২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মৌমাছির প্রথম ভ্যাকসিন ও মজার কথা

মৌমাছির প্রথম ভ্যাকসিন ও মজার কথা । - প্রতীকী ছবি

এবার আবিষ্কৃত হলো মৌমাছির জন্য প্রথম ভ্যাকসিন বা টিকা। বিখ্যাত সায়েন্স ম্যাগাজিন ‘নেচার’ টিকাটি সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার একটি বায়োটেক কোম্পানি দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে মৌমাছির জন্য প্রথম এ ভ্যাকসিনের শর্তসাপেক্ষ অনুমোদন পেয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ পদক্ষেপ বিশ্বে মৌমাছি ধ্বংসকারী ভাইরাস ও কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণের পথ প্রশস্ত করতে পারে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো পোকামাকড়ের জন্য অনুমোদিত প্রথম ভ্যাকসিন। জর্জিয়ার এথেন্সের ডালান অ্যানিমেল হেলথ নামের কোম্পানিটি প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এটি মৌমাছিকে আমেরিকান ফাউলব্রুড নামের ভাইরাসজনিত রোগ থেকে রক্ষা করবে। ফাউলব্রুড একটি আক্রমণাত্মক ব্যাকটেরিয়া যা মৌচাক থেকে মৌচাকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর আগে এ রোগে সংক্রমিত এলাকা ও সংশ্লিষ্ট সমস্ত যন্ত্রপাতি পোড়ানো বা অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে এর প্রতিকার করা হতো।

শর্তসাপেক্ষে ভ্যাকসিনটির লাইসেন্স পেয়েছে ডায়মন্ড অ্যানিমাল হেলথ। তারা ডালানকে সহযোগিতা করছে। অস্ট্রিয়ার কার্ল-ফ্রাঞ্জেনস ইউনিভার্সিটি অব গ্রাজের মৌমাছি গবেষণার সহযোগী অধ্যাপক ও ডালানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দালাইল ফ্রেইটাক বলেন, ভ্যাকসিনটি বিজ্ঞানীদের পশু স্বাস্থ্যরক্ষার উপায় পরিবর্তন করতে সাহায্য করতে পারে। মৌমাছির স্বাস্থ্যের যত্নের ব্যবস্থা নেই। এখন আমাদের কাছে তাদের রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করার সরঞ্জাম রয়েছে।

পেনিব্যাসিলাস লার্ভা ও আমেরিকান ফাউলব্রুড ব্যাকটেরিয়ার মৃত সংস্করণ থেকে ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে। এটি খাদ্য আকারে প্রস্তুত করা। চিনির খাদ্যরূপে ভ্যাকসিনটি রাজকীয় জেলি আকারে রানী মৌমাছিদের দেয়া হয়। একবার তারা এটি গ্রহণ করলে ভ্যাকসিনটি তাদের ডিম্বাশয়ে জমা হয় এবং তা ডিম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে লার্ভাকে প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়।

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়েছিলেন, পোকামাকড় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করতে পারে না। পরে ড. ফ্রেইটাক ভাবতে শুরু করেন- কীভাবে এটি সম্ভব হয়? ২০১৫ সালে তিনি ও অন্য দুজন গবেষক সেই নির্দিষ্ট প্রোটিনটি শনাক্ত করেন যা মৌমাছির বংশধরদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, মৌমাছির রানীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারেন। তারা দেখতে পান, আমেরিকান ফাউলব্রুড একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ যা লার্ভাকে গাঢ় বাদামি করে এবং মৌচাকে পচা গন্ধ বানায়। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে মৌমাছির আবাসগুলোতে রোগটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আমেরিকান ফাউলব্রুড ভারোয়া মাইটের মতো ধ্বংসাত্মক নয়, তবে এই ব্যাকটেরিয়া ৬০ হাজার মৌমাছির আবাসকে সহজে নিশ্চিহ্ন করতে পারে।

এই ভ্যাকসিনের প্রবর্তন মৌমাছিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে এলো। মৌমাছি বিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থায় অত্যাবশ্যক। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন, কীটনাশক, বসতির ক্ষতি ও রোগের কারণে বিশ্বব্যাপী মৌমাছির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

মৌমাছি পরাগ ও অমৃত খাওয়ার সময় খাদ্যে পরাগায়ন করে। মৌমাছিরা যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্যশস্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পরাগায়ন করে। তারা প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক দেড় হাজার কোটি ডলার মূল্যের ফসল উৎপাদনে সহায়তা করে। অনেক মৌমাছি চাষি বাদাম, নাশপাতি, চেরি, আপেল ও অন্যান্য পরাগায়নে সহায়তা করতে সারা দেশে তাদের মৌচাক লিজ দেন। অন্তত তিন-চতুর্থাংশ সপুষ্পক উদ্ভিদের ফল ও বীজ উৎপাদনে মৌমাছি, প্রজাপতি ও মথসহ পরাগায়নকারীদের সহায়তা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ডাকোটা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় মৌমাছি পালনকারী এবং আমেরিকান হানি প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্রিস হায়াট উত্তর ডাকোটাতে প্রায় ৮০০ রানী মৌমাছি নিয়ে গ্রীষ্মে এ ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ডালানের প্রধান নির্বাহী অ্যানেট ক্লেজার ভ্যাকসিনটিকে ‘একটি বিশাল অগ্রগতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ক্লেজার বলেন, মৌমাছিকে প্রভাবিত করে এমন অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ডালান আদর্শ হিসেবে আমেরিকান ফাউলব্রুড ভ্যাকসিনকে কাজে লাগাবে। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত¡বিদ ড. ডেলাপ্লেনও তার সাথে একমত। তিনি বলেছিলেন, একদিন হয়তো আমাদের কাছে একটি ককটেল থাকতে পারে যা মৌমাছির অনেক সমস্যার সমাধান করবে। এটি হবে পবিত্র গ্রেইল বা মৃত্যুসঞ্জীবনী।

কুরআন ও বিজ্ঞানে মধু আর মৌমাছি
আল-কুরআনে মৌমাছির নামে একটি সূরা রয়েছে। এর নাম আল নাহল। আরবি ‘নাহল’ শব্দের বাংলা অর্থ- মৌমাছি। মৌমাছি মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি একটি ক্ষুদ্র কীট। ১৯৭৩ সালে অস্ট্রীয়-জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল ভন মৌমাছি নিয়ে গবেষণার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। দ্য ড্যান্সিং বিস নামে তার এ গবেষণা পরে বই আকারে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞানী কার্ল ভন গবেষণা করে যা পেয়েছেন, তা আজ থেকে সাড়ে ১৪ শ’ বছর আগে কুরআনের আল নাহল সূরায় আল্লাহ তায়ালা মানুষকে জানিয়ে দিয়েছেন।
সূরা আল-নাহলের ৬৮ ও ৬৯ নম্বর আয়াত ‘(হে মানুষ! চিন্তা করো, দেখো কীভাবে) তোমার প্রতিপালক মৌমাছিকে শিক্ষা দিয়ে আদেশ করলেন, তোমরা পাহাড়-পর্বত, উঁচু গাছপালা মানুষের ঘরের মাচান বা কার্নিশে মৌচাক তৈরি করো। সব ধরনের ফল থেকে আহার করো (রস চুষে নিয়ে) আর প্রতিপালকের সরল পথে চলো। মৌমাছির পেট থেকে বের হয় বিভিন্ন রঙের পানীয় (বর্ণিল শরবত)। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের রোগের প্রতিকার। জ্ঞানীদের জন্য এর মধ্যে রয়েছে আল্লাহর মহিমার উজ্জ্বল নিদর্শন।’

সূরা মুহাম্মেদর ১৫ নম্বর আয়াত‘জান্নাতে থাকবে এমন মধুর নহর, যা খাঁটি ও স্বচ্ছ (অর্থাৎ পরিশোধিত মধুর নহর)।’ এর তাফসিরে বলা হয়েছে- দুনিয়ায় মধুর মধ্যে মোম ও আবর্জনা মিশে থাকলেও জান্নাতে পরিশোধিত মধুর নহর বইবে।

কার্ল ভনের গবেষণা ও কুরআনের কথা
১৯৭৩ সালে বিজ্ঞানী কার্ল ভন ফিশ্চ মৌমাছির জীবনচক্র ও মধু নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পান। তিনি দেখান, শুধু পুরুষ আর স্ত্রীই নয়, মৌমাছি তিন প্রকার। তৃতীয়টি হচ্ছে শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি। সেটিও স্ত্রী জাতীয় তবে বন্ধ্যা। রানী মৌমাছি ডিম ও সন্তান জন্ম দেয়। পুরুষ মৌমাছির কাজ হলো স্ত্রী অর্থাৎ রানী মৌমাছির সাথে শুধু প্রজননে অংশ নেয়া। এরপর পুরুষ মৌমাছির মৃত্যু ঘটে। কর্মী মৌমাছিই মৌচাক বানায়, মধু সংগ্রহসহ যাবতীয় কাজ করে।

কার্ল ভন প্রমাণ করেছেন, একটি কর্মী মৌমাছি যখন কোনো নতুন ফুল বা ফলের বাগানের খোঁজ পায়, সাথে সাথে অন্য কর্মী মৌমাছিদের উদ্যান সম্পর্কে অবহিত করে। একটি কর্মী মৌমাছি যে পথ দিয়ে বাগানের খোঁজ পায়, অন্যদেরও সে পথের কথা জানায়। তারপর ওই পথে নেচে নেচে গিয়ে তারা মধু সংগ্রহ করে আবার ওই পথ ধরেই নিজ গৃহ অর্থাৎ মৌচাকে ফিরে আসে। এই দূরের রাস্তায় নেচে গিয়ে মধু নিয়ে ফিরে আসাটাকে কার্ল ভন নাম দিয়েছেন ওয়াগল ড্যান্স অর্থাৎ আন্দোলিত নৃত্য। নির্দিষ্ট পথে আমোদ-ফুর্তিতে নেচে নেচে যাওয়া। রাস্তাটি কাছাকাছি হলে মৌমাছিরা যে প্রক্রিয়ায় নেচে গিয়ে মধু আনে সেটি রাউন্ড ড্যান্স অর্থাৎ বৃত্তাকারে আমোদে নেচে যাওয়া। তিনি আরো প্রমাণ করেন, মৌচাক নির্মাণ, মধু সংগ্রহ, মোম তৈরি, ফুলের পরাগায়ন- প্রতিটি কাজ করে স্ত্রী কর্মী মৌমাছি। পুরুষ নয়।
কুরআনে সূরা আল নাহলের আয়াতে হুবহু এ কথাই বলা আছে। মৌমাছিকে চাক বানানো ও মধু আহরণের আল্লাহর যে আদেশ তাতে আরবি ‘ইত্তাখিজি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ স্ত্রী মৌমাছিকে আল্লাহ আদেশ করেছেন। পুরুষ মৌমাছিকে আদেশ করলে শব্দটি হতো ‘ইত্তাখিজ’। ওই সূরার ৬৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে- এলাকায় যত মিষ্টি ফুল আছে, ফল আছে সেখান থেকে রস নিয়ে আসো, পুষ্পরস সংগ্রহ করো। অর্থাৎ সর্বপ্রকার ফুল-ফল থেকে রস চুষে নাও এবং চলো স্বীয় রবের সহজ সরল পথে। এটিই বিজ্ঞানী কার্ল ভনের ওয়াগল ড্যান্স।

পাহাড়ি এলাকায় যেসব মানুষ বাস করে তারা যাতে মধুর উপকার পায় সে জন্য মৌমাছিরা পাহাড়ে মৌচাক বানায়। যেখানে পাহাড় নেই, সে এলাকার মানুষের জন্য গাছের উঁচু ডালে তারা চাক বানায়। যেখানে পাহাড় বা তেমন গাছপালাও নেই, সেখানে মৌমাছি মানুষের ঘরের মাচানে বা দালানের কার্নিশে মৌচাক বানায়।

প্রতিটি মৌচাকে থাকে একটি রানী মৌমাছি। আর থাকে পুরুষ ও কর্মী মৌমাছি। রানীই সর্বেসর্বা। এই রানী মৌমাছি পুরুষ ও কর্মী মৌমাছির চেয়ে বড় ও লম্বা আকৃতির। তার নেতৃত্বে সব কিছু হয়। রানী মৌমাছির প্রধান কাজ পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলিত হয়ে বংশবৃদ্ধি করা। একটি মৌচাকের সব মৌমাছি ওই এক রানীরই হয়ে থাকে। একটি মৌচাকে থাকে ৯০ শতাংশ কর্মী মৌমাছি। একটি মৌ পরিবারের সবাই একটি মৌ কলোনি। এরা সমাজবদ্ধভাবে থাকে। প্রত্যেক কলোনিতে এক হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত মৌমাছি থাকে। একটি মৌচাকে তিন সপ্তাহে একটি রানী মৌমাছি হাজার হাজার ডিম দেয়। কোন ডিমে কি মৌমাছি হবে সেটিও রানী ডিম দেখে দেখে ঠিক করে। কোনোটি নিষিক্ত আর কোনোটি হবে অনিষিক্ত। মৌচাক অসংখ্য ষড়ভুজের সমষ্টি। প্রতিটি প্রকোষ্ঠ ছয়টি বাহু দিয়ে গঠিত। এগুলো মোম দিয়ে তৈরি। এই মোমও মৌমাছির দেহ অভ্যন্তরের এক প্রকার লালার সাহায্যে তারা তৈরি করে। যা ফ্যাটি এসিডের ইস্টার। কর্মী মৌমাছির আঠাটি ক্ষুদ্র গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত হয়। একটি মৌচাকে ১০ থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত মধু হয়। মৌচাক বানানোর আগে জায়গা বাছাই করা হয়। জায়গাটি আবার রানী মৌমাছি দলবল নিয়ে দেখে পছন্দ করে। রানীর অনুমতি পেলে চাক বানানোর কাজ শুরু হয়। মৌচাকে কর্মী মৌমাছিরা কেউ দ্বার রক্ষক, কেউ স্থাপত্য ও ইঞ্জিনিয়ারিং কর্ম করে, প্রকোষ্ঠ তৈরির জন্য কেউ মোম তৈরি করে স্থপতির কাছে পৌঁছায়। ফুল-ফল থেকে মিষ্টি রস চুষে আনা ছাড়াও রানীর সেবা করা, মধু যাতে পবিত্র থাকে সে জন্য অপরিষ্কার মৌমাছিকে ঘরে ঢুকতে বাধা দেয়া, চাকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা- ইত্যাদি হাজারটি কাজ তারা করে থাকে।

একবার খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে একটি মৌমাছি ৫০ থেকে ১০০টি ফুল-ফলে ঘুরে বেড়ায়। এরা নিজের চাক থেকে পাঁচ বা ১০ মাইল পর্যন্ত দূরে ঘুরতে যায়। মৌমাছির থাকে দুটো পাকস্থলী। একটিতে নিজের খাবার অন্যটিতে পুষ্পরস জমা রাখে। নিজের দেহের বিশেষ এনজাইম মিশিয়ে ফল বা পুষ্পরসকে মধুতে পরিণত করে। মৌচাকে ফিরে বিশেষ নলের সাহায্যে প্রকোষ্ঠে ঢেলে দেয়। এরপর একদল মৌ মোম দিয়ে প্রকোষ্ঠের মুখ বন্ধ করে দেয়। এক পাউন্ড মোম দিয়ে ৩৫ হাজার প্রকোষ্ঠ তৈরি হয়। একটি মৌচাকে ৩০ হাজার থেকে ৬০-৭০ এমন কি এক লাখ পর্যন্ত মৌমাছি থাকে।

মধু বাতাস থেকে পানি নেয়। ফলে জমাট বাঁধে না। মধু বৈশিষ্ট্য হলো- নিজে নষ্ট হয় না বা পচে না এবং এর মধ্যে অন্য বস্তুকেও নষ্ট হতে দেয় না। দীর্ঘদিন সংরক্ষিত থাকে। মধুতে রয়েছে ৪৫টি খাদ্য উপাদান। গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ, মন্টোজ, অ্যামাইনো এসিড, খনিজ লবণ, এনজাইম, প্রোটিন, বিভিন্ন ভিটামিন ইত্যাদি।
মৌমাছির হুল বিষাক্ত হলেও গবেষণায় এসেছে- বাতজ্বরজনিত রোগীদের এই হুল ফুটিয়ে ভালো করা যায়, নিউজিল্যান্ডে এ চিকিৎসা হচ্ছে। কার্ল ভনের গবেষণায় এসেছে- মধুর মধ্যে অসাধারণ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে যা কাটা জায়গায় লাগিয়ে দিলে ভালো হয়ে যায়। মৌমাছিকে মধুমক্ষীকা, মধুকর নামেও ডাকা হয়। এদের দেহ ত্রিখণ্ডিত আকারের। ৯টি স্বীকৃত গোত্রে ২০ হাজারের মতো প্রজাতি আছে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব
ইমেইল : abdal62@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement