১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংশোধনী বাতিল ও কিছু প্রশ্ন

লেখক : ইকতেদার আহমেদ - ফাইল ছবি

বাংলাদেশ অভ্যুদয় পরবর্তী সংবিধানে ১৬টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এ সংশোধনীগুলোর মধ্যে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, ত্রয়োদশ ও ষোড়শ এ পাঁচটির বৈধতা বিষয়ে আপত্তি উত্থাপনপূর্বক মামলা দায়ের করা হলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক সংশোধনীগুলো অবৈধ ঘোষিত হয়। পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী দিয়ে জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনকালীন সামরিক সরকারকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল। অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে রাজধানী শহর ঢাকার বাইরে বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়াদ অবসান বা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার জন্য নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণে সংসদীয় অভিসংশন প্রথার প্রবর্তন করা হয়।

পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের ফলশ্রুতিতে পঞ্চদশ সংশোধনী প্রবর্তন করা হয়। অষ্টম সংশোধনী বাতিল আদেশ দ্বারা সংবিধানের মূল ১০০ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপিত হওয়ায় ঢাকার বাইরে স্থাপিত ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ বিলুপ্ত হয়। অষ্টম সংশোধনী বাতিল পরবর্তী সংসদ কর্তৃক কোনো সংশোধনী আনয়নপূর্বক বাতিল আদেশটিকে কার্যকারিতা দেয়া হয়নি যদিও বাতিল পরবর্তী সংবিধান নতুনভাবে মুদ্রণকালে তথায় প্রতিস্থাপিত ১০০ অনুচ্ছেদ আগেকার রূপে স্থান পায়। অষ্টম সংশোধনী প্রবর্তন ও বাতিলকালীন সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতাসীন ছিলেন। এ সংশোধনী বিষয়ে সে সময়কার বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবস্থান সংশোধনীটির বিপক্ষে ছিল। আর তাই এরশাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পরবর্তী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আন্দোলনের ফসল কর্মরত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন অস্থায়ী সরকারের শাসনামলে সংবিধান পুনঃমুদ্রণকালে অনুচ্ছেদ ১০০ আগেকার রূপে ফিরে আসে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল আদেশে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সংবিধানে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে স্থান ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃস্থান পাওয়া সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা পুনর্বহাল করে। পুনর্বহাল আদেশে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক অষ্টম সংশোধনী বাতিল ও মূল ১০০ অনুচ্ছেদের পুনর্বহালকে নজির হিসেবে উদ্ধৃত করা হয়।

প্রণিধানযোগ্য যে, যে প্রেক্ষাপটে সংবিধান পুনঃমুদ্রণকালীন মূল অনুচ্ছেদ ১০০ সংসদের হস্তক্ষেপ ব্যতীত সংবিধানে পুনঃস্থাপিত হয় বর্তমান প্রেক্ষাপট তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্নতর। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোভাবদৃষ্টে প্রতীয়মান হয় দলটির পক্ষ হতে বাতিল আদেশটিকে কার্যকর রূপ দেয়ার জন্য সংসদ কর্তৃক কোনো কার্যক্রম গৃহীত হবে না এবং সংবিধান পুনর্মুদ্রণের মাধ্যমেও আদালত কর্তৃক পুনর্বহালকৃত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা সংবিধানে সন্নিবেশিত আকারে স্থান পাবে না। দলটির নীতিনির্ধারকদের যুক্তি পঞ্চম, সপ্তম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল পরবর্তী পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নের আবশ্যকতা দেখা দেয়ায় আদালত কর্তৃক পুনর্বহালের আদেশ আগেকার নজির অনুসরণে সংসদের অনুমোদন ব্যতিরেকে সংবিধানে পুনঃস্থাপনের সুযোগ নেই।

আমাদের সংবিধানের দু’টি অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে কোনো আইন সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্য হলে সে আইনের যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ ততখানি বাতিল হবে। কিন্তু কোন্ আদালত কী পদ্ধতিতে বাতিল কার্যটি সমাধা করবে এ বিষয়ে সংবিধান নিশ্চুপ। সংবিধানের এ সীমাবদ্ধতাটিকে অনুধাবনকরত বঙ্গবন্ধু চতুর্থ সংশোধনী প্রণয়নকালীন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট ক্ষমতা খর্বপূর্বক আইনের মাধ্যমে সংসদ কর্তৃক সাংবিধানিক আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা কমিশন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক রিটের মাধ্যমে সংবিধানের কোনো বিধান বা আইন বাতিল ঘোষিত হলে যেসব প্রশ্নের উদয় হয় তা হলো- ক. বাতিল আদেশ দ্বারা শপথের কোনোরূপ ব্যত্যয় হয় কি-না?; খ. সংসদ ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করে কি-না? এবং গ. সংসদ কর্তৃক প্রণীত আইন সংসদের কার্যধারার অংশ কি-না?

উচ্চাদালতের বিচারকদের চারটি প্রকারভেদ থাকলেও সকলের শপথ এক ও অভিন্ন। শপথ গ্রহণকরাকালীন প্রধান বিচারপতিসহ উচ্চাদালতের অপর তিন ধরনের বিচারককে ব্যক্ত করতে হয় যে, তারা বাংলাদেশের সংবিধান ও আইনের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। উচ্চাদালতের আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনীর বৈধতা বিষয়ে শুনানিকালীন কোনো কোনো অ্যামিকাস কিউরির (আদালতের বন্ধু) পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়েছিল প্রধান বিচারপতি বা একজন বিচারক শপথ গ্রহণকরাকালীন সংবিধান বা যেকোনো আইন যে অবস্থায় থাকে তার স্বপঠিত শপথের মধ্যে আবদ্ধতার কারণে তার পক্ষে এ অবস্থান হতে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই।

প্রজাতন্ত্র বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনকালে কোনো ব্যক্তির কার্য দ্বারা কোনো নাগরিক সংক্ষুব্ধ হলে তার সমফলপ্রদ প্রতিকার না থেকে থাকলে রিটের মাধ্যমে প্রতিকার চাইতে পারেন। এরূপ প্রতিকার প্রার্থনার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের আইন প্রণয়ন কার্য ব্যক্তিকে আকৃষ্ট করে কি-না তা বিচার বিশ্লেষণের দাবি রাখে।

সংসদ কর্তৃক আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে কোনো বিল সংসদে উত্থাপন, এর ওপর আলোচনা এবং সংসদ কর্তৃক এটি অনুমোদন সামগ্রিক প্রক্রিয়াটি সংসদের কার্যধারা। সংসদের এ কার্যধারার বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ সাংবিধানিকভাবে বারিত। আইন প্রণয়ন বিষয়ক সংসদের কার্যধারা যখন সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হয় রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ব্যতিরেকে এটি আইনে পরিণত না হলেও সংসদ কর্তৃক অনুমোদন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি সম্মতি দান করুন বা না-করুন তা আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা দেয় না। রাষ্ট্রপতির সম্মতি প্রদান বা না-প্রদান নিছক আনুষ্ঠানিকতা বিধায় আইন প্রণয়ন বিষয়ে মুখ্য হলো সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক আইনটি অনুমোদিত হয়েছে কি-না। অনুমোদনের সামগ্রিক প্রক্রিয়া সংসদের কার্যধারা হওয়ায় রিটের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বৈধতাবিষয়ক শুনানি গ্রহণের মাধ্যমে তা বাতিলকরণ অনুচ্ছেদ৭৮(১) এ বর্ণিত বিধানের হানি ঘটায় কি-না তা দেখার বিষয়।

আগে উল্লেখ করা হয়েছে সংবিধানের সাথে অসামঞ্জস্য আইন বাতিল বলে গণ্য হবে মর্মে সংবিধানে উল্লেখ থাকলেও আদালত ও পদ্ধতির বিষয়টি অনুল্লিখিত। সমভাবে সংবিধানের কোথাও কোনো আদালতকে কোনো আইন পুনর্বহালের ক্ষমতা দেয়া হয়নি। অনেকের দাবি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে অনুচ্ছেদ ১০৪-এর আওতায় ওই বিভাগের বিচারাধীন মামলার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ওই ক্ষমতাবলে পুনর্বহালের আদেশ দেয়া হলে তা আইনানুগ নয় এমন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। দেওয়ানি আদালতগুলো দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫১ ধারা এবং সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি বেঞ্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১এ ধারার অধীন যে অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে তা কেবল সুনির্দিষ্ট বিধান বা বিধি-নিষেধের অনুপস্থিতিতে অনুমোদিত।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অন্তর্নিহিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চাইলে সে ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট বিধান বা বিধি-নিষেধ থাকলে তা বোধকরি অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টের ধারা ৬ উপধারা (১) প্রাসঙ্গিক। ওই উপধারায় বলা হয়েছে- বাতিল কার্যকরকালীন কোনো কিছু অকার্যকর বা অস্তিত্ববিহীন থাকলে বাতিল আদেশ দ্বারা তা পুনর্জীবিত করা যায় না। স্পষ্টত আপিল বিভাগ কর্তৃক ষোড়শ সংশোধনী বাতিলকালে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা সংবিধানে অকার্যকর বা অস্তিত্ববিহীন অবস্থায় ছিল। এমতাবস্থায় বাতিল ও এর পরিণতি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের উপস্থিতিতে সংবিধানের ১০৪ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পুনর্বহাল আদেশ দেয়ার যৌক্তিকতা বিতর্কের ঊর্ধ্বে নয়। উল্লেখ্য, সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন হলেও সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট অপরাপর আইনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযোজ্য সংবিধানের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। তা ছাড়া পঞ্চম সংশোধনী বাতিল বিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়েছে একটি বাতিল বিধানকে আদালত কর্তৃক বৈধতা বা সিদ্ধতা দেয়া যায় না।

সংবিধান সংশোধন বিষয়ে বর্তমানে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২ এ যে ক্ষমতা দেয়া আছে তাতে উল্লেখ রয়েছে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে অনুমোদিত হলে সংবিধানের যেকোনো বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের মাধ্যমে সংশোধিত হতে পারবে।
সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নব সন্নিবেশিত অনুচ্ছেদ ৭খ-এ শর্তারোপ করে অনুচ্ছেদ ১৪২-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশোধনযোগ্য কতিপয় অনুচ্ছেদকে সংশোধন অযোগ্য করা হয়েছে। এ অনুচ্ছেদগুলো হলো প্রস্তাবনাসহ প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাগের সব অনুচ্ছেদ এবং একাদশ ভাগের ১৫০ অনুচ্ছেদসহ সংবিধানের অন্যান্য মৌলিক কাঠামো সংক্রান্ত অনুচ্ছেদসমূহ।

সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত এবং পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাতিলকৃত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো হিসেবে দেখা হলে সপ্তম ভাগে অন্তর্ভুক্ত সব অনুচ্ছেদই মৌলিক কাঠামো হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য। এরূপ বিবেচনা অনুমোদিত হলে এ ভাগে অন্তর্ভুক্ত সব অনুচ্ছেদই সংশোধন অযোগ্য। এ বাস্তবতায় বাংলাদেশের জনমানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির কারণে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স বৃদ্ধির আবশ্যকতা দেখা দিলে সে পথটি যেমন রুদ্ধ অনুরূপভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অবসরের বয়স ৬২ হতে ৬৫ এবং ৬৫ হতে ৬৭ তে বৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ।

সংসদের সার্বভৌমত্বের বিষয়টি পৃথিবীব্যাপী স্বীকৃত এবং পৃথিবীর কোনো দেশে এটি বিতর্কিত নয়। সংসদ জনগণের সমার্থক, পরিপূরক নয়। সংসদ সরাসরি জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে। দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান সংসদের সৃষ্টি। সৃষ্টি কখনো স্রষ্টার চেয়ে বড় হতে পারে না।

দেশের সর্বোচ্চ পদধারী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা সংসদের কাছে দায়বদ্ধ। উচ্চাদালতের বিচারকদের ক্ষেত্রে সংসদীয় অপসারণ ব্যবস্থা বা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল প্রথা যেটিই কার্যকর থাকুক না কেন তারা সংসদ বা সংবিধান কোনোটিরই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নিজ বিবেক ও সৃষ্টিকর্তার কাছে জবাবদিহি এমন দাবি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত।

আমাদের সংবিধানে সাংবিধানিক আদালত বা সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের বিধান না থাকায় সংসদ প্রণীত আইন বাতিল বিষয়ে আপত্তি উত্থাপিত হলে তা নিরসনে উল্লিখিত জটিলতার কারণে বিপত্তির উদ্ভব হয়। এরূপ বিপত্তি নিরসন করে ভবিষ্যতে এ সমস্যাটির সুরাহায় পৃথক এখতিয়ার সম্পন্ন সাংবিধানিক আদালত বা বেঞ্চ প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি। এর পাশাপাশি সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদের অনুবলে রাজধানী শহরের বাইরে একাধিক জেলা শহরে হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ স্থাপন এবং ৪৪(২) অনুচ্ছেদের অনুবলে জেলা জজ আদালতগুলোকে নিজ নিজ এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে ১০২ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতার হানি না ঘটিয়ে এর সব বা যেকোনো ক্ষমতা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া জরুরি।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭ ফিট তামিমকে যেকোনো ফরম্যাটের দলে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক বিকেবি ও রাকাব একীভূতকরণের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন অপহৃত চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার রামেক আইসিইউতে, গ্রেফতার ২ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটার মান্দায় বিদ্যুৎপৃষ্টে দর্জি ব্যবসায়ীর মৃত্যু সমর্থকদের মাতামাতি করতে মানা করলেন শান্ত বান্দরবানের কেউক্রাডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনীর অভিযান : আটক ৮, অস্ত্র উদ্ধার স্বাধীনতা সূচকে ১৬৪টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম নাটোর পৌরসভা কার্যালয়ের ভিতরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত কাঁঠালিয়ায় মাঠে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরে মৃত্যু

সকল