২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ইবনে আরাবির ইনসানে কামিল : প্রেক্ষিত শাসক ও তারুণ্য

লেখক : ইবনে আরাবির - ফাইল ছবি

ইবনে আরাবি; মুহিউদ্দিন আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবন আলি ইবন মুহাম্মদ ইবন আল আরাবি (১১৬৫-১২৪০) আর তার অন্যতম প্রধান গ্রন্থ ফুসুস আল হিকাম নানা বিচারে সমার্থক। এখানে তার শিক্ষা ও চিন্তার সারসংক্ষেপ রয়েছে। এ গ্রন্থে ইনসানে কামিল বা পূর্ণ মানুষের যে চিত্র ও চেহারা অঙ্কিত, ইবনে আরাবির মুগ্ধ অনুরাগীরা সেই চিত্র ও চেহারা দেখেন ইবনে আরাবির মধ্যেও। শায়খুল আকবার বা প্রধান গুরু অভিধার সাথে রয়েছে এ প্রতীতির গভীর যোগসূত্র। কিন্তু প্রকৃত ইনসানে কামিল বা পরিপূর্ণ মানুষ ছিলেন হজরত মুহাম্মদ সা:। ইবনে আরাবি দেখান, তাঁরই আলোকে অন্যদের আলোকিত হতে হয়, যারা চান পূর্ণতাকে স্পর্শ করবেন। ৫৯৮ হিজরিতে ( ১২০২ সালে) স্পেনের সেভিলে তার বিখ্যাত বই ‘ফুতুহাত আল-মক্কিয়া’ লেখা শুরু করেন। এ গ্রন্থ তাকে দেয় বিপুল প্রশংসা ও নিন্দা। এরপর ৬২৭ হিজরিতে (১২২৯ সাল) ইবনে আরাবি রচনা করেন তাৎপর্যময় বই ‘ফুসুস আল হিকাম।’ যার রচনায় আছে প্রজ্ঞা ও সংজ্ঞা। আরো উপরের ইলহাম বা অন্তরালোকময় অপার্থিব প্রেরণা। এর তত্ত্ব তিনি লাভ করেন স্বপ্নে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা:-এর নির্দেশনায়। ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত এ গ্রন্থের সবচেয়ে বিস্তৃত অবতারণা হচ্ছে ইনসানে কামিল ও পূর্ণ মানবদর্শন। ইবনে আরাবির দার্শনিক খ্যাতির পেছনে এই তত্ত্বের ভূমিকা প্রগাঢ়।

ইবনে আরাবির কামিল মানুষ সদগুণ থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না, মন্দ স্বভাবের অভিযোগে মলিন হতে পারেন না। এটি মানবিক উন্নয়নের এক পর্যায়, যেখানে নিতান্তই স্বল্প সংখ্যক লোক যেতে পারেন। এখানে কেউ পৌঁছে গেলে মানুষের চেয়ে অধিক মাত্রায় তার মানসিক ও চারিত্রিক সাদৃশ্য থাকে ফেরেশতাদের সাথে। কারণ মানুষের চার পাশে আছে দোষ-ত্রুটির জঞ্জাল। তার স্বভাবেই নিহিত আছে পাপের গভীর খাদ ও ফাঁদ। এসব থেকে পরিত্রাণ নিশ্চিত করে ত্রুটি থেকে নিজের সুরক্ষা আর সব প্রকার মহত্ব ও গুণাবলি ধারণ করা সহজ কর্ম নয়। মানুষের আত্মউন্নয়নের দুর্গম এই চূড়ায় উপনীত হওয়া জটিলতম যাত্রা। এতে ব্যর্থদের সংখ্যা বিপুল, সফলতার নজির বিরল। কিন্তু এ দুর্লভ যতই সুদূরের হোক, এটি অর্জন করা অসম্ভব নয়। কঠিনতম এই স্তর মানবীয় বিকাশের শেষ পর্যায় এবং তার শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ মার্গ। যখন কারো প্রকৃত ইচ্ছা থাকে এবং সে যথোচিত সাধনায় নিমজ্জিত হয়ে ক্রমেই অগ্রসর হয় কেউ, তখন সে নিজেকে অগ্রগতির ধারায় দেখতে থাকে। পথের পরিক্রমায় সে পৌঁছাতে পারে সেই স্তরে, যা তার চূড়ান্ত পরিপূর্ণতা। এর মধ্য দিয়ে সে অর্জন করে সেই লক্ষ্যকে, যা তার স্বভাবের মেরাজ।

ইবনে আরাবির ইনসানে কামিল বহুগুণের মোহনা। তিনি পূর্ণমাত্রায় সচেতন থাকেন চরিত্র ও নৈতিকতার প্রশ্নে। তিনি অবগত থাকেন দোষ-ত্রুটি সম্পর্কে। নিজের ভেতরে চলে তার তীব্র প্রখর পাহারাদারি। সেখানে প্রবেশ করতে দেন না কোনো দোষ ও দুর্বলতা।

সব শ্রেষ্ঠত্বকেই নিজের মধ্যে কামনা করেন তিনি। তার চেষ্টা আপন সম্ভাবনার সব বিকাশ। তিনি আরোহণ করতে চান আত্মউন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে। যা কিছু উন্নততর, তারা থাকে তার চোখের সামনে। যা কিছু পূর্ণ ও পূর্ণতার অবলম্বন, সেসব কামাল বা পূর্ণতার প্রতিচ্ছবি হন তিনি। তার সুখ উন্নত গুণে, চরিত্রে, মহিমার অনুশীলনে। খারাপ অভ্যাসগুলো তিনি চেনেন, পরিহার করেন তাদের। তার নিরন্তর সাধনা সদাচারে আরো অধিক শিষ্ট হবার, কল্যাণে আরো অধিক দীপ্ত হবার, সভ্যতায় আরো বেশি বিকশিত হবার। তিনি তার গুণগুলোকে দেখেন নিতান্তই নগণ্য হিসেবে এবং তার দোষগুলোকে মনে করেন অনেক বড়। সর্বোচ্চ মর্যাদা অর্জন করেও নিজের মধ্যে দেখেন তুচ্ছতা, থাকেন বিনীত। আপন পূর্ণতার চূড়ান্তকেও তিনি মনে করেন নগণ্য। বিকাশের তুরীয় চূড়াকে এবং কামালের স্তরকে নিজের একটি সামান্য গুণ বলে মনে করেন।

পূর্ণতার সেই মার্গে কিভাবে উপনীত হবে মানুষ? ইবনে আরাবি জানাচ্ছেন তার ধাপগুলো। এর মধ্যে লক্ষ্যণীয় কিছু দিক হলো-
এক. কামালের অন্বেষী যদি সাধারণ কেউ হন, তবে তার সব মনোবল হাকিকত বা সত্য-যথার্থ্যরে অধ্যয়নে ব্যয় করা উচিত। তার উচিত অস্তিত্বনিচয়ের প্রকৃতি সম্পর্কে অবহিত হওয়াকে নিজের মূল লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা এবং সেগুলোর কারণ এবং উৎস সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করা। ইবনে আরাবির দুনিয়ার সাধারণ মানুষও ভাবনা-অনুধ্যান থেকে দূরে থাকতে পারে না। তাদের নিজেদের মনোযোগ জমিয়ে রাখতে হয় অস্তিত্বজগত ও বস্তুরাজির শেষ পরিণতির দিকে। জ্ঞানের পথে তাদের স্থবিরতাকে কবুল করেন না আরাবি। কখনো যদি জ্ঞানের কোনো সীমায় তারা কিঞ্চিৎ থেমে যায়, তবুও তাদের দৃষ্টিকে সম্মুখে ধাবিত করার পরামর্শ দেন তিনি। তাদের ব্যস্ততার কেন্দ্রে থাকবে চরিত্র; আখলাক, উন্নত নৈতিকতা-মানবিক গুণাবলি। দিন-রাতের যাপনে তাদের মনোযোগের মূলে যেন থাকে দুই জিনিস। সেটা হচ্ছে আখলাক ও আদব; নৈতিকতা ও শিষ্টাচার। এ বিষয়ক বই-পুস্তক তাদের পড়তে হবে। নির্বাচিত মনীষীদের জীবনী অধ্যয়ন করবে। তারা নিজেদের চালিত করবে আহলে ফজল বা মহিমাসম্পন্ন মানুষের পথে, তারা যে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন, এর অনুবর্তিতা করবে। তারা অনুপ্রেরণা নেবে হুকামায়ে মুতাকাদ্দিমীন তথা প্রাচীন প্রজ্ঞাবানদের থেকে। তারা যাতে অভ্যস্ত হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে মগ্ন রাখবে আপন চিত্তকে। নির্দিষ্ট পরিমাণে প্রকাশশৈলী, বয়ান-বালাগাত তথা সাহিত্য-অলঙ্কার সম্পর্কে অবহিত হবে। অল্প-বিস্তর বক্তৃতা দেবে এবং বিশুদ্ধ আলোকপাতের দক্ষতাও লাভ করবে। সর্বদা বিজ্ঞ অভিজ্ঞ উলামা-মনীষার মজলিসে বসবে এবং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও সজ্জন সাধকদের সাথে যোগাযোগ রাখবে।

ইবনে আরাবির শাসকদের হতে হবে অধিকতরো উন্নত মানুষ। তাদের বিকাশ নিহিত আছে পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিক প্রয়াসে। শাসক ও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা যদি পূর্ণতার তালাশ করেন, ইবনে আরাবি তাদের এ পথে একাকী সফরের চেয়ে সবাইকে নিয়ে যাত্রা করার পথ দেখান। তিনি বলেন, পূর্ণতাকামী শাসকদেরকে এমন সহচর, উপদেষ্টা, কর্মচারী ও নিকটজন খুঁজে নিতে হবে, সততা ও ধার্মিকতায় যারা সুপরিচিত, শিষ্টাচার ও আত্মমর্যাদার গুণে যারা গুণান্বিত, জ্ঞান ও শাস্ত্রীয় প্রাজ্ঞতায় যারা ধারণ করেন একটি বিশিষ্ট অবস্থান এবং উপলব্ধি ও অন্তর্দৃষ্টিতে যারা হবেন সুবিদিত। ইবনে আরাবির শাসকরা অন্তরালোকিত-বিশেষজ্ঞ-বুদ্ধিজীবী; আলেমদের থেকে দূরে থাকবেন না। তাদের কাছে পেতে হবে। শাসকদের এর যোগ্য হতে হবে। তাদের সংশ্রব অর্জন এবং ভালোবাসা বৃদ্ধির চেষ্টা করতে হবে শাসকদের। চিত্তানন্দ ও বিনোদনের জন্য গঠনমূলক পথ অবলম্বন করতে হবে। সেখানেও থাকবেন বিশেষজ্ঞরা। জ্ঞানের বিচিত্র শাখা ও শাস্ত্র, রাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা, দেশের আইন ও বিধিবিধান, শাসক ও বিচারকদের অবস্থা এবং তাদের নৈতিকতা, বিখ্যাত প্রশাসক ও প্রশাসনের ইতিহাস এবং তাদের আদত-অভ্যাস সম্পর্কে জ্ঞানপ্রাজ্ঞ আলোকপাত জারি থাকবে। সেটা করবেন যার যার বিষয়ে উচ্চতর প্রাজ্ঞজন। শাসকদের তা শুনতে হবে। তা থেকে শিখতে হবে।

দুই. সততা ও সত্যতার মানুষদের অগ্রবর্তী দল হলেন যারা কামাল বা পূর্ণতা অর্জন করেছেন এবং যারা তা অর্জনের সাধনায় আছেন। এই পূর্ণতার পথকে যারা জানতে চায় আর এ পথে যারা কদম রাখতে চায়, তাদের বিনোদন শক্ত নিয়মের ভেতরে থাকা উচিত। ইবনে আরাবি এ জন্য পোক্ত বিধানের প্রস্তাব করেন। যার অনুশাসনে চিত্তবিনোদনেও কামালের স্তরে থাকা যায় এবং শৈথিল্য বা অতিরঞ্জন বা অহেতুক কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচা যাবে। পূর্ণতার যাত্রীদের তাই এমন পরিমিত আকাক্সক্ষা ও বিনোদন গ্রহণ করবে, যা চরিত্রগতভাবে পছন্দনীয় এবং যা সম্পন্ন হবে উত্তম উপায়ে। পূর্ণতার পথিকদের জন্য জরুরি হলো, তারা নিজেদের নিজেরাই অভ্যস্ত করে তুলবে এর উপর। নিজেদের স্বভাবকে ধাবিত করবে সেপথে। এখানে ভান করার সুযোগ নেই। তাকাল্লুফ বা কৃত্রিম ভানকারীরা এ পথের পথিক নয়। তাদের থেকে বরং দূরে থাকা উচিত। এ পথের যাত্রীদের উচিত সেই সব মানুষের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেওয়া, যারা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। তাদের সাথে সাক্ষাতের ধারাবাহিকতা বন্ধ করতে হবে। তারা যেন নিজেদের বুঝায় যে, প্রবৃত্তি ও লালসা, একটি গৃহপালিত শত্রু, যে লাগামহীন। সে যুদ্ধপ্রিয় প্রতিপক্ষ। সব সময় সে ব্যথা, বেদনা ও ক্ষতির জন্য কাজ করছে। সর্বদা সে কষ্ট দিতে প্রস্তুত থাকে। সে ইজ্জত-সম্মান নষ্ট করে। অপদস্থ ও হেয় করে। সুতরাং পূর্ণতার পথের অভিযাত্রীকে হতে হবে প্রবৃত্তি ও স্বেচ্ছাচারী বাসনার শত্রু। তার মোকাবিলায় অবতীর্ণ হবে। তাকে চূর্ণবিচূর্ণ করতে হবে। তার তীব্রতাকে নিস্তেজ করে ধীরে ধীরে উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে হবে। যখন এই নিয়ন্ত্রণ হবে স্থায়ী বাস্তবতা, অভ্যাস মুক্ত হবে প্রবৃত্তির দাসত্ব থেকে এবং স্বভাব হবে নিয়ন্ত্রিত-পবিত্র, তখন নফসানি খাহেশ বা প্রবৃত্তিগত চাহিদা দাসত্ব মেনে নেবে কল্যাণী সত্তার। নিষ্কলুষতার অধীনে বসবাস করতে সে প্রস্তুত হবে।

ইবনে আরাবি তাই সাবধান করে দিচ্ছেন, যদি প্রবৃত্তি ও বাসনার ওপর নিয়ন্ত্রণের লাগাম শিথিল করে দেয়া হয়, তার মনোকামনা পূর্ণ হতে দেয়া হয়, এর সংশোধন এবং রক্ষণাবেক্ষণে উদাসীনতা দেখানো হয়, তাহলে এর স্বৈরাচার হবে অনিয়ন্ত্রিত। এভাবে মানুষ তার উচ্চ উদ্দেশ্য থেকে বিমুখ থাকবে এবং তার মধ্যে পূর্ণতায় পৌঁছানোর আকাঙ্ক্ষার অপমৃত্যু ঘটবে।

তিন. পূর্ণতা-অন্বেষীর এটাও বুঝে নেয়া উচিত যে, যতক্ষণ সে বিলাসিতা ভালোবাসে এবং বস্তুগত লালসার দাস থাকে, ততক্ষণ সে তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না। প্রভাবশালী, আমলা, জনপ্রতিনিধি ও শাসনকর্মে নিয়োজিতদের জন্য এই পরিস্থিতি এক ভয়াবহ মৃত্যুউপত্যকা। কারণ মনের মন্দ আকাক্সক্ষার উসকানি বাস্তবায়নের ক্ষমতা তাদের বেশি। প্রবৃত্তির আয়োজনগুলো তাদের দৃষ্টিসীমা ও নাগালের কাছেই থাকে। এর অব্যাহত অনুশীলন তাদের অভ্যাসে ঢুকে পড়ে। ফলে এসব থেকে বেঁচে থাকা তাদের পক্ষে আরো কঠিন এবং এড়ানো অসম্ভব মনে হয়। বিশেষ করে সেই সব তরুণদের জন্য, যারা প্রাচুর্যের মাঝে লালিত পালিত হয়েছে। তারা যদি উন্নত জীবন ও পূর্ণতার আলোয় দীপ্ত না হয়, তাহলে তো কামাল বা পূর্ণতার অভিযাত্রা এগুবে না। সমাজ আরো ধ্বংস হবে। এ জায়গায় রয়েছে আশার আলো। কারণ ইবনে আরাবির বিচারে তরুণ মাত্রই সম্ভাবনা। তার মতে, তরুণরা যেভাবে ভোগ-আনন্দে অভ্যস্ত এবং ইচ্ছেপূজার মধ্যে লিপ্ত হতে সক্ষম, তেমনি তাদের মনোবল হয় উচ্চ এবং উদ্যম হয় তাজা ও সমুন্নত। যখন তারা আলোর আহ্বানে উদ্বোধিত হবে এবং মানবীয় পূর্ণতার উচ্চতায় আরোহণ এবং বাস্তব কর্মধারা ও সাধনার দিকে অগ্রসর হতে চাইবে, তখন তারা প্রভাবের বিচারে শাসক, আমলা, সামন্তপ্রভুর মতো প্রতিপত্তিশীল কিংবা ভ্রষ্ট যে কোনো গোষ্ঠীর চেয়ে হয়ে ওঠে শক্তিমান ও প্রভাবশালী। অসুস্থ বাস্তবতার মধ্যে তারা হয়ে উঠতে পারে শাসক ও প্রজাদের অন্য অংশের তুলনায় পূর্ণতার পথে অধিক উদ্যমী, অগ্রসর ও নিবেদিত। তারা বিদ্যমান ব্যবস্থার গোড়ায় আঘাত হেনে পরিবর্তন আনতে পারে। এর ফলে লালসার দাসত্ব, ভোগের উন্মাদনা ও ব্যক্তিত্বের বিনাশ থেকে ব্যক্তি ও সমাজের উত্তরণের সাধনায় আরো বেশি এগিয়ে যাবার সম্ভাবনা ক্রমেই প্রশস্ত হতে থাকে।

লেখক : কবি, গবেষক
ই-মেল : 71.alhafij@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement