২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আওয়ামী নেতৃত্ব যা বলছেন

আওয়ামী নেতৃত্ব যা বলছেন - ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিএনপি সরকারের সময়ের দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিরোধীদের ওপর চালানো নৃশংসতার বর্ণনা তুলে ধরতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিদেশীরা জানুক, দেশের বিরুদ্ধে বিদেশে অপপ্রচার চালানো বিএনপির এখন প্রধান কাজ।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেসসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন। (প্রথম আলো, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২)

তার সফর শুরু হয়েছিল রানী এলিজাবেথের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়া উপলক্ষে। সেটি সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে। সাথে নিয়ে গেছেন সাংবাদিক, শিল্পপতি, রাজনৈতিক কর্মী, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ও অনেক অনুগ্রহপ্রাপক। কিন্তু সফরসঙ্গীদের তেমন একটা দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর সাথে। নিউ ইয়র্কের বাঙালিদের আয়োজনে যেসব অনুষ্ঠান বা সমাবেশ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলেছেন, সেগুলো তুলে ধরলে অনেক জায়গার প্রয়োজন পড়বে। তাই সেগুলো বাদ রেখে আমি শুধু ওয়াশিংটন ডিসির বাঙালিদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান নিয়ে কথা বলব। তবে তার সফরসঙ্গীদের কী কী কাজ ছিল তা জানতে অনেকের কৌতূহল রয়েছে। শুধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে দেখা গেল। শিল্পপতি জসীম উদ্দিনেরও কিছু কাজ আছে। বিনিয়োগ বিষয়ে তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের নানান সুযোগ-সুবিধার বর্ণনা দেবেন বা দিয়েছেন, সেটি স্বাভাবিক।

এই যে বিপুল সংখ্যক সফরসঙ্গী শপিং করা ছাড়া আর কী করেছেন, যা দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল? আমি সমালোচনা করছি প্রত্যেক সরকারের এ রকম সফরসঙ্গীদের নিয়ে। সরকারের তহবিল থেকে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে এরকম ভ্রমণ দেশের গণমানুষের কতটুকু লাভ বয়ে আনবে, তা বলার অপেক্ষা করে না। আবার এটিও মনে রাখতে হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার তহবিলে টানাটানির কথাটা আমরা জানতে পেরেছিলাম সরকারপ্রধানের মাধ্যমে। তিনি বিলাসবহুল সামগ্রী আমদানি বন্ধ করে, জরুরি নয় এমন উন্নয়ন প্রকল্প স্থগিত রেখে চলতে বলেছিলেন। তার সেই কথায় তো জাতি বিশ্বাস করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ যখন দেখছে যে, এই সঙ্কটের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় ইভিএম কিনতে আট হাজার কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার এবং লটবহর নিয়ে ভ্রমণ, তখন আমরা হতাশই হয়েছি। আমাদের এ হতাশা দূর করতে কি ওয়াশিংটনে বসবাসরত বাঙালিদের উদ্দেশে উজ্জীবনের তত্ত্ব হিসেবে বিএনপি সরকারের দমন-দলন, নিপীড়ন, দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদি তুলে ধরা!

বিএনপি সরকার ১৯৯১-৯৬ ও ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে যেসব অন্যায় ও রাজনৈতিক উৎপীড়ন করেছে, সেগুলো কি আন্তর্জাতিক সমাজের মনে আছে? না মনে নেই। কিন্তু গত ১৪ বছর ধরে টানা ক্ষমতার দণ্ড হাতে নিয়ে আওয়ামী লীগ যেসব উন্নয়নকর্ম করেছে সেগুলো তাদের মনে থাকার কথা। সেই সাথে সরকারের ১৪ বছরই ক্ষমতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও তাদের মনে থাকার কথা। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, সম্রাট ও অপরাপরের ক্যাসিনো কাহিনী, লুটেরাদের টরন্টোর বেগমপাড়া তৈরি, ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়া, পি কে হালদারের মতো লুটপাট তো আরো বহুই আছে গত ১৪ বছরে। আর পদ্মা সেতুসহ প্রায় সব প্রকল্পে যে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ তা থেকে মানুষের নজর কিভাবে সরানো যাবে?

সরকার মনে করতেই পারে, ওই সব অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের সময়ে যে ডেভেলপমেন্ট হয়েছে তা চোখে দেখার মতো। তারই পাশাপাশি ঢাকার বিআরটি প্রজেক্ট যে ১০ বছরের বুড়ি ছুঁয়ে ১৪ বছরের দিকে যাচ্ছে, সেটিও মনে রাখতে হবে। একটি কথা খুব চালু আছে- ঢিলটা ছুঁড়লে পাটকেল ফিরে আসে। যে ঢিলটি ছোঁড়া হলো, তার বিপরীতে আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে পাটকেল ফিরে আসবে এবং বিএনপির তরফ থেকেও দু’-চারটি পাটকেল আসতে শুরু করেছে। সামনের দিনগুলোতে আরো উত্তাল হয়ে উঠবে তাদের রাজনৈতিক মিটিং-মিছিল।

মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রশ্নে র‌্যাবের কয়েকজনের ওপর মার্কিন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা সম্ভবত খুব সহজ বিষয় নয়। গত ১৪ বছর ধরে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদের কিছু সওয়ালের কোনো জবাব দেয়নি সরকার। এমন কি ওই পরিষদের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্স অব ইনভলেন্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স (ডব্লিউজিইআইডি) বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফর করে প্রকৃত সত্য জানতে আসতে চেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের পারমিশন দেয়নি। খুব ভালো কাজ করেছিলেন তখনকার র‌্যাবপ্রধান, তারপরও মানবাধিকার হরণের অভিযোগ মাথায় নিয়ে আজ পুলিশপ্রধান হিসেবে চাকরি জীবনের ইতি ঘটেছে। সাবেক হওয়ার পর তাকে পুলিশি পাহারা দিয়েছে সরকার। কোন সুকাজের পুরস্কার হিসেবে এ নিরাপত্তা দেয়া হলো তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ আছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বিএনপি তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করবে। তাদের কর্মসূচি অহিংস হলে সমস্যা নেই। তারা এর মধ্যে অনেক কর্মসূচি পালনও করেছে। কিন্তু তারা যেভাবে এখন লাঠি নিয়ে মাঠে নামছে, তাতে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। এটি মেনে নেয়া হবে না। নিশ্চয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি দেখবে। (প্রথম আলো, ১ অক্টোবর ২০২২)

টাঙ্গাইলের এমপি ও কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাকের এসব কথার সহজ মানে হচ্ছে- তিনি ও তারা পুলিশকে বিরোধী দলের মিছিল-মিটিং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দিচ্ছেন। আর দলীয় কর্মীবাহিনী তো আছেই, সেটি তো তারা মুখে বলবেন না। এর মধ্যেই একজনকে আওয়ামী লীগ কর্মীরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাকি চারজনকে পুলিশ সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে।

মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকের মতো একই কথার চর্বিতচর্বণ করে চলেছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, বাহাউদ্দিন নাছিম, আনিসুল হক, কামরুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমুসহ জাতীয় স্তরের রাজনীতিক ও আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবকসম ব্যক্তিরা। বলতে গেলে তারা বহু দিন অনুপস্থিত ছিলেন রাজনীতির খোলা ময়দানে। বোঝা যাচ্ছে, সরকার এবার প্রতিপক্ষকে দমনে রাজনৈতিক অস্ত্র ও পুলিশি অস্ত্র ব্যবহারের আয়োজন করেছে। কারণ, গত ১৩-১৪ বছরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনপূর্ব ও উত্তরপর্বে সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামেনি বা সরব থাকেনি। বলা যায়, সেটি করতে পারেনি বিএনপি।

ইতোমধ্যে যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, সেই মৃতরা বিএনপির লোক বলে কি তাদের পরিবার হত্যার বিচার পাবে না? আইন কি বলে যে, যারা বিরোধী দলে থাকবেন তাদের হত্যা করা হলে তার কোনো বিচার হবে না। কিংবা সংবিধান কি এ দায়মুক্তি দিয়েছে ক্ষমতাসীনদের? আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে পুলিশের মানুষ হত্যার নজির আজকের নয়। আমরা তো স্বাধীনতার পর থেকে দেখে আসছি- রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর সরকারি দল তাদের পেটোয়া রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের দিয়ে হত্যা করেছেন অনেক মানুষ; কিন্তু সে সব হত্যার বিরুদ্ধে যাদের কর্মী নিহত হয়েছেন তারা মামলা করেন, সরকার বা পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করে না। ফলে পুলিশ হয়ে যায় সরকারি দলের লেজুড়।

অথচ পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালনে কেবল বিরোধী দলের ওপর তাদের আইনি বন্দুক চালায়। একবারও কেউ এটি দেখাতে পারবেন না যে, সরকারি দলের উচ্ছৃঙ্খল রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ গুলি চালিয়েছে এবং তার ফলে হত্যার শিকার হয়েছে কেউ কেউ। তার মানে পুলিশ কেবল কাজ করে সরকারি দলের হয়ে, তাদের রাজনৈতিক ঢাল হয়ে। বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তা সরকারি দলের নেতার মতো রাজনৈতিক বক্তৃতায় সরকারের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। অতিসম্প্রতি একজন ডিসিও একই কাজ করেছেন। তারা ভুলে গেছেন যে, তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। প্রজাতন্ত্রের মালিক হচ্ছে দেশের জনগণ, সরকারি দল নয়। সরকারি দল তাদের বেতন দেয় না। সরকার যে বেতনভাতা ইত্যাদি দেয়, সেই টাকাটা জনগণের তহবিল থেকে দেয়।

এটি জনগণ বোঝে, কিন্তু সরকার বোঝে না। এ কারণে বিরোধী দলের ওপর পুলিশকে বেপরোয়া হতে নির্দেশ দিয়ে সরকার একবারও ভেবে দেখে না যে, এই একই ঘটনা ঘটে চলবে যখন তারা বিরোধী দলের অবস্থানে আসবে। আজকের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কি ভুলে গেছেন যে, বিএনপির শাসনামলে পুলিশি নির্যাতন কেমন ছিল? বেগম মতিয়া চৌধুরীকে পিটিয়ে রাস্তায় শুইয়ে দিয়েছে এই পুলিশ, যারা তখনো সরকারি দলের লেজুড় ও দলীয় কর্মীর মতো গুলি চালিয়েছে। পুলিশি গুলি খেয়ে হজম করে চলেছে রাজনৈতিক সরকারগুলো। এটি লজ্জার বিষয়। এ লজ্জা হজম করে পুলিশকে যারা নিজেদের দলের কর্মীর মতো ব্যবহার করে তাদের বোকা ও অরাজনৈতিক, পরিণামহীন দল বলে মনে করা যেতে পারে এবং যারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সহকর্মী বিবেচনা করতে পারেন না, যাদের রাজনৈতিক শত্রু বিবেচনা করেন, তারা আর যাই হোক রাজনৈতিক আদর্শচ্যুত হয়ে এমন ভাবনায় জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতিকের প্রতিপক্ষ তাদের সহকর্মী, শত্রু নয়, তারা উন্নয়নসহযোগী। তাদের বিরোধিতা মানে সেই প্রকল্পের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা।

সরকারের উচিত তা খতিয়ে দেখা এবং তা পুনর্মূল্যায়ন করে সংস্কার করা। রাজনৈতিক গোঁ-ধরা কোনো শুভ লক্ষণ নয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতির সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে রাজনৈতিক ফ্লেক্সিবিলিটির মধ্যে। রাজনৈতিকভাবে যে দল রিজিট তাদের রাজনৈতিক নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সেখানে দুর্নীতি ও লুটেরাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ের সুযোগ আছে, যা আজ অবারিত। লাখো কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার পরও যখন সরকারের টনক নড়ে না তখন বোঝা যায় ওইসব লুটের সাথে সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিরা জড়িত। রাজনৈতিক দলগুলো এখন আর রাজনৈতিক দলের মধ্যে নেই। তারা পুঁজিপতিদের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছেন। যার কারণে কাঁচাবাজার, আমদানিবাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই।
নিয়ন্ত্রণের কথা বললেও তারা জানেন, কাঁচাবাজার, আমদানিকৃত পণ্যের মূল্য বাড়ানো রোধ করতে পারবেন না এবং পারেননি। কারণ রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল পুঁজিপতিদের কাছে বন্দী বা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলছে। দলীয় নেতৃত্বের চারপাশের আসনগুলো পুঁজির বাহাদুরদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, তারা কি কোনো আদেশের প্রতি নমনীয় হবেন, না সরকারের নির্দেশনায় চলবেন। পুঁজির ধর্ম হচ্ছে যে যেখানে সুযোগ পাবে সেখানে দাঁত-নখ বসাবে। আমরা সেটি তো আজকের বাংলাদেশের খোলাবাজারের কীর্তি দেখে অনুমান করতে পারছি। প্রকৃত রাজনীতিকদের হাত থেকে যখন সরকার ব্যবসায়ী বা পুঁজিপতিদের হাতে চলে যায় তখন এমনটি হয়।

প্রকৃত রাজনীতিকদের হাতে ক্ষমতা থাকলে কথায় কথায় প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করতে হতো না। নেতৃত্বকে তোয়াজ করে কথা বলার পেছনে রয়েছে এমন কিছু লুকানোর চেষ্টা যা দলের যেমন ক্ষতি করবে তেমনি সরকারের ভাবমর্যাদার বারোটা বাজাবে। এটি হওয়ার কারণ, প্রকৃত গণতন্ত্র না থাকায় কর্তৃত্ববাদী চেতনার জন্ম নেয়, যা মূলত সরকারকে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়। গণতন্ত্রের বন্ধন যে পরীক্ষিত, তা গণতন্ত্রের বন্ডেজের ভেতরে নিহিত আছে। সেই বন্ডেজ এমনভাবে প্রোথিত যে, সেখানে কামড় বসানো যায় না বললেই চলে।

এ কথাগুলো বলছি কেবল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে নয়, যারা পরবর্তীকালে ক্ষমতায় যাবেন, তাদের উদ্দেশেও। ক্ষমতা এমন এক জায়গা যা মূলত মধুর মতো।


আরো সংবাদ



premium cement