১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

বোল্টনের এরদোগানফোবিয়া

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের সঙ্ঘাতের বিষয়ে তুরস্ক কঠোর রাশিয়াবিরোধী অবস্থান নিতে স্পষ্ট অনীহা প্রকাশ করেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ও অনেক পশ্চিমা দেশ যন্ত্রণায় ভুগছে। বোল্টন বলেছেন, পশ্চিমাদের ঐক্য ও সংকল্প সত্যিকার অর্থেই বাস্তবে পরীক্ষিত হবে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়াকে তিনি ‘বিস্ময়কর সিদ্ধান্ত’ বলে আখ্যায়িত করেন। রাশিয়ার বাণিজ্য ও সামরিক অংশীদাররা প্রয়োজনের সময়ে সমর্থন জুগিয়েছে। এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার সামরিক ক্যুতে বোল্টনও ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। মি. বোল্টন ক্ষমতায় এসেই ‘ইরান বধ’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন, সেটি লক্ষ রেখেই ওয়াশিংটন তার মধ্যপ্রাচ্য নীতি সাজিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের শেষের দিনগুলোতে এ বিষয়টি নিয়েই ট্রাম্প-বোল্টন বিরোধ হয় এবং ট্রাম্প তাকে সরিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেছিলেন, বোল্টনের কথা শুনলে একটি বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতো। এখন সেই বোল্টন ‘তুরস্ক বধ’ করার মুখবন্ধ লিখছেন। তিনি এ বিষয়ে তুর্কি ও এরদোগানবিরোধী বিভিন্ন নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকার দিয়ে আবহাওয়া গরম করছেন। এরদোগানকে আঘাত করার এটি মোক্ষম সময়, কারণ কয়েক মাস পরই তুরস্কে সাধারণ নির্বাচন।

জন বোল্টন মনে করেন, ২০২৩ সাল এরদোগানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি আবার নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় ফেরেন তাহলে তুরস্কের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে পশ্চিমাদের আবারো চিন্তাভাবনা করা দরকার বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি আরো মনে করেন, ইউক্রেন সঙ্ঘাত দীর্ঘায়িত হওয়ায় পশ্চিমা অসন্তোষ বৃদ্ধিতে তুরস্ক অবদান রাখছে। তবে পশ্চিমারা যে বিপুল অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করে যুদ্ধকে বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি করেছে সে সম্পর্কে তিনি মন্তব্য করেননি। তিনি বলেছেন, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে আঙ্কারা মস্কোর বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞায় যোগ দিতে অস্বীকার করেছে। তুর্কি কর্মকর্তারা ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে মূলত নিরপেক্ষ ছিলেন, মধ্যস্থতা ও যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাপ্তি চেয়েছিলেন।

আমেরিকান রাজনীতির কথিত ‘মৌলবাদী উগ্রপন্থীদের’ প্রতিনিধি জন বোল্টন টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক নিবন্ধে তীক্ষ্ণ ভাবে তুরস্ককে আক্রমণ করেছেন। বোল্টনের নিবন্ধটি টেলিগ্রাফের ব্রিটিশ সংস্করণের প্রথম সংখ্যায় চলতি জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়। বোল্টনের মতে, ২০২৩ সাল ন্যাটোর জন্য টার্নিং পয়েন্ট এবং ইউক্রেনের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। ইউক্রেন সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে তুরস্ক যদি রাশিয়ার সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখে, তাহলে ন্যাটো জোটের সদস্যপদ থেকে এ দেশটিকে বাদ দেয়া উচিত।

সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ইউক্রেনকে সমর্থন দিতে অনিচ্ছার জন্য ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্যের তীব্র সমালোচনা করেন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা ঐক্য আরো মজবুত করার আহ্বান জানান। টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বোল্টন বলেছেন, ন্যাটো জোটের ‘দুর্বলতা’ ইউক্রেনে চলমান সঙ্ঘাতে রুশ বাহিনীকে প্রাধান্য দিয়েছে। রাশিয়ার অগ্রাভিযান শুধু অবরোধ দিয়ে থামানো যাবে না।

বোল্টন মনে করেন, পশ্চিমা ঐক্য ও সঙ্কল্প কোনোটিরই নিশ্চয়তা নেই। তিনি সাবধান করে বলেন, ন্যাটো ব্লকের মধ্যে ভাঙনের সুর রণিত হচ্ছে, যা তুরস্ক দিয়ে শুরু হয়েছে। তিনি আরো প্রমাদ গুনছেন, যদি এরদোগান আগামী মে মাসের নির্বাচনে আবারো জিতে আসেন তবে দেশটিকে ন্যাটো সদস্য পদে রাখা উচিত হবে কি না ন্যাটোর ভেবে দেখা উচিত।

বোল্টনের বলেন, আঙ্কারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে প্রতিশোধমূলক নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে। দ্বিতীয় বৃহত্তম ন্যাটো সেনাবাহিনী থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমা অস্ত্র চালানের প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় তুরস্ক কিয়েভে সামরিক সহায়তা সীমিত করেছে। তুরস্ক নিরপেক্ষ থেকে সঙ্ঘাতের কূটনৈতিক অবসানের জন্য মধ্যস্থতার যে চেষ্টা করছে, বিশ্ব নেতারা তাকে ‘চমৎকার’ বললেও বোল্টন মনে করেন, ‘ডালমে কুছ কালা হ্যায়।’

বোল্টন জার্মানির ওলাফ শোলজেরও সমালোচনা করেছেন, শোলজ ২০২২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বার্লিনের পররাষ্ট্রনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছিলেন। ন্যাটোর চাহিদা মেটাতে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর কথাও ছিল। অথচ জার্মানির ২০২৩ সালের প্রতিরক্ষা বাজেট আগের বছরের থেকে কম। বোল্টন জানান, শোলজের প্রতিশ্রুতিগুলো সন্দেহের মধ্যে নিপতিত। নতুন অস্ত্র ক্রয় ও পুরনো যুদ্ধবিমানের বহর মার্কিন এফ-৩৫ দিয়ে প্রতিস্থাপনের জন্য বার্লিনের ১০০ বিলিয়ন ইউরো ব্যয় করার কথা। এখনো তার কোনো চুক্তিই হয়নি। তবে আমলাতান্ত্রিক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। সবচেয়ে মারাত্মক হলো, কিয়েভে জার্মানির লিউপার্ড-২ ট্যাংক দেয়ার কথা, এখন পর্যন্ত জার্মানির সেসব দেয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই ব্যাটল ট্যাংক বিশ্বসেরা বলে খ্যাত। লিউপার্ড-২ ট্যাংকগুলো যুদ্ধের গতি প্রকৃতি বদলে দিতে পারে।

পুতিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এই ট্যাংক দেয়া হলে ওই সব দেশও যুদ্ধের আওতায় আসবে এবং কোনো হুঁশিয়ারি ছাড়া আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। ট্যাংক সরবরাহে এখন জার্মানি সরকার দ্বিধাগ্রস্ত।
বোল্টন টোকিওর প্রশংসা করেছেন। আগামী পাঁচ বছরে সামরিক ব্যয় দ্বিগুণেরও বেশি করার কিসিদার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ভালো পদক্ষেপ।

তবে ফ্রান্সের বিষয়ে বোল্টন আশাপ্রদ কিছু বলেননি। তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সমালোচনা করেন। পূর্ব দিকে ন্যাটোর সম্প্রসারণ নিয়ে মস্কোর উদ্বেগ স্বীকার করে ‘ক্রেমলিন টক পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে বোল্টন অভিযোগ করে বলেন, বলকান, আফগানিস্তান ও লিবিয়ায় বোমা হামলা চালানো সত্ত্বেও সামরিক জোট সবসময় ‘প্রতিরক্ষামূলক জোট’ হিসেবে কাজ করেছে।

২০১৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা বোল্টন এর আগে, প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ ও বুশের জন্য বিভিন্ন ভূমিকা পালন করেন। সম্প্রতি, তিনি ২০২৪ সালে হোয়াইট হাউজের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। দাবি করেছেন, রিপাবলিকান দলের মধ্যে ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সক্ষম একমাত্র ব্যক্তি হতে পারেন তিনি নিজে।

হোয়াইট হাউজের কিছু কর্মকর্তার মতে, আঙ্কারা জোটের অন্যান্য দেশের জন্য একটি ‘খারাপ উদাহরণ’ এবং সম্ভাব্য বিভক্তি এমনকি সামগ্রিকভাবে ন্যাটোর পতনের অগ্রদূত হয়ে উঠতে পারে তুরস্ক। বোল্টনের মতে, এ মুহূর্তে এবং এ সঙ্ঘাতের সময় ঐক্য ও সঙ্কল্প পশ্চিমের প্রধান সমস্যা।

জন বোল্টন কেবল চরমপন্থীই নন; পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের মতে, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কিত চরমপন্থী বাগাড়ম্বরেরও হোতা। এমনকি ট্রাম্প, যিনি নিজেই আমেরিকান পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে তার মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য পরিচিত ছিলেন, বোল্টনের জঙ্গি বাগাড়ম্বর, যুদ্ধ যুদ্ধ মতামত পছন্দ করেননি। বোল্টনের ইরানবিরোধী প্রচেষ্টার জন্য আমেরিকানরা তাকে, ‘ইরানি-বাজপাখি’ বলে ডাকা শুরু করেন। আমেরিকা ফার্স্টের ফমুর্লাদাতাও বোল্টন। তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে প্রমাণ করতে হবে যে, আমেরিকাই সেরা। ট্রাম্প বলতেন, ‘এমন কোনো যুদ্ধ নেই যা বোল্টনের পছন্দ নয়’।

তিনি প্রতিনিয়ত ইরানের পরমাণু স্থাপনায় বোমা হামলা করে কেন্দ্রগুলো নির্মূল করতে চেয়েছেন, আফগানিস্তান, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বিমত ও বাগবিতণ্ডা করেছেন। উত্তর কোরিয়া একপর্যায়ে বোল্টনকে সাথে না আনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে অনুরোধ করেছিল। ট্রাম্প ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির সাথে আলাপের ইচ্ছা প্রকাশ করলে বোল্টন তীব্র বিরোধিতা করেন এবং ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। ট্রাম্প সেদিকে পা বাড়ান। এর ফলেই হরমুজ প্রণালীর যুদ্ধে জড়িয়ে ব্রিটেনের ত্রাহি অবস্থা, গ্রেস ওয়ান হাতছাড়া, বন্ধুদেশ জিব্রাল্টারের সাথে বিরোধ। এসব নানা ঘটনায় ট্রাম্প অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনেক কর্মকর্তা বোল্টনকে ‘ডা: নো’ বলে ডাকতেন। পরে ট্রাম্প বোল্টনকে সরিয়ে দেন।
বোল্টনের পরামর্শেই ট্রাম্প পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন। কিন্তু চুক্তির শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে ইরান ‘ওয়েপন গ্রেড ইউরেনিয়াম’ সমৃদ্ধকরণে হাত দেয়। এ জন্য ট্রাম্প বোল্টনকে দোষেন। বোল্টন আফগানিস্তানের তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। তালেবান নেতাদের ক্যাম্প ডেভিডে ট্রাম্প যে আমন্ত্রণ জানান, বোল্টন তারও বিরোধিতা করেন। উত্তর কোরিয়া প্রশ্নেও ট্রাম্পের সাথে বোল্টনের তীব্র মতবিরোধ হয়। কিমের সাথে শীর্ষ বৈঠক ডাকায়, বোল্টন ঘোরতর আপত্তি করেন। তার এই কঠোর অবস্থানের কারণে ট্রাম্প সন্দেহ করতেন, বোল্টন চান না উত্তর কোরিয়ার সাথে শান্তিচুক্তি হোক। ভেনিজুয়েলার ক্ষেত্রে বোল্টন ট্রাম্পকে যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তার উল্টোটা ঘটেছে। সেখানে মার্কিন বিদেশনীতি ব্যর্থ হয়। তখন বোল্টনকে দায়ী করে ট্রাম্প বলেন, ‘সে আমাকে ভুল পথে পরিচালিত করেছে’। বিশ্বের বড় বড় ঘটনায় বোল্টনের পরামর্শে ট্রাম্প প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরাইলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী শাওল মোফাজ স্বীকার করেন, বোল্টন তাকে ইরানে হামলা চালাতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরাইল চায় আমেরিকা সরাসরি আক্রমণ করুক, সে ‘সেকেন্ড ডিফেন্স লাইন’ হিসেবে কাজ করবে। এ অবস্থায় আর যুদ্ধ বাধেনি।

সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তিই বোল্টনের পছন্দ। উত্তর কোরিয়া ইস্যু পরমাণু বোমা মেরে শেষ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু ইসরাইল উত্তর কোরিয়ার আগে ইরানের বিষয়টি নিষ্পন্ন করার জন্য ট্রাম্পকে চাপ দেয় এবং বোল্টন ইসরাইলের ইচ্ছাতে ঘি ঢেলেছিলেন। সমালোচকরা মনে করেন, পশ্চিমা মৌলবাদের সব উপাদান বোল্টনের শিরায় প্রবাহিত।

বোল্টনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তিনি নিয়মিত নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের কাছ থেকে ‘বকশিশ’ নিতেন। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছে, ইরানের সরকারবিরোধী মুজাহেদিন খালকের কাছ থেকেও বোল্টন নিয়মিত অর্থ গ্রহণ করেন। বোল্টন এখন মূল রাজনীতির ধারায় ফিরে আসার কথা বলছেন। এনবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পুরোপুরি ইচ্ছুক।

এরদোগান এসব বিষয়ে মিডিয়ায় বলেছেন, তুরস্ক স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে এগোচ্ছে, নিজের সামরিক শক্তি ও এনার্জি সংহত করছে। ন্যাটো বা কোনো পশ্চিমা দেশের ‘ডিকটেশন’ নিয়ে চলার দিন শেষ। এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের পর এরদোগান ঘোষণা করেন, আঙ্কারা জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য অনুসরণ করবে, যা ন্যাটোর পক্ষে সম্ভব নয়। এই সিদ্ধান্ত বোল্টনকে এরদোগানফোবিয়ায় ভোগাচ্ছে।

২০২২ সালে তুর্কি নেতৃত্ব বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। সেটি এ বছরও অব্যাহত থাকবে এমনই আশা করছেন এরদোগান।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement