২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বিএনপি কী পেল, কী হারাল

- ফাইল ছবি

হালআমলের গরম খবর হলো- বিএনপি দলীয় সাত এমপি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের পদত্যাগপত্র তৎক্ষণাৎ গৃহীত হয়েছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের মুখপাত্রদের খেদোক্তি হলো- বিএনপি চরম ভুল করল। যাও ছিটেফোঁটা ছিল তাও হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেল। ওদিকে বিএনপির পরিত্যাজ্য সংসদীয় আসনের দখল পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের করুণাপ্রার্থী হয়ে জাতীয় পার্টি তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জোর গুজব চলছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আলোচিত-সমালোচিত দেবর-ভাবী-পুত্র অর্থাৎ বেগম রওশন এরশাদ, জি এম কাদের ও এরশাদের পুত্র হিসেবে প্রচারিত সাদের সাক্ষাতের ছবি পত্রিকায় আসার পর একদল বলেছে, ওরা বিএনপির পরিত্যক্ত আসনগুলো লাভের জন্য ওখানে গেছে। আবার কেউ বলছে, দলীয় বিরোধ ও দেবর-ভাবীর দ্ব›দ্ব নিরসনে শেখ হাসিনার হুকুম শোনার জন্য তাদের হাজির করানো হয়েছিল।

উল্লিখিত গরম খবরের বাইরে মন খারাপ করা সংবাদ হলো, বাংলাদেশের দু’জন প্রবীণ জাতীয় নেতাকে রাত ৩টার সময় যেভাবে বাসা থেকে তুলে এনে সারা দিন সারাক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানসিক নিপীড়ন যা কি না তাদের প্রবীণ শরীরে যথেষ্ট যন্ত্রণার কারণ হয়েছে এবং তাদের সর্বাংশে বিপর্যস্ত করে ফেলেছে সেই দৃশ্য পত্রপত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর বিবেকবান নারী-পুরুষ যারপরনাই বেদনাহত হয়েছেন। পরবর্তী দিন সন্ধ্যায় তাদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে তোলা ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর দৃশ্য ছিল আরো মর্মান্তিক। মানুষের বিবেক-বিবেচনা-ভদ্রতা-সৌজন্য বোধ ক্যান্সার আক্রান্ত হলে কিংবা ওগুলোর দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে কিংবা পুঁজরক্তজনিত কুষ্ঠ রোগ যখন মানুষের চিন্তা-চেতনাকে আক্রমণ করে তখন যে অশ্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয় ঠিক তদ্রুপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গুমড়ে কেঁদেছে দেশের শান্তিকামী মানুষ।

মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের গ্রেফতার-হেনস্তা-কারাগারে তাদের প্রাপ্য সম্মান না দিয়ে সাধারণ বন্দীদের সাথে রাখার খবরের পাশাপাশি তাদের বন্দী জীবনের প্রাপ্য আদায়ের জন্য এই সম্মানিত মির্জার পরিবারের হাইকোর্টে গমন দেশের ইতিহাসে নতুন এক কালো অধ্যায় সংযোজিত করল।

জামায়াতের আমির বয়োবৃদ্ধ ডা: শফিকুর রহমানের গ্রেফতার ও গ্রেফতারের কারণ সম্পর্কে হর্তাকর্তাদের বিবৃতি দেশের সাধারণ মানুষকে বেদনাহত করেছে। এই গ্রেফতারের মাধ্যমে জনগণ নতুন করে জানতে পারল, কিছু দিন আগে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আমিরে জামায়াতের পুত্র যিনি পেশায় একজন ডাক্তার, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন হর্তাকর্তাদের বক্তব্য হলো- আমিরে জামায়াত ও তার ডাক্তার পুত্র যৌথভাবে দেশে কী কী জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছেন এবং অনাগত দিনে চালাবেন তা জানার জন্যই ডাক্তার শফিককে গ্রেফতার করা জরুরি ছিল।

দেশের অভ্যন্তরের গরম খবর ও মন খারাপ করা খবরের পাশাপাশি দেশের বাইরেও অনেক গরম খবর পরিবেশিত হয়েছে। একই সাথে মন খারাপ করার মতো অনেক দুঃসংবাদ রয়েছে যা কি না আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ঘটেছে বাংলাদেশের হালআমলের রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে। গরম খবরগুলোর মধ্যে- বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের জনসভা নিয়ে আন্তর্জাতিক সব প্রধান পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে যে প্রতিবেদন, সম্পাদকীয় এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে ইতঃপূর্বে ঘটেনি। সানডে টাইমস, নিউইয়র্ক টাইমস, হিন্দুস্তান টাইমস প্রভৃতি দুনিয়া কাঁপানো পত্রিকাগুলোর প্রধান শিরোনাম ছিল বিএনপির জনসভা। আলজাজিরা, বিবিসি লন্ডন, সিএনএন, ফক্স নিউজসহ ভারত-পাকিস্তান-তুরস্ক ও ইউরোপের প্রধান প্রধান টেলিভিশনে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে যে খবর প্রচারিত হয়েছে তাতে অনেকের উলঙ্গপনা-বেহায়াপনা-নিষ্ঠুরতা-আদিম বর্বরতা ও বিকৃত রুচির নয়া দলিল রচিত হয়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজপথের বিরোধী দলের লড়াই-সংগ্রাম ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার খবরের পাশাপাশি আইএমএফ ও মার্কিন সংস্থা মুডিসের প্রতিবেদন দেশবাসীর জন্য যথেষ্ট উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। দেশের টলটলায়মান অর্থনীতির জন্য আইএমএফের ঋণ যখন অনিবার্য এবং সংস্থাটি যখন ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছিল, তখন এই সংস্থার পক্ষ থেকে নতুন খবর হলো- সংস্থাটি বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার (চড়ষষঃরপধষ ঈড়সরঃসবহঃ) সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে এবং ঋণের শর্ত হিসেবে তা অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে। ঘটনা যদি সত্যই এরূপ হয় তবে আওয়ামী লীগের অনাগত দিনগুলো কেমন যাবে এবং বিএনপির ভবিষ্যৎ কেমন হবে তা সহজেই অনুমানযোগ্য।

আইএমএফ ছাড়াও মুডিস নামে একটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান যারা কি না সারা দুনিয়ার ব্যাংকগুলোর মান নির্ণয় করে থাকে, তারা সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক সম্পর্কে তাদের পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে সেখানে ব্যাংকগুলোর সার্বিক গ্রেডিং নামিয়ে দেয়া হয়েছে যা কেবল সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নয়- পুরো ব্যাংকিং ব্যবস্থার জন্য নিদারুণ দুঃসংবাদ। অর্থনৈতিক খারাপ খবরের পাশাপাশি আরো যেসব খারাপ খবর আমাদের অনাগত দিনের জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় ইমেজ তথা ভাবমর্যাদার সঙ্কট সৃষ্টি করবে সেগুলো হলো, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা নিয়ে জাতিসঙ্ঘের সদর দফতর ও বাংলাদেশস্থ অফিস যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা নজিরবিহীন। একইভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউজ ও ঢাকার লালকেল্লা খ্যাত মার্কিন দূতাবাস যে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তা মূল্যায়ন করলে আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।

১০ ডিসেম্বর একটি বিস্ময়কর সফল সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির দীর্ঘ দিনের ডর-ভয় কেটে গেছে। তারা যেভাবে রাজপথে সক্রিয় হচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের বিএনপি অফিসগুলোতে জড়ো হচ্ছে তা রীতিমতো নজিরবিহীন ঘটনা। আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় দুঃসবাদ হলো, তারা দাওয়াত দিয়েও মিত্রদের আনতে পারছে না। কেউ যদি তাদের দাওয়াত রক্ষা করে উপস্থিত হন তবে প্রথমেই খোটা দিতে আরম্ভ করেন যে, কেবল বিপদে পড়লেই আমাদেরকে ডাকেন অন্য সময় তো খোঁজও নেন না। এ ধরনের সরাসরি টিটকারি সহ্য করার পরও সরকারি দল বন্ধু খুঁজে পাচ্ছে না। উল্টো অনেকের সাথে নতুন করে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের বর্তমান চালচিত্রের বিপরীতে যদি বিএনপির হালহকিকত মূল্যায়ন করি তবে দেখব, কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়া মির্জা ফখরুল-মির্জা আব্বাসরা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় হয়েছেন। তাদের কর্মকাণ্ড, কথাবার্তা ও আচরণে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সাহস, শক্তি, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব ও কৌশল অর্জন করেছেন। প্রবাসে থাকা তারেক রহমান ক্রমেই আত্মবিশ্বাসী, দক্ষ, পরিপক্ব ও ঝানু রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন যা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মী দেশ-জাতিকে বুঝিয়ে দিয়েছে।

বিএনপির দীর্ঘদিনের শরিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে দূরত্ব ছিল তা হালআমলে দূর হয়ে গেছে। জামায়াত প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে, তারা রাজপথে আশির দশকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যেরূপ ভূমিকা রেখেছিল তদ্রুপ জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েই ঘোষণা দিয়েছে। দলের আমির গ্রেফতার হওয়ার পর তাদের সাহস আরো বেড়ে গেছে। যেমনটি বেড়ে গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। বিএনপির এক সময়ের শীর্ষ নেতা ও বর্তমানের এলডিপির প্রধান কর্নেল অলি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তা এখন ভাইরাল আকারে সামাজিকমাধ্যম কাঁপাচ্ছে।

আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চও রাস্তায় নেমে পড়েছে বিএনপির পক্ষে। পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের এতটা প্রতিকূলে চলে গেছে যে, ডা: বি চৌধুরীও বিএনপি অফিসে পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন! সমাজের বুদ্ধিজীবী, দেশী-বিদেশী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ছাড়াও বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলগুলো ও বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে।

দেশের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখে চলেছেন বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা। তারা যেভাবে গণতন্ত্রের পক্ষে তৎপরতা চালাচ্ছেন তাতে করে আওয়ামী লীগ ক্রমেই অশ্বস্তিকর অবস্থার দিকে এগুচ্ছে। আওয়ামী সরকার সর্বশক্তি দিয়ে কূটনীতিবিদদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে ফলাফল উল্টো হচ্ছে। হুমকি ধামকি সমালোচনা করেও রাষ্ট্রদূতদের থামানো যাচ্ছে না। আবার বিএনপির লোকজন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে যেভাবে দেখা সাক্ষাৎ করে কথাবার্তা বলেন সেরকম চেষ্টা তদবির করেও আওয়ামী লীগের কোনো লাভ হচ্ছে না, বরং কোনো রাষ্ট্রদূতের বাসা বা অফিসে আওয়ামী লীগের লোকজন দেখা করতে গেলে তা পত্রিকার শিরোনাম হয় এবং বেশির ভাগ মানুষ দাঁত বের করে কিলবিলিয়ে হেসে গড়াগড়ি দেয়ার চেষ্টা করে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিএনপি যে কৌশলের জাল পেতেছে তাতে আওয়ামী লীগ ক্রমে ধরা খাচ্ছে। অধিকন্তু বিএনপি যেভাবে চাচ্ছে ঠিক সেভাবে আওয়ামী লীগ উত্তেজিত হচ্ছে এবং বিএনপির প্রতিটি ক্রিয়াকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। সময় যখন আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিল তখন আওয়ামী লীগ ক্রিয়া করত এবং বিএনপি প্রতিক্রিয়া দেখাত। সময়ের বিবর্তনে এবং প্রকৃতির লীলাখেলায় এখন সবকিছু বুমেরাং হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের চুরি-চামারির ইতিহাস অনেক লম্বা। কলা-কচু-ডিম-মুরগি-কঙ্কাল থেকে শুরু করে পশুপাখির বিষ্ঠা নাড়ি ভূঁড়ি চুরির বদনামের সঙ্গে নতুন করে খিচুরি চোর পানি চোর বিশেষণ যেভাবে যুক্ত হলো তা বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ না হলে আদৌ হতো কি না তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। শিরোনাম প্রসঙ্গে শুধু একটি কথা বলব, আর তা হলো, বিএনপি জনগণের ভালোবাসা পেয়ে গেছে এবং তাদের কাজ কর্ম সম্পর্কে মানুষের যে অতীত ক্ষোভ ছিল তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। আর হারানোর কথা যদি বলতে হয়, তবে বলা যায়, বিএনপি নিদারুণভাবে হারিয়েছে- রাজনীতির ময়দানে আওয়ামী লীগকে নিদারুণভাবে হারিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে গত প্রায় ১৭ বছর ধরে অর্থাৎ সেই ওয়ান-ইলেভেন থেকে ১০ ডিসেম্বর ২০২২ সাল অবধি তাদের যে হীনম্মন্যতা ছিল তা হারিয়েছে। দৃষ্টিসহ যন্ত্রণাসহ স্মৃতিগুলোও হারিয়েছে এবং ফিনিক্স পাখির মতো নতুন জীবন এবং নতুন পালক নিয়ে রাজনীতির ময়দানে গণতন্ত্রের ঝংকার তুলে চলছে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল