২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দ্বিচারিতা বিপদই আনে

দ্বিচারিতা বিপদই আনে। -

বিশ্ব আজ তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে ‘গ্লোবাল ভিলিজ’ এ পরিণত হয়েছে। যেকোনো ঘটনা প্রবাহের ঢেউ মুহূর্তেই পৃথিবীর প্রায় সব দেশের তটরেখায় আছড়ে পড়ে। সেই ঘটনাগুলো দুই বলয়ে বিভক্ত বিশ্বের বিভিন্ন জনপদে তার পৃথক পৃথক ব্যাখ্যা হয়। গণতান্ত্রিক শিবিরে থাকা দেশগুলোর কোনো অঘটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমের বলয়ের রাষ্ট্রগুলোতে সহানুভূতি সঞ্চার করে। ঠিক এর বিপরীতে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীতন্ত্রের রাষ্ট্রের শিবিরে অবস্থানকারী কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রগুলোর সমস্যায় রুশ-চীনা ও তার মিত্র দেশগুলো সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। কিন্তু এই শিবিরের বাইরে থাকা রাষ্ট্রগুলোর কোনো বিপদ হলে, সেটা কাটতে বহু সময় যায়। কেননা তাদের কোনো মুরুব্বি নেই। সে যাই হোক, আজকে গেলাবাল ভিলেজের এক সদস্য তথা বাংলাদেশ দুই মেরুতে বিভক্ত বিশ্বের কোন ধারা অনুসরণ করে চলছে, সেটা এখন অনেকটা অস্পষ্ট। কখনো মনে হয়, বঙ্গোপসাগরে কূলের এই বদ্বীপটি রোড-টু-মস্কো-চীন ধরে ছুটছে। আবার হঠাৎ করে মনে হয় পশ্চিমের হাইওয়েতে উঠার চেষ্টা করছে। তবে এমন দ্বিচারিতা নিয়ে কখন যে বড় বিপদে পড়তে হয় তা কারো পক্ষেই আগাম বলা খুব জটিল। দূর অতীতে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জনসংখ্যা ও ভূ-ভাগের বিচার বড় দেশ ইন্দোনেশিয়ার একসময়ের সেনাশাসক জেনারেল সুহার্তো একদা বলেছিলেন, যারা মুখে বলে ও ভাবভঙ্গিতে বোঝায় ‘আমরা নিরপেক্ষা’। সে ক্ষেত্রে বুঝতে হবে এরা আমাদের পক্ষে নয়; তারা সুযোগ সন্ধানী যেকোনো মুহূর্তে এরা রঙ বদল করতে ও ভোল পাল্টাতে পারে। এই জনপদে একটা কথা প্রচলিত দু’নৌকায় পা রেখে যে চলতে চায়। কোনো এক সময় তাদের দেহ, দুই চির হয়ে যেতে পারে। এক সময় বিশ্বে তৃতীয় একটি ধারার অস্তিত্ব ছিল, এই ধারার নাম ছিল ‘জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন’ তার নেতা ছিলেন ভারতের জওহার লাল নেহেরু, কেনিয়ার নত্রুমা, মিসরের জামাল আবদুল নাসের, ইন্দোনেশিয়ার আহমদ শুকার্নো প্রমুখ। তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্মেলন করতেন। অবশ্য খুব বেশি দিন এই জোটনিরপেক্ষ জোটকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশের পক্ষেও বেশি দিন এমন বর্ণ লুকিয়ে চলা সম্ভব হয়তো হবে না। বাংলাদেশ নিজেকে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বুক ফুলিয়ে প্রচার করে বটে, কিন্তু চলনে বলনে অনুশীলনে এমন দাবি কিন্তু ধোপে টিকবে না। কেননা আমাদের পররাষ্ট্র নীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং দেশের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চেতনাকে মূল্য দেয়া হচ্ছে না। তা ছাড়া বন্ধু চয়নের ক্ষেত্রেও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হচ্ছে। আর শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে সংসদীয় গণতন্ত্রকে বেছে নেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখনকার শাসনব্যবস্থার যে স্বরূপ, তাতে এমনটাই লক্ষ্য করা যায়। সংসদীয় ব্যবস্থা এখানে বলতে গেলে মৃত প্রায়। কেননা দেশে একটি সংসদ থাকলেও তার বৈশিষ্ট্য হারিয়ে গেছে। সে জন্য সংসদ বলতে গেলে এক দলেরই সংসদ। যা সংসদীয় ব্যবস্থার রীতিনীতির সম্পূর্ণ বিপরীত। এটিও উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নির্বাচনের মাধ্যমে এই একাদশতম সংসদ গঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট ওজর আপত্তি ছিল। বিশ্বে সংসদীয় ব্যবস্থাকে অনেক বেশি জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে মনে করা হয়। অথচ আমাদের সংসদ এক দলের সংসদ, যেখানে কে কার জববাদিহি কে করবে।

যে কথা দিয়ে এই নিবন্ধ শুরু করা হয়েছে, সেই আলোচনায় ফিরে যেতে চাই। সম্প্রতি রুশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বিবৃতি দেয়ার কারণ সম্পর্কে সবাই কম বেশি অবহিত। স্মরণ করা যেতে পারে, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেশ আগে গুম হয়ে ছাত্রদলের এক নেতার বোনের বাসায় গিয়ে তাদের সমবেদনা জ্ঞাপন করতে গিয়েছিলেন । আর এ খবরও সবার কাছে আছে । সেখানে মার্কিন দূত এক বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন খোদ এই অপ্রীতিকর ঘটনার ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশকে জানিয়েছে। এ জন্যই রাশিয়ার কাছ থেকে সেই বিবৃতি এসেছিল এবং ঢাকা এখন কিছু উৎফুল্ল ও স্বস্তিবোধ করছিল। ঘটনা এখানেই শেষ নয়, পরে মার্কিনীদের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাকে খুবই অস্বস্তিতে পড়তে ও জড়সড় হতে হয়েছে। তারপর রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি বহনকারী রুশ জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দরে প্রবেশ করতে বাধার সৃষ্টি করে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সব কর্মকর্তার ঢাকায় আগমন হতে থাকে। যা বাংলাদেশকে আরো অস্বস্তিতে ফেলেছিল এবং তা সরকারের শীরপীড়ার কারণ হয়। আসলে বাংলাদেশ যে দুই নৌকায় পা রেখে চলেছে, সেটা আরো স্পষ্ট করে তুলেছে রুশ-মার্কিনিদের উপরোক্ত রশি টানাটানি। এখানে আরো উল্লেখ করা যায়, পশ্চিমা শক্তিই কিন্তু প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। ইদানীং আরো লক্ষ করা গেছে, পশ্চিমের বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলাহীনতা নিয়ে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে চলেছে যা এর আগে কখনো অনুভূত হয়নি। সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে মৌচাকে যেন ঢিল পড়েছে। কিন্তু মৌপোকা তাড়ানোর জন্য বাংলাদেশকে ভিন্ন বলয় থেকে কেউ কোনো সাহায্য করতে আসছে না। আর এটা থেকেই স্পষ্ট আমাদের হাল আমলের পররাষ্ট্র নীতির যত দুর্বলতা।

মার্কিন মুল্লুকের যত কর্মকর্তাই এখন আসছেন তারা সবাই আরো কয়েকটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। এর মধ্যে গণতান্ত্রিক ধারাকে সুষ্ঠু ও সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সৃষ্টি। মানবাধিকারের প্রশ্নে উচ্চতর মানদণ্ডে পৌঁছার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই দুই প্রশ্নসহ রাজনীতিতে সব দলের কর্মসূচি পালনের সুযোগ দেয়ার জন্যও মার্কিনীরা কথা বলেছে। এসব ব্যাপারে বাংলাদেশের সংবিধানে যে নীতি-নির্দেশনা দেয়া আছে, আমাদের প্রশাসনকে সেখানে পৌঁছার জন্য বলা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, এই জনপদের মানুষ এই তিন বিষয়ে তাদের যে অভিপ্রায় অভিব্যক্তি সেটা কিন্তু আমাদের প্রশাসন উপলব্ধি করছে বলে মনে হয় না। এ দেশের মালিক-মোক্তার তো জনগণ সেটা উপেক্ষা করা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।

গণতান্ত্রিক চেতনা বড় প্রতিফলন ঘটে যেকোনো স্তরের নির্বাচনকে ঘিরে। তা সত্ত্বেও নির্বাচন নিয়ে এখানে হাজারো অনিয়ম অব্যবস্থা ও ভোটের দূরাবস্থা বিরাজ করছে। অথচ যখনই সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় তখন স্রোতের ঢলের মতো ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের আগমন হতে থাকে। এ থেকে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের মানুষ কতটা গণতন্ত্রের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু জনগণের এই অভিব্যক্তিকে শুধু শ্রদ্ধা করাই নয় তার আলোকে পদক্ষেপ নেয়াটাই হচ্ছে দেশের ও বিদেশের সবার মনোবাঞ্ছনা। আগেই বলা হয়েছে বাংলাদেশের সংবিধানও সেই একই অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু দেড় দশক থেকে বর্তমানে রাজনৈতিক নির্বাহীদের অধীনে অন্যান্য নির্বাহীরা যে রাষ্ট্রাচার চালু করেছে তা কিন্তু আওয়ামী লীগই। সেখানে কিন্তু জনগণের উথলে পড়া আবেগ অনুভূতির স্থান হচ্ছে না।

দূর ও নিকট অতীতেও গণতন্ত্রের প্রতি রাজনৈতিক নির্বাহীদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গী ইতিবাচক ছিল না ও নেই। সে কিছু কথা স্মরণ করতে চাই। এমন অতীতচারিতা অনেকের কাছেই হয়তো অপছন্দেরই হতে পারে। কিন্তু বর্তমানকে বোঝার জন্যই অতীতের দিক মুখ ফেরানো কোনো দোষের নয়। অতীত বলে এখানের গণতন্ত্রকে বিপদগ্রস্ত করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল বর্তমান শাসকদলের পূর্বসূরীরা। আর বিএনপিই পুনরায় সেই একদলীয় ব্যবস্থা রহিত করে বহুদলীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিল। যারা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন তারা একই সাথে সংবাদপত্রের কণ্ঠে কঠিন চিপি লাগিয়ে দিয়েছিল। পরে বিএনপিই সেই ছিপি অপসারণ করেছে। বিএনপি গণতন্ত্রের স্রোতকে বেগবান করতে প্রচেষ্টা নিয়েছিল। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হলে দেখা যায়, সেখানে গণতন্ত্র বিপদগ্রস্ত হয়ে উঠেছে, জনগণের মতামত প্রতিফলিত হতে পারে না। এই অভিজ্ঞতা থেকে তারা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সংবিধানে সংযোজিত করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বর্তমান শাসক দলের সময়ই সেই ব্যবস্থা সংবিধান থেকে অবলিলাক্রমে অপসারিত হয়েছে। এই আলোচনা থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যকার গণতন্ত্রের প্রশ্নে ও জনগণের অভিব্যক্তির ব্যাপারে দুই দলের মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্ট ও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

এই নিবন্ধে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে কিছু কথা বলা না হলে হয়তো আলোচনা অপূর্ণাঙ্গ থেকে যাবে। তাই আমরা নির্বাচন কমিশন ও দেশের প্রধান দুই দলের ভূমিকা ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে তাদের প্রতিশ্রুতি নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। দেশের ইতোপূর্বে যতগুলো কমিশন গঠিত হয়েছে তার মধ্যে শেষোক্ত তিন কমিশনের (বর্তমানসহ) গঠন এবং ভূমিকা নিয়ে যৌক্তিক কারণে শত প্রশ্নের সৃষ্টি হয়ে আসছে। তিন কমিশনই তাদের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে এমন কোনো নজির স্থাপন করতে পারেনি, যারা জন্য ওই প্রতিষ্ঠানকে খানিকটা ধন্যবাদ জানানো যায়। অপরদিকে বরং তাদের ভ‚মিকা ছিল লজ্জা পাওয়ার মতোই। সংবিধান তাদের কাছ থেকে যে মানের নির্বাচন আশা করে, সেই আশা পূরণ কমিশনত্রয় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিন কমিশনই তাদের নিয়ে ইতিবাচক ‘ইমেজ’ তৈরি করতে পারেনি। তিন কমিশনের কর্মকাণ্ডে ন্যায়নীতি অনুসরণ দল বিশেষের প্রতি অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হওয়া থেকে তারা ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি।

রাজনৈতিক দলগুলোও কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা সৃষ্টি, রাজনৈতিক অঙ্গনে সহনশীলতা সহিষ্ণুতা, তৈরি করার জন্য শাসক দল অনেক কিছুই করতে পারে, কিন্তু তিন মেয়াদে দেশের বর্তমান শাসক দল রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি বরং তাদের তিন মেয়াদের যেমন নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অন্যান্য দলের প্রতি অসহিষ্ণুতা বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। তা ছাড়া তাদের বিকল্প কেউ থাকতে পারে এমন চিন্তা থেকে বহু দূরে তাদের অবস্থান। এমন সব নেতিবাচক ভাবনা ও ভূমিকা রাজনীতিকে বিষবৎ করে তুলেছে।

অপরদিকে, একেবারে নিরপেক্ষভাবে ও বস্তুনিষ্ঠতার সাথে কেউ দেখে তাহলে দেশের অন্যতম বড় দল ও বিএনপিই কিছুটা ভালো অবস্থা নেই। এ পর্যন্ত তাদের ভূমিকা থেকে এটি ভেবে নেয়ার জো নেই যে অর্বচিনের দায়িত্বহীনতার পরিচয়। তারা যে সম্প্রতি ২৭ দফা জাতির সম্মুখে পেশ করেছে, তাকে বর্তমানের যা প্রয়োজন তার সাথে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করেন বোদ্ধা সমাজ। তবে ভবিষ্যতের দিকে সতর্ক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হবে। যদি দেশে একটা সর্বাঙ্গীন সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তাতে যদি জনগণ তাদের পছন্দ করে। তখন দেখা যাবে বিএনপি কতটা সিনসিয়ার ২৭ দফার ব্যাপারে।

ndigantababar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement