২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘সাইওনারা’- শিনজো আবে

শিনজো আবে। - ফাইল ছবি

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশটির মানুষ। বলেছে, সাইওনারা আবে, বিদায় প্রিয় নেতা আবে। গত সপ্তাহে, শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ এক নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৬৭ বছরের আবের। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে পুরুষরা কালো স্যুট ও কালো টাই এবং নারীরা কালো পোশাক ও মুক্তার নেকলেস পরে টোকিওর জোজোজি মন্দিরে উপস্থিত হয়ে আবেকে শ্রদ্ধা জানায়। এই মন্দিরেই তার শেষকৃত্য হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় আড়াই হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর, চীনা নেতারা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার কাছে সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বার্তায় বলেন, ‘আবে চীন-জাপান সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করেছিলেন এবং এই প্রচেষ্টায় ইতিবাচক অবদান রেখেছিলেন।’ শি বলেছেন, তিনি নতুন যুগের চাহিদা পূরণের জন্য চীন-জাপান সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আবের সাথে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন।

সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস-এর ভাইস ডিন লিউ জিয়াংইয়ং বলেন, ‘আবে চীন-জাপান সম্পর্কের উন্নতিতে কিছু অবদান রেখেছিলেন, তবে তিনি ক্ষতি এবং নেতিবাচক প্রভাবও সৃষ্টি করেছিলেন। এই নেতিবাচক প্রভাবগুলো এখনো প্রকট।’ এসব বিশ্লেষণ শিনজোকে একজন বিতর্কিত স্বপ্নদ্রষ্টায় পরিণত করেছে।

দুঃখজনক কোনো পরিস্থিতিতে যখন রাজনীতিবিদরা মারা যান, তখন সংবাদগুলো গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। চূড়ান্ত বিশ্লেষণে, ইতিহাসের শক্তিগুলোই ব্যক্তির পরিবর্তে রাজনীতির গতিপথ লেখে। জাপানের বিষয়টি একেবারে সাদা নয় এবং সত্যটি হলো, জাপানের রক্তাক্ত অতীত রয়েছে যা মূলত নিষ্ঠুর রাজকীয় অতীত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের নৃশংসতা তাদের ‘অসভ্য’ আখ্যা দিয়েছিল। কোরিয়া যুদ্ধ, মিয়ানমার ফ্রন্টে যুদ্ধে অনেক নিষ্ঠুরতার কথা লিপিবদ্ধ রয়েছে। ইতিহাস বলে, শিনজো আবের দাদা, যিনি জাপানের শাসক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তিনি নিজেও একজন যুদ্ধাপরাধী ছিলেন। জাপান উপনিবেশবাদের মানদণ্ডে, বিশেষ করে কোরিয়ান ও চীনা জনগণের দ্বারাও বিজিত জনগণের ওপর অকথ্য অপরাধ সঙ্ঘটিত করেছিল।

আবে এবং তার উত্তরাধিকারীদের হয়তো একদিন সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তার অসামান্য অবদান হলো তিনি সংক্ষেপে ‘শান্তিবাদী’ জাপানকে ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন এবং এটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ‘সামরিকবাদী’ অতীতের দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে এশিয়ার রাজনীতি এবং জাপানের রাজনৈতিক অর্থনীতিতে বিষয়টি উদ্বেগজনক প্রশ্নচিহ্ন রেখে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের সংবিধান পরিবর্তনের বিষয়টি তিনি সমাধা করে যাননি। রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার জন্য বিষয়টি সম্ভবত উত্থাপন করতে পারেননি। তিনি ভয় করতেন হয়তো জাতি তার অ্যাজেন্ডা সমর্থন নাও করতে পারে, তাহলে রাজনৈতিক পথ চলার ক্ষেত্রে বিরাট পর্বত সামনে দণ্ডায়মান হবে।

আবেকে হত্যাকারী তরুণ, এমন ঘৃণ্য অপরাধ করে আত্মসমর্পণ করেছে। এতে কী বোঝা যায়? তার পরিবারের লোকদের কি প্রচুর অর্থ দিয়ে কিনে নেয়া হয়েছে, নাকি স্রেফ আবেগপূর্ণ কোনো ঘটনা? প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, প্রচণ্ড ঘৃণাই হত্যাকারীকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করে। তবে এ সম্পর্কে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার সময় এখনো আসেনি। তদন্তের জন্য সম্ভাব্য মোটিভ গোপন রাখা হয়েছে। তবে এ ঘটনা প্রমাণ করে যে, আবে জাপানে বিতর্কিত ছিলেন।

আবে চীনের সাথে জাপানের সম্পর্কের উন্নতিতে, প্রকাশ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সাথে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আবের ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি তখন থেকে এশিয়ায় ন্যাটোর প্রবেশের গতি ত্বরান্বিত করার শক্তিশালী সমর্থক হিসাবে কাজ করতে থাকে।

জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবের স্থান মূলত তার ক্যারিশমা, ব্যক্তিত্বের শক্তি এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিভার বিচ্ছুরণের মধ্যে নিহিত। তার নির্দেশিত পথে জাপানের ঋণ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং সংস্কারগুলো ইয়েনকে দুর্বল করে দেয়। আবের অর্থনীতির দিকদর্শন আবেনোমিক্স হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

আবের সংস্কার কর্মসূচি ধনী ও দরিদ্রের মধ্যকার ব্যবধান আরো প্রশস্ত করে এবং সামাজিক অসন্তোষ উসকে দেয়। তার পপুলিজম তার আসল অ্যাজেন্ডা নষ্ট করে জাতিগত কুসংস্কার এবং গণমাধ্যমের প্রতি তার ম্যানিপুলেশন এবং মুক্ত সংবাদপত্রের দমনের মতো অসার প্রবৃত্তির ব্যবহার জাপানের গণতান্ত্রিক ভিত্তির ক্ষতি করেছে।

কম উৎপাদনশীলতা, বয়স্ক জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি, অনমনীয় শ্রমবাজার প্রভাবিত অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য সংস্কারের প্রতিশ্রæতি অধরা থেকে যায়। এর উপরে, কোভিড-১৯ আবেনোমিক্স দ্বারা আনা স্বল্পমেয়াদি সুবিধাগুলো মুছে ফেলে, যেমন পর্যটনে তেজীভাব আনা এবং ক্রমবর্ধমান কাজের প্রাপ্যতা। সামনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, পপুলিস্ট, জেনোফোবিক এবং এমনকি চরম রাজনৈতিক লক্ষ্যগুলো উন্নীত করার জন্য তিনি জাপানে ডানপন্থা উদ্দীপিত করতে পেরেছিলেন।

আবে, ২০১২-২০ মেয়াদে, কেবল জাপানেই নয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধনে কাজ করেছিলেন, টোকিও ২০২০ অলিম্পিকে সফল বিডে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অর্থনীতিকে সফলভাবে সক্রিয় করেছিল যদিও মন্দা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আবে জাপানি সমাজে ডানপন্থী রক্ষণশীল চিন্তাধারার উত্থান ঘটান যা জাপানের শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনের জন্য তার উত্তরসূরির পথ পরিষ্কার করে দেয়। এ সবই আবের বৈপ্লবিক রাজনৈতিক ধারা।

জাপানের দুই বিশাল প্রতিবেশী দেশ চীন ও রাশিয়া সুদূর প্রাচ্যে তাদের নিরাপত্তা উপস্থিতি ক্রমবর্ধমানভাবে বৃদ্ধি ও সমন্বয় করে চলছে। এই দুটি বড় শক্তি ন্যাটোর সাথে জাপানের অংশীদারিত্ব প্রতিহত করতে চায়, তা সে যেভাবেই হোক না কেন। এটি সামনের দিনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূ-রাজনীতির প্রধান বিষয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। মস্কো খোলাখুলিভাবে অভিযোগ করেছে যে, কুরিল দ্বীপপুঞ্জে জাপানকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রবণতা চলছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া সেটি চুপচাপ সহ্য করবে না। জাপানের উচিত পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে পড়শিদের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করা। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর নতুন করে সাজানো ব্যূহ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ায় সরাসরি আঘাত হানে, সেটি জাপানের রাজনৈতিক ও নীতিগত লক্ষ্যের আকর্ষণ হারাবে। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা প্রধান ইউরোপীয় শক্তিগুলোর সাথে জাপানের সম্পর্কের মধ্যে ফাটল ধরানোর সব সিলিন্ডারে গুলি চালাচ্ছেন, বিশেষ করে জার্মানির সাথে। একসময় জোসেফ স্ট্যালিনের অধীনে নাৎসি জার্মানি এবং ইম্পেরিয়াল জাপানের সাধারণ উদ্বেগের ওপর ভিত্তি করে ১৯৩৬ সালে অ্যান্টি-কমিনটার্ন চুক্তি নামে একটি জোট সৃষ্টি হয়েছিল। নিঃসন্দেহে আবে ভারতেরও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তবুও, ‘এশিয়ান ন্যাটো’ প্রতিষ্ঠার পথে জাপানের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলে ভারত এই নতুন মাত্রাটি কতটা সমর্থন করে তা স্পষ্ট নয়।

শান্তিবাদী পথ থেকে সরে আসায়, জাপানের প্রতিবেশী দেশগুলোসহ চীন, উত্তর কোরিয়া এমনকি দক্ষিণ কোরিয়াও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ২০১৬ সালে তিনি ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’-এর ঘোষণা করেছিলেন; সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল’-এর অনুপ্রেরণা বলে মনে করা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিত, যা চীনকে লক্ষ্য করে বানানো। এটি এই অঞ্চলে উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তাকে বাড়িয়ে তুলতে শুরু করেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল ও ন্যাটোর সাবেক সর্বোচ্চ মিত্র কমান্ডার জেমস স্ট্যাভরিদিস ব্লুমবার্গে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছিলেন, আবে ‘কোয়াডের জনক’।

আবের এই চিত্রটি অবশ্যই জটিল। চীনা বিশ্লেষকরা বলেন, যারা আবের সমালোচনা করে তাদের চুপ করিয়ে দেয়া উচিত নয়, কারণ তিনি মারা গেছেন এবং আবের প্রতি অনেক চীনা মানুষের সমালোচনামূলক মনোভাবের পেছনের কারণগুলো বহির্বিশ্বকে জানতে এবং বুঝতে হবে, যা পশ্চিমা বিশ্বের বড় অংশের কণ্ঠস্বরের বিরোধিতা করছে।

২০১৮ সালে, আবে চীন সফর করেন। তখন বেইজিংয়ে শির সাথে বৈঠকে বলেছিলেন, আশা করা হচ্ছে যে এই সফরের মাধ্যমে উভয় পক্ষ একটি নতুন যুগের সূচনা করবে যখন ‘প্রতিযোগিতা সমন্বয়ে রূপান্তরিত হবে’। চীন-প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে ‘আশাব্যঞ্জক’ উল্লেখ করে আবে বলেন, ‘জাপান তৃতীয়পক্ষের বাজার অনুসন্ধানসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে চীনের সাথে সহযোগিতা বাড়াতে ইচ্ছুক।’ ওই সফরের পর দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায় এবং ২০১৯ সালে আবে ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন চীন-জাপান-দক্ষিণ কোরিয়া সহযোগিতার ২০তম বার্ষিকী উপলক্ষে চীন সফর করেন।

চীন মনে করে, চীন-জাপান সম্পর্কের এসব ইতিবাচক স্মৃতি আবের উচ্চাকাক্সক্ষা দিয়ে পরিচালিত ছিল। যার মধ্যে কেবল চীনের সাথে সম্পর্ক বাড়ানো নয় বরং জাপানকে স্বাভাবিক করার প্রয়াসও ছিল। কেননা সেই সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ট্রাম্প জাপানসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রধান শক্তির জন্য বড় অনিশ্চয়তা নিয়ে এসেছিলেন এবং জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুক্ত বাণিজ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিলেন।

বস্তুনিষ্ঠ হওয়ার জন্য, আবের বাস্তববাদী নীতি সময়ের সাথে সাথে চীন-জাপান সম্পর্ককে উন্নত করেছে, বিশেষ করে ২০১২ সালে চীনের দিয়াওয়ু দ্বীপপুঞ্জকে ‘জাতীয়করণ’ করার জন্য জাপানের আইনের কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, চীনের সাথে সম্পর্ক ঠিক করার প্রয়াসটি আসল উদ্দেশ্য ছিল না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বেইজিংভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ‘আবে কখনোই আন্তরিকতায় চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেননি, কারণ তিনি জাপানকে ‘স্বাভাবিক’ করার উচ্চাকাক্সক্ষার জন্য সময়ে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয়কেই ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বা অন্য কথায়, জাপানকে তার শান্তিবাদী সংবিধানের সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্তি এবং আবার একটি শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন।’ আবে ক্ষমতা ছাড়ার পর তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজশ বাড়াতে এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতা উৎসাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

বিশ্লেষকরা শি-এর শোকবার্তা বিশ্লেষণ করেছেন। তারা দেখছেন যে, চীন কেবল দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবের অবদানই স্বীকার করছে না, বরং আবের যৌক্তিকতাও স্বীকার করছে। শি তার বার্তায় বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সাথে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের মধ্যে চারটি রাজনৈতিক নথিতে প্রতিষ্ঠিত নীতি অনুসারে চীন ও জাপানের মধ্যে একটি ভালো-প্রতিবেশী বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা বিকাশ অব্যাহত থাকে।

আবে একজন সফল নেতা যিনি জাপানিদের মধ্যে তাদের দেশকে আবার একটি প্রধান শক্তিতে পরিণত করার উচ্চাকাক্সক্ষা জাগিয়ে তুলেছিলেন এবং এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ ধরনের জাগরণের উচ্চাকাক্সক্ষা ডানপন্থী রক্ষণশীল মতাদর্শের উত্থানও ঘটায়। সর্বশেষ নির্বাচনে, জাপানের শান্তিবাদী সংবিধান সংশোধনে সমর্থনকারী শক্তিগুলো উচ্চ ও নিম্ন উভয় কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে।

আবেনোমিক্স জাপানের ডিফ্লেশন সমস্যার সমাধান করেছে, পর্যটন উৎসাহিত করেছে এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে। তাই ইয়েনের বর্তমান অবমূল্যায়ন এবং অর্থনৈতিক মন্দা আংশিকভাবে আবের মেয়াদে অর্থনৈতিক নীতির কারণে হলেও আবেনোমিক্স এখনো জাপানের জন্য একটি ইতিবাচক উত্তরাধিকার বলে মনে করা হয়।

তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আসাহি শিমবুন ও ইয়োমুরি শিমবুনসহ জাপানি গণমাধ্যমের জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৫৬ শতাংশ জাপানি শান্তিবাদী সংবিধানের সংশোধন সমর্থন করে। তাই অনেক পর্যবেক্ষক বিশ্বাস করেন, জাপান সম্ভবত আবের সীমাবদ্ধতাগুলো ভেঙে সশস্ত্র হওয়ার ঝুঁকি নিতে এবং আঞ্চলিক শান্তিতে অনিশ্চয়তার সিঁড়ি অতিক্রম করে মডেল হিসাবে অনুঘটকের কাজ করতে চায়।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল