২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

জাতীয় পার্টিতে বিরোধ না সাজানো নাটক

জাতীয় পার্টিতে এখন জি এম কাদের ও রওশন এরশাদ স্পষ্টত দু’টি গ্রুপ। - ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচন এলেই জাতীয় পার্টির মধ্যে কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। এক গ্রুপ বিরোধী দলের মতো করে কথা বলতে শুরু করে। আরেক গ্রুপ সরকারের কথায় সুর মেলায়।

নির্বাচন বলতে প্রকৃত অর্থে যা বোঝায় তা বাংলাদেশে নেই বললেই চলে। পাঁচ বছর শেষে নির্বাচনের নামে দেশে একটি প্রহসন হয় মাত্র। সেই প্রহসনের সময় এসে গেছে। আর মাত্র এক বছরের মধ্যেই নির্বাচনের নামে এমন একটি প্রহসন হয়তো আমরা আবারো দেখতে পাবো। ইতোমধ্যে এর সব আলামত স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

দেশের বৃহত্তম বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন করছে। তাদের দাবি হচ্ছে এ সরকারকে যেতে হবে। একমাত্র নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচনটি হতে হবে। এ দাবির পক্ষে দেশে বেশির ভাগ মানুষই একমত। দেশী-বিদেশী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বলা হচ্ছে যে, একটি স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারে। বর্তমানে যে সরকার ক্ষমতায় আছে তারা ২০০৯ সাল থেকেই ক্ষমতা কব্জা করে আছে। মাঝে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে দু’টি প্রহসন সঙ্ঘটিত করে সরকার ক্ষমতায় থাকার বৈধতার অজুহাত সৃষ্টি করে।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও বড় কারচুপি হয়েছিল। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সেদিন নির্বাচনের ফল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল। ওই নির্বাচনটিও ছিল একটি পাতানো নির্বাচন। অভিযোগ রয়েছে যে, ১/১১-র জরুরি সরকারের সঙ্গে আঁতাতের প্রক্রিয়ায় সেদিনের নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদেরকে ক্ষমতায় আনা হয়। তবুও সেদিন নির্বাচনটিকে মানুষ মেনে নিয়েছিল গণতন্ত্রর কথা ভেবে যে, অন্তত সেনাশাসিত জরুরি সরকারের অবসান হবে। কিন্তু পরে যে দু’টি নির্বাচন হয় তা কোনো মানদণ্ডেই পড়ে না। দু’টি নির্বাচনই ছিল দেশে-বিদেশে চরম প্রশ্নবিদ্ধ।

২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট ছাড়াই ১৫৪টি আসন অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে চার কোটি ৫৩ লাখ ভোটারকে বঞ্চিত করে ক্ষমতাসীনদের প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীহীন অবস্থায় বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। বাকি ১৪৬টি আসনেও গড়ে ৫ শতাংশ ভোট পড়েনি। নির্বাচনে শাসক দলের আজ্ঞাবহ কয়েকটি দল ছাড়া দেশের মূল ধারার কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। ওই নির্বাচনের পর বিচিত্র এক সংসদ বসানো হয়। যেখানে বিরোধী দলের সদস্যরা বিরোধী দলে ছিল আবার সরকারের মন্ত্রিসভায়ও ছিল।

২০১৮ সালের নির্বাচনী প্রহসনটি ছিল আরো খারাপ। সেই নির্বাচনে আগের রাতেই ভোট সম্পন্ন করে দেয়া হয়। ভোট হওয়ার কথা ৩০ ডিসেম্বর কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতেই পুলিশ ও ক্যাডাররা একজোট হয়ে ব্যালট দিয়ে বাক্স ভরাট করে দেয়। নির্বাচনের পর ওই সরকারের নামকরণই হয়ে যায় নিশিরাতের সরকার। ফলে দেশ থেকে গণতন্ত্র যেমন হারিয়ে যায়, তেমনি হারিয়ে যায় ভোটের অধিকার। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের শাসনকালকে বলা হচ্ছে কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের শাসনকাল। গণতন্ত্র এবং নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করে এমন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের বর্তমান সরকারব্যবস্থাকে কর্তৃত্বপরায়ণ সরকারের শাসনকাল হিসেবেই তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ইতোমধ্যে সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকারের ইশারায় নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে আগামী নির্বাচনে তারা ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট করবে। ইভিএম নিয়ে সর্বত্র বিতর্ক রয়েছে। ইভিএম জালিয়াতির এক হাতিয়ার।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আকবর আলি খান সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনিসহ দেশের ৩৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক গত ৬ সেপ্টেম্বর এক যুক্ত বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ইভিএম দিয়ে ভোট করা হবে অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইসির নেয়া ঠিক হয়নি। ইভিএমে ১৫০ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত দেশের সঙ্কটকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। দেশ আবারো একটি ব্যর্থ নির্বাচনের কবলে পড়বে, যা জাতিকে গভীর সঙ্কটে ফেলবে। তারা আরো বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে ইভিএম একটি দুর্বল যন্ত্র। এটি ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতি করা যায়। ইসির সংলাপে যে ২২টি দল অংশ নেয়, তার ১৪টি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও তাদের সন্দেহের কথা বলেছে। ৯টি দল ইসির সংলাপ বর্জন করেছে, যার মধ্যে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি রয়েছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামও রয়েছেন। কিন্তু সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন তাদের কথা কানে নেয়নি।

এবারের নির্বাচনটি সরকার যাতে যেনতেনভাবে করতে না পারে সেজন্য দেশ-বিদেশের গণতন্ত্রসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলের চাপ রয়েছে। কিন্তু সরকার এবারও ভেলকিবাজির মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্য নানামুখী ফর্মুলা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। একটি ফর্মুলায় আছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে না এলে বাম দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন করা যায় কি না সে চেষ্টা করা। প্রতিবেশীর সহযোগিতার কথা তো কিছু দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ফাঁস করেই দিয়েছেন। এর পরে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর করে এসেছেন। বিএনপিকে মামলা-হামলায় দমন করে, বিএনপির সম্ভাব্য যোগ্যপ্রার্থীদের নির্বাচনের আগেই চলমান মামলার রায়ে ফাঁসিয়ে দেয়া এবং আগের প্রক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা ইত্যাদি নানামুখী তৎপরতার কথা শোনা যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির তৎপরতা
শুরুতেই জাতীয় পার্টির মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে বলেছিলাম। জাতীয় পার্টি তার জন্মলগ্ন থেকেই বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বলয়েই আছে। শুধু জাতীয় পার্টির জন্মই নয়, দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল এরশাদের সাথে শেখ হাসিনার সখ্য পুরোনো। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদতের পর নির্বাচনে বিপুল বিজয়ী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আব্দুস সাত্তার। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ বন্দুকের নলের মুখে বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বিএনপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন সেই ১৯৮২ সালে। তখন বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা বলেছিলেনÑ ‘আই অ্যাম নট আন হ্যাপি’ অর্থাৎ আমি অখুশি নই। তেমনি আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বাংলার বাণীতে এরশাদের সামরিক শাসন জারিকে স্বাগত জানিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছিল। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতেও তারা আওয়ামী লীগের সাথেই ওঠাবসা করেছে।

নির্বাচন এলে নির্বাচনের কয়েক মাস আগ থেকে দলে তারা দুটো ভাগ হয়ে যায়। একটি ভাগ বিরোধী দলের সুরে, অন্যটি সরকারের সুরে কথা বলে। মনে হয় যেন, তারা দুটো ভাগ। কখনো কখনো এমনো মনে হয় যে, জাতীয় পার্টি ভেঙে যাচ্ছে। আসলে কিন্তু ভাঙে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এটা তাদের পাতানো নাটক। নির্বাচনে কোনো কারণে যদি সরকারের বিপর্যয় এসে যায় তাহলে তারা যাতে বিরোধী দলের বিরাগভাজন না হয়ে পড়ে সেজন্যই এই ব্যবস্থা। আর বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সরকারে থেকে গেলে অন্য গ্রুপকে কায়দা করে এক করে ফেলা। এটাই নেপথ্যের কথা।

২০১৪ সালের নির্বাচনে জেনারেল এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঢাকায় সফরে এসে এরশাদের সঙ্গে বারিধারার বাসায় বৈঠক করে শেখ হাসিনার সাথে নির্বাচনে যেতে চাপ দেন। বৈঠক শেষে এরশাদ সাংবাদিকদের সামনে এসে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সুজাতা সিংয়ের চাপ দেয়ার কথা ফাঁস করে দেন। এরপর গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা ‘এরশাদ অসুস্থ’ বলে তাকে সিএমএইচএ নিয়ে ভর্তি করান। নির্বাচন হয়ে যায়। এরশাদসহ জাতীয় পার্টির নির্দিষ্টসংখ্যক সদস্যদের নির্বাচিত দেখানো হয়। তাকে দিয়ে সংসদে বিরোধী দল করা হয়। সরকারে জাতীয় পার্টির তিনজন মন্ত্রীও করা হয়।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সংসদে হঠাৎ করে রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির দলীয় সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চান। তিনি মন্ত্রিসভা থেকে জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যখন বাইরে যাই, তখন সবাই বলে, তোমরা কোথায় আছ? সরকারে না বিরোধী দলে? আমরা কিছু বলতে পারি না।’

দলের অন্য গ্রুপটি তার বক্তব্যের বিরোধিতা করে। এভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যখন দেখে যে সমস্যা নেই, হাওয়া সরকারের দিকেই, তখন আবার চুপ হয়ে যায়। নির্বাচনে তাদেরকে নির্র্দিষ্টসংখ্যক আসনে নির্বাচিত দেখানো হয়। সংসদে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা করে ‘সরকারদলীয় বিরোধী দল’ বানানো হয়।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে জাতীয় পার্টি অংশ নেয়। জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ‘নির্বাচনের রাতে কিন্তু কাজটা (ভোট দেয়া) হয়। হয় মানে কী, আমরাই করাইছি, কী বলব, এটা হয়।’ ২০১৮ সালে আগের রাতে কিভাবে ব্যালট দিয়ে তারা সরকারি দলের সাথে বাক্স ভরেছে সে কথারই স্বীকারোক্তি।

সামনে আরেকটি নির্বাচন। মাঠে আওয়াজ আছে এ নির্বাচনটি আগের মতো করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হবে না। জাতীয় পার্টিও হাওয়া বুঝতে পারছে। তাই অনেকের মতে হয়তো আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জাতীয় পার্টি। রওশন এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ব্যাংককে চিকিৎসাধীন। হঠাৎ কয়েক দিন আগে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে তিনি আগামী ২৬ নভেম্বর দলের দশম জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করেন এবং সম্মেলনের জন্য ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করেন। নিজে আহ্বায়ক ও জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম মসীকে সদস্য সচিব করা হয়। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখান দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তার নেতৃত্বে সংসদ সদস্যসহ একটি অংশ সংসদে বিরোধী দলের নেতা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। স্পিকারকে সভাপতি হিসেবে জিএম কাদের চিঠি দিয়ে জানান যে, দলের সদস্যরা রওশন এরশাদ নয়, তাকে বিরোধীদলীয় নেতা মনোনীত করেছে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা করে বলেন যে, রওশন এরশাদ দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি জাতীয় সম্মেলন ডাকতে পারেন না। তিনি বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারছেন না। তাই দল তাকে এ পদে মনোনীত করেছে।

তিনি এও বলেন যে, দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। কারো লেজুরবৃত্তি করা জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়। তিনি আরো বলেন, নির্বাচন কমিশন সাজানো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। সংলাপে প্রায় সব রাজনৈতিক দল ইভিএমের বিরোধিতা করলেও সরকার ইভিএমে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে ইশারা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, রওশন এরশাদকে দিয়ে তৃতীয় পক্ষ কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনাও করেন। এক কথায় জাতীয় পার্টিতে এখন জিএম কাদের ও রওশন এরশাদ স্পষ্টত দু’টি গ্রুপ। একটি গ্রুপ সরকারের এজেন্ডায় তৎপরতা চালাচ্ছে, অন্য গ্রুপটি মাঠে বিরোধী দলের তৎপরতার দিকে আছে। নির্বাচনের তারিখ যত এগিয়ে আসবে তাদের খেলা ততই স্পষ্ট হবে। আগের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল তাদের বর্তমান তৎপরতাকেও সাজানো নাটক হিসেবেই দেখছেন।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব
Email: abdal62@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement