২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তারেক রহমানের ভুলভ্রান্তি, বিএনপির করণীয়

লেখক : গোলাম মাওলা রনি - ফাইল ছবি

বিষয়টি যখন প্রথম আমার কানে এলো তখন অবাক হওয়া ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। কারণ বিএনপি সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত এবং একটি বিরূপ সময়ে দলটিতে যোগদানের কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সাথে যোগাযোগ তো দূরের কথা নিদেন পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিচয়টুকুও হয়নি। ফলে একজন সাবেক আওয়ামী মস্তিষ্কে বিএনপি সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা ছিল এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে যে অতি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছিল সেখানে যদি হঠাৎ কোনো ইতিবাচক বিষয়াদি আঘাত হানে তবে মন মস্তিষ্কে কি জটিল রসায়ন হয় তা কেবল ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন।

আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতির বিধান হলো, দলের বাইরে যাওয়া যাবে না কওয়া যাবে না- দেখা যাবে না। দলের বিরুদ্ধবাদীরা সব খারাপ, দেশদ্রোহী এবং ক্ষমতায় থাকলে সব জায়েজ কিন্তু বিরোধী দলে থাকলে সব কিছু উল্টো। যত নীতি কথা সব বই পুস্তকে লিখা থাকবে কিন্তু বাস্তবে রাজনীতিতে যা হবে তার নীতি নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। এমনতর অবস্থায় একটি দল ত্যাগ করে অন্য দলে আসা আগন্তুকের কপালে হরহামেশা যেসব বিপত্তি দেখা দেয় তা থেকে আমিও ব্যতিক্রম নই। ফলে বিএনপি সম্পর্কে আমার বোধ-বুদ্ধি এবং তারেক রহমান সম্পর্কে আমার প্রতিক্রিয়া অন্য সব বিএনপি কর্মীর থেকে আলাদা আর এ কারণেই বিষয়টি যখন প্রথম শুনি তখন আশ্চর্য না হয়ে পারিনি।

রাজপথে বিএনপির সাম্প্রতিক সাফল্য, অভিনব রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে অদ্ভুত সাড়া জাগানো মনোভাব যেমন আওয়ামী লীগকে হতবিহ্বল করে তুলেছে তেমনি আমিও গালে হাত দিয়ে ভাবছি- এটা কী করে সম্ভব! কোনো রকম পূর্ব ঘোষণা, কোনো রকম বৈঠক বা আলাপ-আলোচনা ছাড়া কিভাবে ভেঙে যাওয়া ২০ দলীয় ঐক্যজোট হঠাৎ চাঙ্গা হয়ে গেল। কিভাবে ছোট বড় সকল রাজনৈতিক দল কোনো রকম শর্ত ছাড়া বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে নেমে গেল, কিভাবে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো সর্বশক্তি নিয়ে মাঠের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়ার জন্য যার যার অবস্থান থেকে সব ভয়-আতঙ্ক ঝেড়ে ফেলে সিংহ বিক্রমে গর্জে উঠল!

আওয়ামী প্রচারণায় প্রায় প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছিল যে, বিএনপি প্রায় শেষ। সংবাদ সম্মেলন করার জন্য ৩-৪ জন লোক ছাড়া বিএনপির কিছুই নেই। অন্য দিকে, জামায়াত সম্পর্কে বলা হচ্ছিল যে, দলটি এমনভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে যে, আগামী ৫০ বছরে বাংলার জমিনে জামায়াতের উচ্চারণ করার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। অলি আহমেদের এলডিপি, আ স ম আব্দুর রবের জাসদ, ভিপি নুরের গণ-অধিকার পরিষদ, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, মোস্তফা মোহসীন মন্টুর গণফোরাম, জাগপা, মুসলিম লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাসদ, সিপিবি, জোনায়েদ সাকীর গণসংহতিসহ মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীকের (অব:) কল্যাণ পার্টির ব্যানারে গত এক মাসে ঢাকার রাজপথে যে উল্লেখযোগ্য সমাবেশ-মিছিল হয়েছে তা দেশবাসীকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড সাহসী করে তুলেছে।

উল্লেখিত অবস্থায় আমি যখন বিএনপির কর্মকৌশল এবং নতুন উদ্দীপনা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলাম ঠিক তখন জানতে পারলাম যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজের ভুল-ত্রুটি জানতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার লোকজনের সাথে মতবিনিময় করছেন এবং বিএনপির করণীয় কী এই বিষয়েও পরামর্শ গ্রহণ করছেন। তিনি দেশের শীর্ষ পলিটিক্যাল জিনিয়াস, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, এনজিও ব্যক্তিত্বসহ অধ্যাপক শিক্ষাবিদ প্রমুখের সাথে সরাসরি কথা বলছেন অথবা প্রতিনিধি পাঠিয়ে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করছেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ মতামত পেয়েছেন তার কয়েকটি নমুনা আমি জানার পর যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি।

আমার বিস্ময়ের প্রথম কারণ ছিল তারেক রহমানের ভিন্ন মাত্রার উদ্যোগ। তার সম্পর্কে প্রপাগান্ডা ছিল- তিনি নির্দিষ্ট বলয়ের বাইরে কারো সাথে কথা বলেন না। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীটি যারা কিনা শিল্প-সাহিত্য সংস্কৃতি, রাজনীতি-অর্থনীতি এবং গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রক তাদের সাথে তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই। অন্য দিকে দেশ-বিদেশের ঝানু-কূটনীতিবিদ, আমলা-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সাবেক চৌকস কর্মকর্তাসহ আইন অঙ্গনের লোকজনের সঙ্গে তার সখ্যতা তো দূরের কথা ব্যক্তিগত যোগাযোগও নেই। তো সেই প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি তার পিতার আদলে গণযোগাযোগ শুরু করেছেন এ কথা শোনার পর মনে হয়েছে, বিএনপি থামবে না বা বিএনপিকে থামানো যাবে না।

দ্বিতীয়ত, তারেক রহমান নিজে অথবা তার প্রতিনিধি যখন কারো সাথে বিএনপির করণীয় কী এবং তারেক রহমানের ভুলভ্রান্তি কী এসব প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করছেন তখন সঙ্গত কারণে সেখানে অদ্ভুত এক রসায়ন সৃষ্টি হচ্ছে। যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হচ্ছে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন এবং সাধ্যমতো বুদ্ধি-পরামর্শ দিচ্ছেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে তিনি যখন পরিবার-পরিজন এবং একান্ত পরিচিতজনদের সঙ্গে আলোচনা করছেন তখন তা সংশ্লিষ্ট পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের কর্ণধার যার কি না অনাগত দিনে প্রধানমন্ত্রীর পদসহ সরকার ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে তার সাথে কথা বলা অথবা তার প্রেরিত প্রতিনিধির সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে দেশের এলিট শ্রেণীটির মধ্যে গত কয়েক মাসে বিএনপি সম্পর্কে যে একটি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার স্পষ্ট নজির দেখা যাচ্ছে রাজপথসহ সরকারি-বেরসকারি দফতরে, অফিস আদালতে এবং বিভিন্ন জনসমাগমে।

জনাব তারেক রহমান যে তলে তলে পিপীলিকার মতো অসংখ্য গতিপথ তৈরি করে চলেছেন তা আমি টের না পেলেও সরকারি গোয়েন্দারা কিন্তু ঠিকই আন্দাজ করেছে। তারা কিছু অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে কতিপয় ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং অনেককে নজরদারির মধ্যে রেখেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, পাওয়ার হাউজের নিউক্লিয়াস বলে পরিচিত এমন জায়গাতে তারেক রহমানের সালাম বিনিময় হচ্ছে যার প্রমাণ পাওয়ার পরও নজরদারি কর্মে নিয়োজিত লোকজন হতবাক হয়ে খামোশ থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু তার পরও দুই চারটি ঘটনা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অনেকের চাকরির মেয়াদ বাড়ছে না। আবার অনেকে অবসর গ্রহণের দিন পর্যন্ত লোকজনের মধ্যে এমন ধারণা তৈরি করে ফেলেছিলেন যে, খুব তাড়াতাড়ি মন্ত্রী বা মন্ত্রীর ক্ষমতাসম্পন্ন কোন পদ-পদবি নিয়ে ফিরে আসছেন। কিন্তু গোপন প্রতিবেদন জায়গা মতো চলে যাওয়ার কারণে অনেকে গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।

উল্লিখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিবিরোধী ক্ষমতাধররা নিজেদের কুকর্ম আড়াল করার জন্য বাকশালী কায়দায় কিভাবে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করেছেন সেই কাহিনী বলার আগে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদেরকে জানানোর লোভ সংবরণ করতে পারছি না। বিভিন্ন মহলের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে তারেক রহমান যেসব পরামর্শ পাচ্ছেন তার কিছু নমুনা হলো, প্রায় সবাই বর্তমান জমানায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক গর্ত গিরিখাদ এবং লুটপাটের বিপরীতে কিভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায় সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা রাখছেন। প্রায় সবাই অর্থনৈতিক সংস্কার, ব্যাংকিং সংস্কার এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থের জোগানসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধির এসব অভিনব বুদ্ধি দিচ্ছেন যা বিএনপি বিরোধীরা এই মুহূর্তে কল্পনাও করতে পারছেন না।

বিএনপি রাজপথের আন্দোলন, ক্ষমতা লাভ বা ক্ষমতাসীনদেরকে ক্ষমতা থেকে হটানোর বিষয়ে প্রচলিত বৈধ লড়াই সংগ্রামের বাইরে এক পা না এগুনোর ব্যাপারে যে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দেশী-বিদেশী চক্রান্তের উপর্যুপরি ফাঁদসমূহ যেভাবে নষ্ট করে চলেছে তার পেছনে কনফুসিয়াস ও সানসুর নীতির আলোকে চলমান রাজনীতির ব্যাকরণ অনুধাবন করার যোগ্যতা যে মহৌষধ হিসেবে কাজ করছে তা সহজে বোঝা যায়। মহাকালের বিস্ময়কর সামরিক প্রতিভা সানসুর একটি পরামর্শ হলো, প্রতিপক্ষ যদি পথ হারিয়ে ফেলে তবে ভুলেও তাদের সামনে পড়বে না। দ্বিতীয়ত নিয়ন্ত্রণহীন কোনো কিছুকে থামাতে যাওয়া বিপজ্জনক এবং নিয়ন্ত্রণহীন সব কিছুর পরিণতি ধ্বংস।

আমরা আজকের আলোচনার একেবারে শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এবার তারেক রহমানের ভুলভ্রান্তি এবং বিএনপির করণীয় সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলে বাকশালী গল্পের মাধ্যমে নিবন্ধের ইতি টানব। তারেক রহমানের ভুলভ্রান্তি আপনার-আমার মতো সাধারণ পর্যায়ের নয়। যেহেতু তিনি দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ সেহেতু তার কৃত ভুলভ্রান্তি তার সমপর্যায়ের অন্যান্য রাজনীতিবিদের মতো হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য যেটি অস্বাভাবিক সেটি হলো, তিনি সেই ১/১১ থেকে ক্রমাগতভাবে নিজেকে পরিবর্তন করে চলেছেন। ভুল থেকে শিক্ষা এবং ভ্রান্তি থেকে বের হয়ে তিনি যে নতুন ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, সেই ২০০৭ সাল থেকে আজ অবধি তার ঘোরতর শত্রুও তার নৈতিক অবক্ষয়, অনৈতিক-অবৈধ এবং বেআইনি কর্মকাণ্ডের একটি ক্ষুদ্রতর সূত্রও খুঁজে পায়নি। অন্য দিকে, তার প্রতিপক্ষদের অন্যায় অপকর্ম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সারা দুনিয়ায় এমন কুখ্যাতি পেয়েছে যে, সে অপকর্মের আন্তর্জাতিক গডফাদার-গডমাদারদের ধারণাই পাল্টে গেছে।

তারেক রহমানের বিবর্তনের পাশাপাশি বিএনপির বিবর্তনও বেশ লক্ষণীয়। বিএনপির এই মুহূর্তে কী করা উচিত এমনতর প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে আপনি ১০০ জনের কাছ থেকে ১০০টি ভিন্ন ভিন্ন পরামর্শ পাবেন। অথবা সবাই বলবেন, বিএনপি যা করছে তা ঠিকই আছে। বিএনপি সম্পর্কে এ ধরনের পরামর্শের অর্থ, বিএনপি ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল সময় পার করছে এবং সেই জটিল সময়ের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে চলমান সময়ে বিএনপি যেসব অভিনব ও অবিশ্বাস্য কর্মসূচি দিয়ে চলেছে যা কি না সরকারকে রীতিমতো নাস্তানুবুদ করে তুলছে তা কোনো সাধারণ মস্তিষ্ক থেকে বের হচ্ছে না কিংবা একক মস্তিষ্ক থেকে বের হচ্ছে না এবং এটাই হবে বিএনপির সফলতার অন্যতম মূল কারণ।

নিবন্ধের উপসংহারে এবার বাকশালের গল্প বলছি। বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হুজুগে বাঙালির মধ্যে বাকশালে যোগদানের হিড়িক পড়ে গেল। বত্রিশ নম্বরে একটি বড় খাতা রাখা হলো, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সারা দেশ থেকে এসে সারা দিন লাইনে দাঁড়িয়ে সেই খাতায় নাম লেখাত। কোনো কোনো দিন সেই নাম লেখানোর লাইন এত বড় হতো যে, বত্রিশ নম্বর থেকে কলাবাগান মাঠ পর্যন্ত দীর্ঘতর হয়ে পড়ত। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের আগের কয়েকটি দিনে নাম লেখানোর হিড়িক এতটাই বেড়ে গিয়েছিল এবং অপেক্ষমাণ হুজুগে বাঙালির লাইন এতটাই দীর্ঘ হয়েছিল যা বত্রিশ নম্বরে রক্ষিত খাতা ধারণ করতে পারছিল না।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement
আজও স্বর্ণের দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়ার প্রস্তুতি, ক্লাস চলবে শনিবারও মিরসরাইয়ে জুস খাইয়ে অজ্ঞান করে লুট, মূল হোতা গ্রেফতার বৃষ্টি কামনায় ঈশ্বরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইসতিসকার নামাজ আদায় কুবিতে আল্টিমেটামের পর ভিসির কার্যালয়ে তালা ঝুলাল শিক্ষক সমিতি সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ শ্রমিক নিহতের খবরে ঈশ্বরগঞ্জে শোক দুর্যোগে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু কেন বাংলাদেশে? জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বেড়েছে ৫০টি বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

সকল