয়, এই জনপদের গণতন্ত্র এখন একটি সঙ্কটের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রশ্নে যে যাই ব্যাখ্যা দিক না কেন, গণতন্ত্রের কিন্তু কোনো যমজ, অর্থাৎ সে একক অভিন্ন। কেউ বলতে পারেন, ভালো ভোট অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের প্রতিশব্দ হতে পারে। এটি ঠিক নয়, ভালো ভোট গণতন্ত্রে একটি অনুষঙ্গ বা অনুশীলন মাত্র। গণতন্ত্রের সাথে অনেক বিষয় সম্পৃক্ত রয়েছে। সে বিষয়টি এখন খুব প্রাসঙ্গিক নয় বলে এ নিয়ে কথা বাড়ানো সঠিক হবে না।

ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম প্রধান নেতা ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতোই হবে। এ কথার ভেতর অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে, সে দিকে নাই যাই। সর্বজনীন কথা হচ্ছে, গণতন্ত্র ‘আমাদের মতো’ বা ‘তোমাদের মতো’ এসবই বাহুল্য কথা। গণতন্ত্র সর্বত্র এবং সবার জন্য এক ও অভিন্ন, এখানে কোনো নতুন ব্যাখ্যা মেনে নেয়া যায় না। অনেকে মনে করেন, সম্মুখের গণতন্ত্রের মৌলিক অনুষঙ্গ জাতীয় নির্বাচন আগামী ৮-১০ মাসের মধ্যে হবে। আগে এসব ব্যাখ্যা বিবৃতি এটি পরিষ্কার করছে, শাসক দলের মন-মানস ও যে চেতনা লালন করে তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটছে ওই বক্তব্যে যা আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।

আমাদের গ্রামগঞ্জে আজো একটি প্রথার কথা শোনা যায়। কোনো ব্যক্তি বা পরিবার সমাজের রীতিনীতি নানা আচরণের ওপর অব্যাহতভাবে আঁচড় ফেললে তাদের একঘরে করে রাখা হয়। তাদের সাথে লেনদেন কথাবার্তা বন্ধ রাখা হয়। সংশ্লিষ্ট সেই ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য সেটি খুবই দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এখন আমাদের দেশকে নিয়েও যে ভীতি বিরাজ করছে বলে অনেকে মনে করেন এবং ভবিষ্যতে সেটি অব্যাহতই থাকবে এমন আশঙ্কা শাসক দলের সমালোচকদের কথাবার্তা থেকে বোঝা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের কথিত এক শান্তি সমাবেশে বক্তৃতাকালে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে দাওয়াত দিলো বা না দিলো সেটি নিয়ে হাসিনা সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেন, এ দেশে গণতন্ত্র ঠিক আছে কিনা, সেটি সরকারের বিষয়। তবে এখানে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়, প্রশ্ন তোলা যায়। প্রথমত, তা হলে গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশ কি বিশ্বসমাজের সাথে নেই! তাহলে আমাদের একাই চলতে হবে। একা চলার অনেক বিপদ, আমাদের দেশে এটি হচ্ছে। তাহলে ‘দেবে আর নেবে’ এই নীতি থেকে বাংলাদেশ কি ছিটকে পড়বে? একা যারা চলতে চায়, দেখা গেছে, তারা কখনোই জনগণকে তোয়াক্কা করে না। যেমন, সে সবই যাদের অভিহিত করা হয় কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হিসেবে। আরেকটি কথা অত্যন্ত স্পর্শকাতর, আমাদের গণতন্ত্রের ‘শ্রী’টা কী! সেটি কোনো দল বা ব্যক্তি বিশেষের ‘সার্টিফিকেট দিয়ে নির্ণয় করা যায় না। যারা এমনটি মনে করেন তাদের সেটি শুধু ভুলই বলা যাবে না, বুঝতে হবে তাদের অন্তরে অন্য কিছু লুক্কায়িত রয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন নিয়ে শেষ কথা কেবল ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সব অধিবাসীই বলবে, অন্য কেউ নয়। এখন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় বৈশ্বিক গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে সামান্য কথা বলা প্রয়োজন রয়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার বৈশ্বিক গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছিল, সে সম্মেলনে ১১০ দেশের সাত শতাধিক প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিল। উল্লেখ্য, সে সম্মেলনে বাংলাদেশ আমন্ত্রণ পায়নি। এবার বিশ্বের ১১১টি দেশ দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পেয়েছে, অথচ বাংলাদেশ পায়নি। শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক এই সম্মেলন নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তাতে কি মনে করার যথেষ্ট কারণ নেই যে, তারা একে হেলাফেলা করছে? আসলে আমাদের গণতন্ত্র রুগ্ণ অবস্থায় থাকার কারণেই আমরা ‘একঘরে’ হয়ে পড়েছি। গণতান্ত্রিক বিধিব্যবস্থার সংশোধন করার পরিবর্তে বরং তাদের ভাবভঙ্গিমায় এটি আরো প্রকট হয়ে উঠছে, আমরা অন্ধকার পথের যাত্রীই থাকতে চাই। সেই সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে আছে, গণতন্ত্র শক্তিশালী করা, কর্তত্ববাদ প্রতিহত করা, দুর্নীতি চিহ্নিত ও রুখে দেয়া, মানবাধিকারকে উচ্চকিত করা। এসব প্রশ্নে বাংলাদেশ গত ১৫ বছর থেকেই কেবল পিছিয়েই যাচ্ছে। এর কোনো প্রতিবিধানের এখনো কোনো উদ্যোগ আয়োজনই নেই। একটি কথা মনে রাখা খুবই জরুরি, এই অঞ্চলের দেশ মালদ্বীপ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায়, আর আমরা পাই না। এ লজ্জায় মুখ কোথায় লুকাবেন?

কখনো কারো বোধোদয় না হওয়ার চেয়ে দেরিতে হলেও সেটি মন্দের ভালো। আমরা সেটিই আশা করি। ইতিহাস সবার জন্যই দর্পণের মতো। একদিন এই জনপদে আমরা কেউ আর যখন থাকব না, তখন আজকের আমরা যে সময়গুলো অতিবাহিত করছি, এ সময় যা যখন করছি তার প্রতিটি মুহূর্ত এই মৃত্তিকার অনাগত দিনের মানুষগুলো ইতিহাসের দর্পণ থেকে সেলুলয়েডের পর্দায় দেখবে। সেদিন কে কতটুকু প্রশংসা বা নিন্দা কুড়াবে আমরা কেউই সেটি জানি না। তবে সবার অমর আত্মা সেদিন কিন্তু থাকবে। সেই আত্মা যেন ওই সময় অনুতাপে অনুশোচনায় ম্লান হয়ে না যায়, সেটি সবারই এখন ভেবে দেখা উচিত।

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement