২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দুই নগরপিতা সমীপে

লেখক : সালাহউদ্দিন বাবর - ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগরী শুধু বাংলাদেশের রাজধানী এবং প্রধান শহরই নয়; এটি একটি মেগাসিটি। জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ; যা দেশের মোট জনসংখ্যার আনুমানিক ১১ শতাংশ। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারিতে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১৬ লাখ। বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে, তখন এই শহরের জনসংখ্যা দুই কোটির বেশি এবং তা প্রতিদিন বাড়ছে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নগরবাসীর দুর্ভোগ।

এখন যদি এই নগরীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য কী তা জানতে চেয়ে ঢাকার কোনো নাগরিককে প্রশ্ন করা হয়, তবে তার পক্ষে কোনো ইতিবাচক উত্তর দেয়া মোটেই সহজ হবে না। চার শ’ বছরেরও আগে এই শহরের গোড়াপত্তন হয়েছে বটে, কিন্তু এই সুদীর্ঘ সময়ে ঢাকা কেবল অপরিকল্পিতভাবে এবং নগরীর মানুষ যখন যে দিকে ইচ্ছা সে দিকে শহরকে টেনে নিয়ে গেছে, বসতি গড়ে তুলেছে। এখনো সেভাবেই নগর বিস্তৃত হচ্ছে। নগরীর কোনো সংস্কার, সুবিন্যাস বা সুষ্ঠু পরিচর্যা বলে কিছুই নেই।

নগরীর একটি পরিকল্পনা আছে বটে, সেটি নিছক কাগজে কলমে লোহার সিন্দুকে সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। কেউ সেটি অনুসরণ করে না বা তার পাতাও ওল্টায় না। সে কারণে কারো পক্ষেই এই মেগাসিটির কোনো ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যের কথা বলা সম্ভব নয়। তবে নেতিবাচক শত দিকের কথা চোখ বুজে বলে দেয়া যাবে। খুব অল্প কথায় যদি বলি, তবে বলতে হবে, এই শহর হাজারো সমস্যার একটি ভাগাড়। নানা অব্যবস্থা, জনাধিক্য বহুমাত্রিক দূষণ, অসহনীয় যানজট- যে কারণে প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি টাকার জ্বালানি ধ্বংস হচ্ছে, অসংখ্য কর্মব্যস্ত মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই, আইনশৃঙ্খলার অভাবজনিত কারণে এই শহর দুর্বৃত্তদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।

অতীতে নগরী এমন বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল না। আমরা জানি, বিশ্বের এভারগ্রিন সিটি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন। দুই বিশাল ন্যাশনাল পার্ক ওয়াশিংটনকে এভারগ্রিন সিটি হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। এ ছাড়া সেই রাজধানী শহরে রয়েছে লাখ লাখ বৃক্ষের অপূর্ব সমারোহ। ৬৮ দশমিক ৩ বর্গমাইলের এই শহরে রয়েছে ৬ দশমিক ৯ বর্গমাইলের স্বচ্ছ সুনীল জলভাগ, যেখানে রয়েছে পরিষ্কার টলটলে পানির আধার। ঢাকাকেও একটা সবুজ শহর রূপ দেয়া অসম্ভব ছিল না। যারা পঞ্চাশ দশকের ঢাকা দেখেছেন, তাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, ঢাকার অর্ধেকটা তথা সেগুনবাগিচা থেকে পশ্চিম দিকটা অসংখ্য গাছে ছেয়ে ছিল। নগরীর পূর্ব দিকটাও ছিল বৃক্ষরাজি আচ্ছাদিত। এসব সবুজ আচ্ছাদনের যদি পরিকল্পিত সম্প্রসারণ ঘটানো হতো তবে আমাদের প্রিয় ঢাকা হয়তো অকুণ্ঠচিত্তে ওয়াশিংটনের পাশেই দাঁড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করতো; কিন্তু পরিবর্তে হয়েছে কেবল বৃক্ষনিধন।

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দর শহর হওয়ার কথা ছিল ঢাকা নগরীর; কিন্তু দুর্ভাগ্য, অতীতে অর্বাচীন সব কর্তৃপক্ষের হাতে পড়ে, সেই সুন্দর নগরীর সম্ভাবনা এখন নস্যাৎ হয়ে গেছে। এখন পৃথিবীর অন্যতম নোংরা ও দূষণের শহর বলা হয় ঢাকাকে। নগরীর শোচনীয় অবস্থার কারণে অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের মেধাবী সন্তানরা গভীর হতাশায় এখন দেশান্তরী হচ্ছে। এভাবে মেধা পাচার হতে থাকলে কারা এ শহরকে ভাগাড় থেকে টেনে তুলবে। ক্ষয়িষ্ণু এই শহর আজ যুবকদের হাতে কাজ তুলে দিতে না পারায় বেকারত্বের গ্লানি নিয়ে লাখ লাখ যুবক বিমর্ষ ম্রিয়মাণ, অনেক যুবক নেশায় বুঁদ হয়ে দিন কাটায়, কেউ বিপথগামী হয়ে নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়েছে।

অনেকে জানি, এই একবিংশ শতাব্দীতেও ধোঁয়াহীন, এক রোমান্টিক শহরের নাম ইতালির ভেনিস। আশ্চর্য এই শহরে রয়েছে ১১৮ দ্বীপ, ১৭৭ খাল আর ৪০৯ সেতু। ভেনিস শহরে বিশ্বের এমন সব সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃশ্য ছড়িয়ে রয়েছে, যা কল্পনাকেও হার মানাতে পারে। সেখানে মানুষের আচার-আচরণ, কৃষি, অর্থনীতি, ভূপ্রকৃতি সত্যিই অনন্য অনুভূতি জাগায়। সমুদ্রের নীল জলরাশির মাঝে দাঁড়িয়ে আছে আস্ত একটা শহর। ভ্রমণপ্রিয় যেকোনো মানুষের অবশ্য গন্তব্য হওয়া উচিত এই ভাসমান রোমান্টিক শহর, ঐতিহাসিক, ভালোবাসার শহর, সর্বোপরি মানুষের দ্বারা, মানুষের হাতে তৈরি ইতালি তথা ইউরোপের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর ভেনিস।

ভেনিসের মতো আমাদের ঢাকা হতে পারত একটি অনিন্দ্য সুন্দর শহর। ভেনিস মানুষের হাতের ছোঁয়ায় অপরূপ হয়েছে, আর আমাদের হাতের স্পর্শে ঢাকা এখন বিশ্বের অখ্যাত এবং মৃতপ্রায় এক দূষণের নগরী।

চার শ’ বছরের পুরনো এই শহর ঘিরে বহু নদী ও খাল ছিল, যা আজ বিলীন হয়ে গেছে। রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের পৃথক দু’টি জরিপ থেকে জানা গেছে, স্বাধীনতাকালেও ঢাকা জেলায় নদীর সংখ্যা ছিল বহু। এর মধ্যে আঁটি, কনাই, দোলাই, পান্ডা ও নড়াই- এই পাঁচ নদীর কোনোটিরই এখন কোনো হদিস নেই। একই সাথে ঢাকাকে ঘিরে রাখা বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও টঙ্গী নদীর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ১৭টি খালও হারিয়ে গেছে। মহানগরী এলাকায় ইতিহাস বলে একসময় খাল ছিল ৭৫টি।

কোথায় গেল এসব নদী ও খাল? একের পর এক দখল-দূষণে নদী ও খালগুলো ভরাট হয়ে সেখানে গড়ে উঠেছে শহর, সুরম্য অট্টালিকা। তৈরি হয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, মার্কেটসহ নানা স্থাপনা। উত্তরা, বনানী, বনশ্রী, নিকুঞ্জসহ বড় বড় আবাসন প্রকল্পে পানি নিষ্কাশনের সুযোগ রাখা হয়নি। ঢাকা শহরে মাইলের পর মাইল হাঁটলেও এখন জলাশয়ের দেখা পাওয়া যায় না। পুরনো নদী-খাল সংস্কার ও পরিচর্যা করে একটির সাথে আরেকটি খালের সংযোগ সাধন করে যদি তাতে গাছপালা রোপণ করা হতো তাহলে পানি ও বৃক্ষরাজির অপরূপ সমন্বয় ঘটত। আমরা ভেনিসের মতোই ঢাকাকে পেতাম। খালগুলো জড়িয়ে রাখত ঢাকাকে।

ঢাকার বিপুল আয়তনের কারণে মহানগরীকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগ করে দুটো সিটি করপোরেশন করা হয়েছে। দুই নগরপিতাকে এখন জীর্ণ-শীর্ণ ভাগাড়ের নগরীকে দেখভাল করতে দেয়া হয়েছে। তারা দেখছেন, এ শহরের দেহে হাজারো ক্ষত, মলম দেবেন কোথায়? এই নগরীর পরিচর্যা করা বলতে গেলে এক অসম্ভব ব্যাপার। তাই তাদের কী করে বলা যাবে, রাতারাতি আপনারা এই শহর বাসযোগ্য, পরিবেশবান্ধব, জনাকীর্ণতা হ্রাস করে একে একটি আদর্শ নগরী হিসেবে গড়ে তুলুন। শত বছর আগ থেকেই এ কাজ শুরু করা হলে তা এখন সহজসাধ্য হতো, কিন্তু তা তো হয়নি।

তা ছাড়া এই মহানগরীর সব কর্তৃত্ব দুই নগরপিতার হাতে নেই। বহু কর্তৃপক্ষ ঢাকায় কাজের নামে অকাজ করছে, হাজারো সমস্যা ঝুলিয়ে রাখছে। শহরে কোনো কাজ করতে গেলে বহু কর্তৃপক্ষের বেড়াজালে আটকে পড়তে হয়। এ প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দেয়ার লোভ সংবরণ করতে পারছি না।

একবার কাজের তাগিদে ঢাকার নবাববাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে শান বাঁধানো গোল পুকুর পাড়ে শত শত ছেলেপেলে খেলছে। কেউ পুকুরে সাঁতার কাটছে। নবাববাড়িরই পরিচিতি যুবককে হাসির ছলে জিজ্ঞাসা করি, এত সব বালকের অভিভাবক কারা। সে হেসে উত্তর দেয়, এদের কারো গায়ে একটা টোকা দিয়ে দেখুন, একেকজনের কতজন করে অভিভাবক বেরিয়ে আসে। তখন টের পাবেন। আসলে আমাদের এই মহানগরীর ভাগ্য যে কত কর্তৃপক্ষের কাছে বাঁধা, এ শহরের গায়ে টোকা দিলেই টের পাওয়া যাবে। এসব কর্তৃপক্ষ, কাজের কাজী না হলেও বাগড়া দেয়ার, প্যাঁচ লাগানোর পাজি।

আগেও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কর্ণধাররা কাজ করতে গিয়ে এমন সব কর্তৃপক্ষের বাগড়ার সম্মুখীন হতেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনুরোধ করেছিলেন মহানগরীর সব সেবাদানকারী সংস্থার কাজ সিটি করপোরেশনের হাতে দিয়ে, করপোরেশনকে বৃহত্তর প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ দেয়ার; একে সিটি গভর্মেন্ট হিসেবে গড়ে তোলার। কিন্তু সে অনুরোধ রক্ষা করা হয়নি। জানি না এ ব্যাপারে কোথায় সমস্যা ছিল। তবে এটুকু বুঝি, সংশ্লিষ্ট সংস্থার আমলারা এটাকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনা করে থাকতে পারেন। তা ছাড়া আমাদের মতো দেশে সব সরকারই তাদের মেয়াদকালে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে সহজেই চিন্তা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না।

সময়ের সাথে নতুন সব চাহিদা ও প্রয়োজন অনুষঙ্গ হওয়াটা অনিবার্য। তাকে এড়িয়ে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে সমস্যার শাখা-প্রশাখার বিস্তারের সুযোগ দেয়া। যখন ‘স্পট ডিসিশনের’ প্রয়োজন, তখন সেটি না দেয়ার অর্থ কাজের গতি শ্লথ করে দেয়া, সময়ের সাথে তাল না মেলানো। যারা বা যেসব দেশ আমাদের ফেলে সামনে চলে গেছে, তাদের এগিয়ে যাওয়ার রহস্যটি হলো, সময়কে ধারণ করতে কিছুমাত্র বিলম্ব করেননি তারা।

ঢাকায় প্রথম পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৪ সালের ১ আগস্ট ব্রিটিশ আমলে। পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্কিনার। তার পর প্রথম বেসরকারি পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায়; তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৮৮৫ সালে। তিনি কমিশনারদের ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নয়। ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন খাজা আকবর; তিনি ১৮৯১ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

পাকিস্তান আমলে ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন পানাউল্লাহ আহমদ, তিনি ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চার প্রশাসক দ্বারা ঢাকা পৌরসভা পরিচালিত হয়। ১৯৭৭ সালে ৩১ অক্টোবর ঢাকা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত। ১৯৭৮ সালের অক্টোবরে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটিকে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে উন্নীত করা হয়। সে সময় নির্বাচিত কমিশনারদের ভোটে ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত ঢাকার প্রথম মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

অবিভক্ত ঢাকায় প্রথম জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হানিফ মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, তার পর বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা মেয়র নির্বাচিত হন। পরে এক ডিসিসি ভেঙে দুই ডিসিসি করা হয়। নামকরণ করা হয় সিটি করপোরেশন, সেই করপোরেশনে মেয়র হচ্ছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও আতিকুল ইসলাম। এখন এভাবে একটা ‘কনক্লুশন’ টানতে পারি।

বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে আমাদের দুই নগরপিতার পক্ষে ঢাকার কোনো বড় পরিবর্তন এ মুহূর্তে আনা সম্ভব নয়। তারা রুটিন কাজ ও তাদের কিছুর পরিকল্পনায় আছে সেগুলো করে যাচ্ছেন। যেমন তারা হারিয়ে যাওয়া বা দখল হয়ে ঢাকার কিছু খাল উদ্ধার করেছেন। তাদের এই মহৎ উদ্যোগে নৈতিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া নগরবাসীর কর্তব্য। এখন তাদের সমীপে কিছু আবেদন রইল, তারা ওয়াশিংটন ও ভেনিসের কথা মনে রাখবেন, ঢাকার পরিবেশ দূষণের দিকে নজর দেবেন।

যেহেতু তাদের ঘাড়ে জরাজীর্ণ, ক্ষত-বিক্ষত এই মহানগরীর দেখভালের দায়িত্ব জনগণ দিয়েছে। আর কিছু হোক না হোক ঢাকায় যেখানে যতটুকু জায়গা পান সেখানে বৃক্ষরোপণ করে শহরকে একটু সবুজ শ্যামল ছায়ায় স্নিগ্ধ করে তুলুন। শহরের সিনিয়র সিটিজেনদের স্মৃতিতে এখনো হয়তো জাগরূক আছে, তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী হাবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী ঢাকা থেকে মশক ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছিলেন। দুই পিতার কাছে আবেদন আপনারা এমন কিছু করুন, যাতে আজ থেকে অর্ধশতাব্দী পরও ঢাকাবাসী আপনাদের সেই কাজকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে!

আসলে ভিশন না থাকলে যা হয়, ‘রাজউক’ তার প্রমাণ, তারা বছরে শত শত আবাসন প্রকল্পের নকশা অনুমোদন দিয়ে থাকে। রাজউক কর্তৃপক্ষ এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে যদি এমন শর্ত জুড়ে দেন, সেসব ভবনের সামনে অবশ্যই কিছুসংখ্যক গাছ রোপণের জন্য স্পেস রাখতে এবং সেখানে গাছ রোপণ করতে হবে এবং তার পরিচর্যা করার ব্যবস্থা করতে হবে, তাহলে তা ঢাকার বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে কিছু হলেও ইতিবাচক হতে পারত।

ndigantababor@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement